সিলেটের টিলাগড়ের গোলাপটিলায় একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে সরকারদলীয় এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী গ্রুপ।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় এমপি গ্রুপের সদস্যরা। তারা প্রকাশ্য অস্ত্র ও দলবল নিয়ে গোপালটিলার বাসিন্দাদের ওপর আক্রমণ করে এমপি গ্রপের ক্যাডার ‘হেরোইন কবীর’।
হামলায় আহত হয়েছেন ১০ জন।
টিলাগড় এলাকার বাসিন্দারা জানান, শফিকুর রহমান চৌধুরী গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা জুনেদ আহমদকে দুপুর ৩টায় কুপিয়ে আহত করেন শাহপরাণ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দীপক রায় গ্রুপ।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হেরোইন কবীর গ্রুপ দীপক রায় গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী উজ্জ্বলকে কুপিয়ে আহত করে। এর জের ধরে হেরোইন কবীরের নেতৃত্বে ৩০/৩২ জন দেশীয় অস্ত্রসহ গোপালটিলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দীপক রায়ের বাসার দিকে হামলার জন্য এগিয়ে যায়।
এসময় দীপক রায়কে বাসায় না পেয়ে তারা এমসি কলেজ মাঠের পাশ দিয়ে চলে যায়। ঘটনার শুরু থেকে গ্রুপের ক্যাডার হেরোইন কবীরের দলবলের পেছনে পুলিশ থাকলে তাদের কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
টিলাগড়ে ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা একজন অতিথি বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগে ‘হেরোইন কবীর’ গ্রুপ হঠাৎ হামলা চালায়। এসময় অনুষ্ঠানে আসা ১০ জন অতিথি হামলার শিকার হন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা মনির বলেন, “দীপক রায়ের বাসায় হামলার জন্য যাওয়ার পথে ভুলবশত ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কোনোকিছু লুট করা হয়নি। ”
শাহপরাণ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দীপক রায় বলেন, “গোলাপটিলায় আমার বাসায় হামলা চালিয়েছে শফিকুর রহমান চৌধুরী গ্রুপের ক্যাডার হোরোইন কবীর। এর আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানেও হামলা ও লুটপাট করেছে তারা। তাদের সবার হাতে বন্দুক ও ধারালো দা-কিরিচ ছিল।
”
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি বিষয়টি জেনেছি, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ” থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে যেতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর মীরাপাড়ায় শ্যামল সিলেট পত্রিকার সাংবাদিক মুহিতের বাসায় হেরোইন কবিরের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে।
এ সময় ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। সিলেটের শাহপরাণ থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান তিনি।
ক্লিক:
ক্লিক: ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।