আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুকুরপাড়ে রোদ হেসে যায়, সূর্য অস্তাচলে... [স্মৃতিকথামূলক পোস্ট]

তুমি আমার জল-স্থলের মাদুর থেকে নামো.....তুমি বাংলা ছাড়ো !!! বাইরের আকাশটা কুয়াশাচ্ছন্ন, হয়তো রোদ আজ আসবেনা কোন অজানা অভিমানে। মন খারাপের এই দিনে সূর্য থাকবে আড়ালে। প্রচন্ড মনোকষ্টে। এই রকম শীতের দিনে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। আমি আর আমার দুই বন্ধু সবসময় একসাথে খেলতাম।

শীতের সময়ে আমাদের বাড়ির পেছনে ইটের ভাটায় মাটি দিয়ে ইট বানাত। দুর-দুরান্ত থেকে শ্রমিকরা কাজ করতে আসত। রাত জেগে চলত গানের আসর। আমরা ইটের ভাটা থেকে কাদা নিয়ে আসতাম। কাদা নিয়ে মাটির ইট, ফুল, পাতা আর মোবাইল বানাতাম।

এগুলো কেনাবেচার মাধ্যম ছিল কাঁঠালের পাতা। আমাদের উঠানে সকাল হলে প্রচুর কাঁঠাল পাতা পড়ত। আমরা ওগুলো জড় করে এলাকার অন্যান্যদের কাছ থেকে ঐ মাটির জিনিস কিনতে বেরোতাম। কারণ, অনেক জিনিস কিনতে হবে। প্রতিযোগিতায় টিকতে হবে যে.... কখন যে সকালে খাওয়ার সময় পার হয়েছে টের পেতাম না।

আম্মা কাউকে দিয়ে ডেকে পাঠাতেন। এসে দেখতাম নানী খেজুরের রস পাঠিয়েছেন। মহানন্দে গ্লাসভর্তি খেজুর রস খেয়ে আবার খেলতে বেরোতাম। শীতের ছুটি যে- পড়াবে আমায় কে.... দুপুরে সীম অথবা ফুলকপির তরকারি কোনদিনই আমার প্রিয় ছিল না। আরও অপ্রিয় ছিল দুপুরে ঘুমানো।

অনেক বায়না করে আমার আম্মাকে নিয়ে পুকুরপাড়ের রোদে বসতাম। আমার আম্মার ফরসা গালে শীতের হালকা রোদ্দুর খেলা করত... বেলা পড়ে এলে দলবেঁধে গোল্লাছুট আর দাঁড়িয়া- বান্ধা খেলতাম। কেন জানিনা, সন্ধ্যা খুব তাড়াতাড়িই পড়ে আসত। যেমনি করে জীবনের সুন্দমুহূর্তগুলো ফুরিয়ে আসে..... [সবাইকে বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।