হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই ভাই রুপচান এর কথা পড়তে যেয়ে আবার চোখ ভিজে গেল। মাফ করবেন চোখের পানি না, চোখে কি যেন ময়লা পড়ছে, এখন আর চোখে সহজ়ে পানি আসে না। বুকে হাত দিয়ে বলুন আপনার কি রুপচান এর কথা মনে আছে? নাই।
থাকবে কি ভাবে আপনার আমার ভাবনায় যে সব সময় সুরঞ্জিত সেন, আবুল হোসেন এদের নাম থাকে। আমরা একটা যুদ্বকালীন সময় পার করছি যেখানে রুপচান রাই মুক্তিযোদ্বা, মুক্তিযোদ্বাদের কথা কেউ মনে রাখে না। সুরঞ্জিত সেন, আবুল হোসেন এরা নব্য পাকিস্তানি এদের কথাই আমরা শুনি আমরা পেপারে পড়ি। আমি রুপচান এর কথা বলি আমি আয়শা বেগম এর কথা বলি এরাই এখন কার এই দুঃখিনী বাংলার সেক্টর কমান্ডার। আমাদের আরও অনেক রুপচান, আয়েশা লাগবে, কবে আমরা আবার মানুষ হব।
ইশ চোখে যে কি হল আবার ভিজে যাচ্ছে। আমাকেই ভাবতে হবে আমার সন্তানরা কাদের দেশে থাকবে রুপচান্ দের দেশে নাকি সুরঞ্জিত সেন, আবুল হোসেন এর দেশে
রিকশা চালক রূপচাঁন
রিকশা চালক রূপচাঁন। গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরের পালং থানার দেওভোগ। দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্তি পেতে ২ বছর আগে স্ত্রী ও ২ সনত্মানকে নিয়ে পাড়ি জমান তিলোত্তমা নগরী ঢাকায়। কাজের সন্ধান করেছেন, জুটেনি।
শেষ পর্যনত্ম গ্রামের যুবক রূপচাঁন হয়ে যায় রিকশা চালক। বাসা কেরানীগঞ্জের এক বসিত্মতে। প্রতিদিন যা রোজগার করেন তাতে সংসার চালানো দুষ্কর। প্রতিদিন স্ত্রী ও সনত্মানদের ওজর আপত্তি মুখ বুঁজে সহ্য করেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতির মধ্যে রূপচাঁন রাসত্মায় কুড়িয়ে পান আড়াই লাখ টাকার প্যাকেট (৫টি বান্ডিল)।
ভড়কে যান রূপচাঁন। জীবনে এক সঙ্গে ১০ হাজার টাকা দেখেননি। কি করবেন তিনি? নিশ্চয় টাকা নিয়ে দ্রম্নত বাসায় চলে যাবেন? ভালো খাবার-দাবার, পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন পোশাক কিনবেন? না, আমরা যে রূপচাঁনের কথা বলছি তিনি আড়াই লাখ টাকা পাওয়ার পরও লোভ তাকে গ্রাস করেনি। টাকা নিয়ে সোজা হাজির হন নিউ মার্কেট থানার ওসি কামরম্নল ইসলামের কাছে। সরাসরি টাকার ব্যাগ তুলে দেন তার হাতে।
রূপচাঁন তার সততার প্রতিদানও পেয়েছেন। টাকার মালিক তাকে পুরস্কার হিসাবে দিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা আর ডিএমপি কমিশনার একেএম শহীদুল হক তার নিজস্ব তহবিল থেকে দিয়েছেন আরো ৫ হাজার টাকা।
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদার ও রেলওয়ের এক মহাব্যবস্থাপকসহ চারজনকে মধ্যরাতে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ 'আটক' নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের প্রধান গেটে '৭০ লাখ টাকা'সহ বিজিবি তাদের আটক করে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। পরে সকালে এপিএসের গাড়িচালক ছাড়া অন্য তিনজনকে ছেড়ে দেয় বিজিবি।
তবে আটক ও ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেও টাকা উদ্ধারের বিষয়টি কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। টাকার উৎস, গন্তব্য ও পরিমাণ নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। এপিএস দাবি করেছেন, টাকার পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ লাখ এবং এ টাকা তার লন্ডন প্রবাসী শ্যালকের। একাধিক সূত্রমতে, টাকার অঙ্ক ৭০ লাখ। এদিকে রেলমন্ত্রী ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন সমকালকে জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রীর এপিএস ফারুকসহ কয়েকজনকে পরিচয়পত্র না থাকার কারণে আটক করা হয়েছিল। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল সকালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি গুজব।
বিজিবি সদর দফতরে আটক হওয়ার সময় এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে ছিলেন রেলওয়ের
দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকার পর রেলওয়েতে কয়েক হাজার পদে নতুন নিয়োগ দানের উদ্যোগ নেওয়া হলে মন্ত্রণালয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। পদগুলোর মধ্যে রয়েছে এপ্রেন্টিস, এএলএম, ওয়েম্যান, এএসএমসহ অনেকগুলো ক্যাটাগরি। এ জন্য ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছিল। এপিএস তার আস্থাভাজন লোকদের দিয়ে এ টাকা সংগ্রহ করছিলেন বলে কোনো কোনো সূত্র জানায়।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের খুব কাছের মানুষ ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা।
মন্ত্রীর সুনজর থাকায় প্রধান প্রকৌশলী থেকে খুব সহজে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক পদ পেয়ে যান তিনি। তার জোর তদবিরের কাছে হার মানতে হয় অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। রেলের পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-সিলেটসহ দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রেল রুটগুলোতে ট্রেন চলাচলে নিয়মিত সিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও সেদিকে কোনো নজর ছিল না তার। রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় কোটিপতি এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ ঠিকাদারদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কমিশন নেওয়ার অভিযোগও তোলেন।
এ ছাড়া রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর চট্টগ্রামের সিআরবিতে হলেও অধিকাংশ সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করতেন।
একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে এনামুল হকের বিরুদ্ধেও। এনামুল হকের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি নিজেকে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে রেল প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করছেন। তার বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্য, রেললাইনকেন্দ্রিক মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তা, অবৈধ দোকান মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
ভাই রুপচান এর কথা পড়তে যেয়ে আবার চোখ ভিজে গেল। মাফ করবেন চোখের পানি না, চোখে কি যেন ময়লা পড়ছে, এখন আর চোখে সহজ়ে পানি আসে না। বুকে হাত দিয়ে বলুন আপনার কি রুপচান এর কথা মনে আছে? নাই। থাকবে কি ভাবে আপনার আমার ভাবনায় যে সব সময় সুরঞ্জিত সেন, আবুল হোসেন এদের নাম থাকে। আমরা একটা যুদ্বকালীন সময় পার করছি যেখানে রুপচান রাই মুক্তিযোদ্বা, মুক্তিযোদ্বাদের কথা কেউ মনে রাখে না।
সুরঞ্জিত সেন, আবুল হোসেন এরা নব্য পাকিস্তানি এদের কথাই আমরা শুনি আমরা পেপারে পড়ি। আমি রুপচান এর কথা বলি আমি আয়শা বেগম এর কথা বলি এরাই এখন কার এই দুঃখিনী বাংলার সেক্টর কমান্ডার। আমাদের আরও অনেক রুপচান, আয়েশা লাগবে, কবে আমরা আবার মানুষ হব। ইশ চোখে যে কি হল আবার ভিজে যাচ্ছে। আমাকেই ভাবতে হবে আমার সন্তানরা কাদের দেশে থাকবে রুপচান্ দের দেশে নাকি সুরঞ্জিত সেন, আবুল হোসেন এর দেশে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।