প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর।
মানুষের শরীরের ভেতরে যে চাপ আছে এবং শরীরের বাইরে যে চাপ আছে, তা এক নয়। চাপের মধ্যে তফাৎ আছে। আর সেজন্য মানুষ কাজ করতে পারে। মানুষের শরীরের ভেতরের চাপ বলতে রক্তের চাপ।
বাতাসের চাপের চেয়ে মানুষের রক্তের চাপ একটু বেশী। মানুষের শরীরে রক্ত চলাচল করে। তাহলে রক্তের গতিবেগ আছে। রক্তের গতিবেগ বেশী হলে রক্তের চাপ কম হয়, আর তখন বাতাসের চাপ বেশী থাকায়, বাতাস বা অক্সিজেন গ্যাস মানুষের শরীরে ঢকে। আবার শরীরে রক্তের গতিবেগ কম হলে, রক্তের চাপ বেশী হয়,আর তখন শরীর থেকে বাতাস বা কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাস বের হয়।
রক্ত শরীরের মধ্যে চলাচল করে।
মানুষের মৃত্যু হলে শরীরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে আসে না। এবার বলতে পারি, রক্তের গতিবেগ অর্থাৎ রক্তকে ভর বলতে পারি, আর রক্তের গতিবেগকে ভরের গতিবেগ বলতে পারি।
আমরা জেনেছি, গতিবেগ কম হলে চাপ বাড়ে এবং গতিবেগ বেশী হলে চাপ কম হয়।
তাহলে হঠাৎ রক্তের গতিবেগ শূন্য হলে রক্তের চাপ বেশী হবে। আর তখন শরীরে কোন অক্সিজেন গ্যাস ঢুকবে না।
চাপ বেড়ে গেলো অর্থাৎ শরীরে বেশী বল প্রয়োগের উপস্থিতি দেখা গেলো। এই বল প্রয়োগে শরীরের ভেতরকার সব শক্তি ব্রেন ওয়েভের মধ্য দিয়ে বের হয়ে যাবে এবং বাতাসের মধ্যে পূর্বেকার আকার এবং আয়তন করে নেবে। এটাই ভূত।
ভর কম হলে তার গতিবেগ বেশী হয়। ভর বেশী হলে তার গতিবেগ কম হয়। ভূতের ভর কম থাকায়, ভূত গতিবেগ নিয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় তাড়াতাড়ি যেতে পারে।
জীবিত অবস্থায় আমরা খাদ্য গ্রহণ করি। আর এই খাদ্য থেকে আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ হয়।
ভূতের শরীরে এইরকম শক্তি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। মানুষের শরীরে যে শক্তি আছে, সেই শক্তি নিয়ে মানুষের মৃত্যুর পর ভূতের আবির্ভাব। এই শক্তি নিয়ে ভূত কাজ করে।
আমাদের শক্তি ব্যয়িত হয় কথা বলার জন্য এবং কাজ কর্ম করার জন্য।
ভূতেরা খুব একটা কথা বলে না।
বেশীরভাগ সময় ভূতেরা উঁচু গাছের ওপর থাকে। হাঁটাচলা খুব একটা করে না। উঁচুতে থাকায় ভূতের শরীরে পোটেনশিয়াল এনার্জি বেশী থাকে। তারপর চলাফেরা করার সময় উক্ত এনার্জি কাইনেটিক এনার্জিতে রূপান্তরিত হয়।
ভূতের আয়ু তিন বছর মতো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।