যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।
উপরের ছবিটি একটি ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে। আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ডের শেয়ার দেখে ক্লিক করে দেখি মোট ৪৯৪ টা শেয়ার।
তাই জানতে ইচ্ছে হল সুনিতা উইলিয়ামস বিষয়ে।
সত্য হলে শেয়ার করে নেকী কামানোর অদম্য ইচ্ছায়। নেকী জিনিস টা খুব ভাল। এর দরকার আছে।
গুগলে সার্চ দিয়ে ই পাওয়া গেল মিরাজ রহমান কালের কন্ঠে লিখেছেন সুন্দর গল্প। তার গল্পের বিভাগের নামই মুসলমান হওয়ার গল্প -১।
এই গল্প পরে গেলাম উইকিপিডিয়ায় । সেখানে দেখি নাম লেখা সুনিতা পান্ডে কৃষ্ণা। মুসলমান হলে নাম বদলানো উচিত ছিল। যেমন কিছুদিন আগে শুনেছিলাম এঞ্জেলিনা জলি ইজ নাও আঞ্জুমান আরা জলি।
উইকিতে আরো উল্লেখ আছে তার প্রথম মহাকাশ যাত্রা ৯ ডিসেম্বর ২০০৬।
কিন্তু যে ছবি দুটি কে বলা হয় সুনিতা মহাকাশ থেকে দেখেছেন তা ১৯৯৯ সালে তোলা।
স্পেস ইমেজিং ডট কম নামে একটা সাইটে প্রথম প্রকাশিত হয় ছবি দুটি। তারপর বিভিন্ন ইসলামিক ফোরামে । এমনকি মোল্লা সাহেব নামে এক ব্যক্তি এই ফোরামে আপলোড করেছেন মে ২০০৬ এ!
স্পেস ইমেজিং ডট কম সাইট টি এখন বন্ধ আছে। তবে ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ৭৭৫ বার ক্রল হয়েছে।
দেখতে পারেন ।
আচ্ছা, এই ১৯৯৯ এর ছবি দুটি দিয়ে বলা হচ্ছে সুনিতা উইলিয়ামসের কাহিনী। ভাওতাবাজি না? পবিত্র ধর্মে ভাওতাবাজির স্থান নেই আমার জানামতে।
আরেক কথা সুনিতা উইলিয়ামস গেছেন স্পেস স্টেশনে, চাঁদে না। অনেক জায়গায় লেখা দেখলাম চাঁদে গেছেন!
চাঁদে বাতাস নেই।
শুন্যস্থানের ভেতর দিয়ে শব্দ সঞ্চালিত হয় না। নাইন টেনের ফিজিক্সেই আছে। তাও চাঁদের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে দেখতে পারেন এই লিংক । অতএব নীল আর্মস্ট্রং এর ও চন্দ্রে থেকে আযান শোনার গল্পের যৌক্তিকতা নেই।
শেষকথা হল এঞ্জেলিনা জলি আঞ্জুমান আরা জলি কিংবা সুনিতা উইলিয়ামস সুফিয়া বেগম হল কি না--এইসব ফালতু খবর বিনোদন ছাড়া আর কিছু উৎপন্ন করে না।
দুনিয়া ও আখেরাতের অশেষ কামিয়াবি এভাবে হাছিল হবে না। ফেসবুক পেইজ কাবা ঘরের ছবি দিয়া কে কে যেতে চান লাইক দেন বললেই দেখা যায় হাজার হাজার লাইক!!
আপনার ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করছে এসব পেজ। অতএব এগুলো শেয়ার করার আগে যাচাই করুন।
সুনিতা উইলিয়ামস একজন মারাত্বক প্রতিভাবান মহিলা। এইসব ভুং ভাং খুজতে গিয়া নাসা তে তার বায়ো দেখলাম।
এবং তার টুইটার থেকে পাওয়া গেল ভালো কিছু ছবিঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।