বান্দরবানের আলীকদমে এক রোহিঙ্গা লিডারের নির্দেশে অসুস্থ মহিলাকে জীবন্ত কবর দেয়ার অপচেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার উপজেলা সদরের থানা পাড়া কবরস্থানে মহিলার নিকটাত্মীয়রা কবর তৈরী করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে কবর খুঁড়তে থাকা ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে জানা গেছে, আলীকদম উপজেলা সদরের থানা পাড়ার জাহিদ হোসেনের স্ত্রী খতিজা বেগম (৪০) গত তিনবছর ধরে মানসিক রোগে ভূগছেন। তিনি ৭ ছেলে ও ২ মেয়ের জননী।
মহিলা স্বপ্ন দেখে যে, রোগমুক্তি পেতে হলে তাকে তিনদিন কবরস্থ হতে হবে।
মহিলার পুত্র স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম আব্দুল আমিন জানান, কথিত স্বপ্নের দোহাই দিয়ে স্থানীয় রোহিঙ্গা লিডার আব্দু শুক্কুর তার মাকে জীবন্ত কবর দেয়ার অনুমতি দেয়। এ রোহিঙ্গা লিডারের নির্দেশেই তার ভগ্নিপতি হারুন, সিরাজ এবং জেঠাত ভাই সোলতান ও হোসেন আহামদ কবর খুঁড়ে।
ঘটনার শিকার খতিজা বেগম জানান, তিনবছর ধরে তার কাছে জিনহাজির রয়েছে। রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই তিনি জীবন্ত কবরস্থ হতে চান।
ঘটনার শিকার মহিলা, কবর খুঁড়ার নির্দেশ দাতা এবং কবর খুঁড়ায় অংশ নেয়া সকলেই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। তারা ইতোপূর্বে অনুপ্রবেশ করে উপজেলা সদরের থানা পাড়ায় আস্তানা তৈরী করে। এরমধ্যে আব্দু শুক্কুর রোহিঙ্গা লিডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে কবর খুঁড়ার নির্দেশ দাতা আব্দু শুক্কুর জনরোষের আশংকায় ঘটনার বিষয় অস্বীকার করেন।
সরেজমিন তদন্ত শেষে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কামরুল হাসান টিপু ও আইন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী।
এছাড়াও ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন, কৃষকলীগ সভাপতি আব্দুল মতিন মেম্বার, ওয়ার্ড মেম্বার আলী আকবর ও যুবলীগ সেক্রেটারী আবুল কালাম। তারা এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। কবর খুঁড়ার নির্দেশদাতা আব্দু শুক্কুর বলেন, তিনি কবর খ্ুঁড়তে নির্দেশ দেননি। বরং কবর খুঁড়তে বাধা প্রদান করেছেন। এ ঘটনায় তিনি কোনভাবেই দায়ী নন।
আলীকদম থানার উপ-পরিদর্শক ছৈয়দ ওমর জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।