জামাতি রাজাকারের দল ৭১ সালে নিরীহ বাঙ্গালীকে ঘায়েল করতে ব্যাবহার করেছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্রপাতি। মনে হচ্ছে আজ আবার ওদের পিতাদের বাচাতে হাঁতে পেয়ে গেছে এক নিপুন অস্ত্র। দুই বিচারকের স্কাইপি সংলাপ। ওদের ভাবটা এমন যেন এই প্রলয়ঙ্করি অস্ত্রে সেই বাঙালি কুপোকাত হয়ে যাবে, যে বাংগালি নেংটি কাছা দিয়ে এক পরাক্রমশালী সেনাবাহিনিকে পাছায় লাত্থি দিয়ে বিদায় করেছে।
এবার কথিত এই মহান অস্ত্র নিয়ে দুটি কথা বলতে চাই।
ওদের এই অস্ত্রের অবয়ব বিশাল। একাধিক সেশনে ঘণ্টার পর ঘন্টা খেজুরে গল্পের এক ফিরিস্তি। কিন্তু নিরঝাস অতি অল্প। যে কথা গুলো নিয়ে ওরা লাফায় সেগুলো এই রকমঃ
১। সরকার রায়ের জন্য পাগলা হয়ে গেছে।
সরকার রায় চায়।
২। আইন মন্ত্রির সাথে পরামর্শ করে কার রায় আগে হবে তা পুনঃনির্ধারণ করার কথা জানা যায়।
৩। রায়ের কাঠামো (format) প্রস্তুত করা এবং তা প্রবাসী আইনজীবীকে দেখিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়।
৪। একজন আইনজীবী ব্যক্তিগত ভাবে মামলার বিষয় নিয়া কারো সাথে আলোচনা করেন সেইটা প্রমাণিত হয়।
এর বাইরে আর কোন অভিযোগ আছে কিনা আমি জামাত শিবিরের কাছে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে চাই এবং তার জবাব দিবার নিশ্চয়তা দিলাম।
এবার আমি একটা একটা করে অভিযোগ গুলো নিয়ে কথা বলবোঃ
১। সরকার রায়ের জন্য পাগলা হয়ে গেছে।
সরকার রায় চায়।
সরকার রায় চায়! এইটা কিভাবে অভিযোগ হতে পারে! সরকার রায় ত্বরান্বিত করতে চায়? এতেই বা অভিযোগের কি আছে? সরকার কি বিনা বিচারে রায় চাইসে? না! কোন ভাবে কোন প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে যদি একটি রায় সরকার চাইতো, তার জন্য চার বছর লাগত না। জিয়া কতদিন লাগিয়েছিল করনেল তাহেরকে ফাসিতে ঝুলাতে মনে আছে?
আওয়ামীলীগকে ঘৃণা করি কারন তারা বিচার নিয়ে দীর্ঘসুত্রিতা করেছে। চারবছর হয়ে গেছে এখনো একটি পিশাচের টিকি স্পর্শ করা হয় নাই। তারা ক্ষমতা আর ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে বিচার সম্পন্য করবে কি না তা নিয়ে আজ জনমনে প্রশ্ন।
সুতরাং এই খবর লীগের উপকার করবে এইভাবে যে সরকার সত্যিই বিচার করতে চায়।
ওরে পরাজিতের দল, জেনে রাখ, সরকার নয় বরং এদেশের মানুষ আজ পাগল হয়ে গেছে। তারা একটা না, সকল হায়েনার বিরুদ্ধে রায় চায়। তাই তোদের এই আস্ফালন সরকারকে আরও সাহসি করবে।
২।
আইন মন্ত্রির সাথে পরামর্শ করে কার রায় আগে হবে তা পুনঃনিরধারন করার কথা জানা যায়।
কি হাস্যকর। আজ জনতা যখন, সকল হায়েনার ফাঁসি চায়, তখন তোরা কে কার আগে ঝুলবে তা নিয়ে মাথা ঘামাস! বাঙ্গালীর মন পড়তে পারলে বুঝতি, সব কয়টারে এক রশিতে ঝুলাইতে দেখলে তারা সবচেয়ে খুশি। কে আগে মরল তা নিয়ে তোদের মাথাব্যথা থাকতে পারে, কোন প্রকৃত বাঙ্গালীর তা নিয়ে কোন মাথাব্যথা নাই। তোরা সব নিপাত যা আমরা এইটাই চাই।
৩। রায়ের কাঠামো (format) প্রস্তুত করা এবং তা প্রবাসী আইনজীবীকে দেখিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়।
একাডেমিকেলি বললে বলবো, ফরমেট তো রায় নয় বরং রায়ের কাঠামো। কাঠামোর ভিতরে কি লেখা হবে তা মামলা পর্যালোচনার পর লিপিবদ্ধ করা হলে সমস্যাটা কোথায়?
এইবার একজন বাংলাদেশি হিসেবে বলি শুনে রাখ, কোন বিচারক যদি এমন কোন ফরমেট বানায় যেটার ফাইনাল আউটকামে কোন যুদ্ধাপরাধির ফাঁসি ছাড়া অন্য কিছু বের হয়ে আসে , এ জাতি তা মেনে নেবে না। এইবার বল, কে কোন ফরম্যাট বানালো তাতে কি এসে যায়!!
৪।
একজন আইনজীবী ব্যক্তিগত ভাবে মামলার বিষয় নিয়া কারো সাথে আলোচনা করেন সেইটা প্রমাণিত হয়।
১৭ ঘণ্টার আলোচনা পড়ে আমি কোথাও পাইনি, যেখানে রায় কে প্রভাবিত করার মত অথবা কোন fact বাইপাস করার মত কোন কথা বলা হয়েছে। তারা কথা বলেছে বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে, টেকনিকেল বিষয়াদি নিয়ে, নিশ্ছিদ্র ও গ্রহণযোগ্য করার উপায় নিয়ে। আর এসবি করতে হয়েছে আন্তরজাতিক ভাবে রায়কে গ্রহণযোগ্য করতে। কারন আমরা জানি এ জামাত দেশের স্বার্থ ভুলে গিয়ে নেতাদের বাচাতে আন্তর্জাতিক ভাবে প্রোপাগান্ডায় নিয়োজিত।
কিন্তু এ দেশের মানুষের রায় একটাই, ওদের ফাঁশি। আমরা সঙ্কিত সরকার কোন চাপে মাথানত করে ওদের এই প্রাপ্যকে না আবার লঘু করে ফেলে। তাহলে এই জাতি এই সরকারকেও ক্ষমা করবে না।
তাহলে কি দাঁড়ালো? ১৭ ঘণ্টার ভিডিও কথন থেকে এই তাদের অভিযোগ!! সরকার আজ এই স্কাইপ লিকেজ স্বিকার করতে চাচ্ছে না। তাদের অনেক প্রটোকল নিয়ে ভাবতে হয়।
তবে তোরা জেনে রাখ, এতো অনিশ্চয়তার মধ্যে সরকারের এই কিঞ্চিৎ সদিচ্ছা সাধারন মানুষ আশার আলো দেখিয়েছে। তারা যে রায় চায়, সরকার ছাপে পড়ে হোক, বা অন্য যে কোন কারণেই হোক, তাড়াও জনগনের মত রায় চায়।
ধন্যবাদ ইকনমিস্ট আমাদের কিছুটা ভরশা দেবার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।