আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলীমের নির্দেশে খুনের পর লাশ পোঁতা হয় পুকুরপাড়ে

প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষী আব্দুল হামিদ সাকিদার মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ এ হাজির হয়ে নিজের জবানবন্দি উপস্থাপন করেন।
জয়পুরহাটের আবুল হোসেন সাকিদারের ছেলে মুদি দোকানী হামিদ  (৫৭) বলেন, একাত্তরে মুসলিম লীগ নেতা আব্দুল আলীম ছিলেন স্থানীয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি বিএনপির মন্ত্রী হন।
তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যাপক হত্যা, লুটপাট চালায় বলে সাক্ষ্যে জানান তিনি।
“একদিন তারা জয়পুরহাটের বারোঘটি পুকুর পাড়ে উত্তর পাশে ১১ জনকে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে।

তাদের ১১ জনের মুখেই কালি মাখানো ছিল। এরপর ৬ জনের লাশ পুকুরের দক্ষিণ পাশে আম গাছ তলায় এবং ৫ জনের লাশ  উত্তর দিকের লিচু গাছ তলায় পুঁতে ফেলা হয়। ”
সাক্ষী জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫/৬ মাস পর ওই পুকুরে জাল ফেলা হলে প্রায় দেড়শ কঙ্কাল উঠে আসে। স্থানীয়রা পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে কঙ্কালগুলো মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
তিনি বলেন, মুসলিম লীগ ও জামায়াতের কর্মীদের নিয়ে আব্দুল আলীম শাওনলাল বাজলার গদিঘর দখল করেন।

সেখানে সেনা ক্যাম্প বসানোর পাশাপাশি রাজাকার সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়।
এ সময় আদালতে উপস্থিত আসামি আলীমকে সনাক্তও করেন সাক্ষী।
সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক হেনা তাকে জেরা করেন। তিনি জানতে চান, পুকুরের মৌজাটি কার নামে?
জবাবে সাক্ষী বলেন, ওই জমি তার দাদা ইমান আলী সাকিদারের নামে ছিল।
এক পর্যায়ে জেরা অসমাপ্ত রেখেই মামলার শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন বিচারক।


সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭টি ঘটনা আমলে নিয়ে ২০১২ সালের ১১ জুন আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় এর আগে প্রসিকিউশনের পক্ষে  আরো ২০ জন সাক্ষ্য দিতে আসেন এর মধ্যে ১৯তম সাক্ষী আবেদ হোসেনকে বৈরী ঘোষণা করে প্রসিকিউশন।
২০১১ সালের ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার আলীম বর্তমানে বিশেষ শর্তে জামিনে রয়েছেন। ঢাকায় তিনি অবস্থান করছেন তার ছেলে ফয়সাল আলীমের বাড়িতে, যিনি মোবাইল কনটেন্ট প্রোভাইডার উইনটেলের মালিক।    


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.