আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীনিবাসনে আপত্তি ক্রিকেটারদের

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এন শ্রীনিবাসনকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান থেকে সরিয়ে দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
আইসিসিতেও শ্রীনিবাসনকে ছাড় দিতে রাজি নয় ফিকা। সংস্থাটির সভাপতি পল মার্শ তাদের এমন দাবির পেছনে শক্ত যুক্তি দেখিয়েছেন।
“আমরা বিশ্বাস করি, শ্রীনিবাসন বা তার কোম্পানির (ইন্ডিয়া সিমেন্ট) বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আইসিসির হয়ে কোনো কাজ করবেন না। ”
ফিকার সভাপতির মতে, শ্রীনিবাসনের এই বিষয়গুলো ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলেই আইসিসির কোনো বিষয়ে তার অংশ নেয়া উচিত নয়।


“আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকে বরাবরই বলে এসেছে, খেলাটিকে তারা দুর্নীতি মুক্ত রাখতে বদ্ধ পরিকর। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবকিছুর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শ্রীনিবাসনের আইসিসির উচ্চতর কোনো পদ নেয়াটা অসম্ভব। ”
শ্রীনিবাসনকে কেন আইসিসির কোনো কাজে যুক্ত করা উচিত নয়, সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফিকা সভাপতি মার্শ আইসিসির একটি ধারাও সামনে নিয়ে আসেন।
আইসিসির একটি ধারায় বলা আছে, প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক পরিচালককে অবশ্যই সৎ হতে হবে। আইসিসির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কোনো কাজে তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারবেন না।


আগামী জুলাইয়ে ‘তিন মোড়ল’ ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবে চলে যাওয়া আইসিসির সর্বক্ষমতাসম্পন্ন চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন শ্রীনিবাসন। অথচ তার মেয়ের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পনের বিরুদ্ধেই বাজি ধরা ও বাজিকরদের কাছে তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাই আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই শ্রীনিবাসনের সরে দাঁড়ানোটা প্রয়োজন বলে সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
এছাড়া বিসিসিআই বা আইপিএলের সঙ্গে শ্রীনিবাসনের কোম্পানি ইন্ডিয়া সিমেন্টসকে জড়িত করতে নিষেধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে চেন্নাই সুপার কিংসের গুরুনাথ মায়াপ্পনের বিরুদ্ধে আইপিএলে বাজি ধরা এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন।

সাবেক বিচারপতি মুকুল মুডগালের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন এর আগে তাদের যে প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয়, তার ওপরই এ শুনানি চলছে।

ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীশান্তসহ রাজস্থান রয়্যালসের তিন ক্রিকেটারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অনেকের পরিচয় ফাঁস হতে থাকে, গ্রেপ্তার হন আরো কয়েকজন।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রেপ্তার হন চেন্নাই সুপার কিংসের ‘প্রিন্সিপাল’ ও শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পন। এরপর শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের ক্রিকেট অঙ্গন।

ফলে ওই সময় বিসিসিআইয়ের এক জরুরি সভায় শ্রীনিবাসনকে এক মাসের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অবশ্য কিছুদিন পরই জামিনে মুক্তি পান মায়াপ্পন। শ্রীনিবাসনও বোর্ড প্রধানের দায়িত্বে ফেরেন। তবে এবার আদালতের রায়ে দায়িত্ব ছাড়তে হলো তাকে।
 


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।