আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বাসা বাড়িতে হানা দিয়েছে কানাডার রয়্যাল পুলিশ।

পদ্মা সেতু দুর্নীতির ৩৫ মিলিয়ন ডলারের খোঁজে ভার্জিনিয়া এবং টরান্টোতে হানা দিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভার্জিনিয়াস্থ বাসাবাড়ি, ব্যবসা ও ব্যাংকের খোঁজ খবর নিচ্ছে আমেরিকার পুলিশ ও এন্টিমানি লন্ডারিং এজেন্সি। অন্যদিকে অটিজম কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বাসা বাড়িতে হানা দিয়েছে কানাডার রয়্যাল পুলিশ। উল্লেখ্য, পদ্মাসেতুর পরামর্শক ঠিকাদারী কাজ পাওয়ার জন্য এসএনসি লাভালিন কোম্পানী মোট ৩৫ মিলিয়ন ডলার ঘুস দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী হাসিনার কন্যা পুতুল ও পুত্র জয়কে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ মিলিয়ন ডলার ঘুস টরান্টোর ৪ ব্যক্তির মাধ্যমে হাসিনার মেয়ের স্বামী খন্দকার মাসরুর হোসেনের একাউন্টে যায়।

আর বাকী অর্থ যায় শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের আমেরিকার একাউন্টে, যা খরচ করা হয়েছে জয়ের দু’টি বাড়ির মার্টগেজ পরিশোধে ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। দুই ভাইবোন মিলে তার মা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে কাজটি পাইয়ে দেয় লাভালিনকে। সন্দেহজনক এ বিশাল লেনদেনের অস্বিত্ব টের পেয়ে তদন্ত শুরু করে কানাডা পুলিশ ও এন্টি মানি লল্ডারিং এজেন্সি। আর অপরদিকে বিশ্বব্যাংকও নিজস্ব অনুসসন্ধান করে দুর্নীতির প্রমান পায়। এরপরে বাংলাদেশ সরকার জানালে হাসিনা সরকার আমলে নেয়নি।

আরো পরে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি ঋণ বন্ধ করে দেয়। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চিৎকার করতে থাকেন- বিশ্বব্যাংক নিজেরাই নাকি দুর্নীতিবাজ! অবশ্য তার আগেই এ ঘুস কেলেঙ্কারী নিয়ে কানাডায় মামলা হয়েছে, দু’জন লাভালিন কর্মকার্তাকে আটক করেছে কানাডা পুলিশ। এখন এফবিআই আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য খোঁজ করছে জয়ের মালিকানাধীন ইনফোলিংক, নোভা, সিমইউ, টাইকো, ওয়াজেদ কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লগ্নির উৎস কি। সপ্তাহ তিনেক আগে পুতুল ও তার স্বামীর পাসপোর্ট জব্দ করেছে কানাডা সরকার। তবে তার আগেই স্বামী ও বাচ্চা সহ পুতুল পালিয়ে যায় এবং বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকায় চলে আসে।

এখন তাদের অবস্থান গনভবনে, মায়ের কাছে। ঘুসের এই ৩৫ মিলিয়ন ডলার কিন্তু লাভালিনের অর্থ নয়, এটা বাংলাদেশের জনগনের টাকা। এই পরিমান অর্থ হাসিনা ও মাল মুহিতের নির্দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অগ্রিম ছাড় করা হয় লাভালিনের অনুকূলে ২০১১ সালে। এরপরে লাভালিন তা পরিশোধ করে জয় ও পুতুলকে। কাজেই বুঝে নিন, কিভাবে লুটপাট হচ্ছে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।