কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা হিন্দুপাড়ায় এক মহাজনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৮ কেজি বন্ধকি স্বর্ণালংকার জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। এ ঘটনায় ওই মহাজন ও তাঁর দুই ছেলেকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবাদে কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে জুয়েলারি সমিতি।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নন্দরাম ধর (৫৫) এবং তাঁর দুই ছেলে পলাশ ধর (৩০) ও সুমন ধর (২৮)। তিনজনকেই চকরিয়া থানায় রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, অভিযানের সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। পরে নন্দরামকে আহত অবস্থায়ও দেখা গেছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রোববার রাত ১২টার দিকে ওই মহাজনের বাড়িতে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁর বাড়িতে স্বর্ণালংকারগুলো কাপড়ের ১৪টি ছোট পুঁটলিতে পাওয়া যায়।
অভিযান শেষে স্বর্ণালংকারগুলো আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে চকরিয়া থানায় নেওয়া হয়। এরপর তা গণনা ও ওজন করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, গয়নাগুলো বন্ধকি। ওই মহাজনের কাছে গয়নাগুলো বন্ধক রেখে এলাকার লোকজন টাকা নিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জব্দ করা স্বর্ণালংকারের ওজন প্রায় ২৮ কেজি।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলার ৬০০ জুয়েলারি দোকানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ঝন্টু ধর অভিযোগ করেন, রাত ১২টার সময় সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা চকরিয়ার বিশ্বস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ী নন্দরাম ধরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বন্ধকি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন।
ঝন্টু ধরের দাবি, বন্ধকির ব্যবসা বৈধ। এ ব্যবসা তাঁদের পূর্বপুরুষ থেকে চলে আসছে। নন্দরামও বৈধ ব্যবসায়ী।
তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তিনি কোনো সন্ত্রাসী নন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নন্দরামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের শরীর থেকেও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি ওসমান গণি জানিয়েছেন, আজ বিকেল চারটায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে কর্মসূচি দেওয়া হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।