আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ব্যাচেলর’ নন মোদি

কিন্তু বুধবার গুজরাটের ভদোদারা লোকসভা আসনের প্রার্থী হিসেবে জমা দেয়া মনোনয়নপত্রে ৬৩ বছর বয়সী এই নেতা নিজেকে বিবাহিত উল্লেখ করে স্ত্রীর নামের জায়গায় যশোদাবেন নামটি উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম।

এর আগে ২০০১, ২০০২, ২০০৭ ও ২০১২’তে গুজরাটের চারটি বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ওই ঘরটি খালি রেখেছিলেন তিনি।

প্রথমবার এটি চ্যালেঞ্জ করেছিল কংগ্রেস। ২০০১ সালে যখন মোদি রাজকোট-২ আসনে বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এর তিনমাসের মধ্যেই মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।



১৭ বছর বয়সে নিজের প্রায় সমবয়সী যশোদাবেনকে বিয়ে করেছিলেন মোদি। বিয়ের দুই সপ্তাহের মধ্যেই যশোদাবেনকে তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। তারপর আর তাকে নিয়ে আসেননি।

মোদির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা দুজনে কখনোই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে ঘর-সংসার করেননি।

অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক যশোদাবেন থাকেন ব্রাহ্মণবাদা নামে এক গ্রামে।

গ্রামটি মোদির নিজ শহর ভাদনগর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে।

এবার ভারতের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রে ওই ঘরটি খালি রাখলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি জানিয়েছিল, বিবাহিত বা অবিবাহিত, এর কোনো একটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

নির্বাচনী আইনানুযায়ী বিবাহিত হলে স্ত্রীর সম্পদের বিবরণও দাখিল করতে হয়।

মনোনয়নপত্রের জটিলতা এড়াতেই স্ত্রী হিসেবে যশোদাবেনকে স্বীকার করে নিলেন মোদি।

তবে স্ত্রীর কী পরিমাণ সম্পদ আছে তা তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।

আর নিজের সম্পদ বিবরণীতে তার মোট দেড় কোটি রুপির সম্পদ আছে বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৭শ’ রুপি নগদ, ৪৪ লাখ রুপির ব্যাংক ডিপোজিট এবং প্রায় সাড়ে চারলাখ রুপির সেভিং সার্টিফিকেট।

আড়াই লাখ রুপিতে কেনা তার বাড়ির বর্তমান বাজার মূল্য আছে প্রায় এক কোটি রুপি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।