ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না ১৭. চৈনিক রমণীরা প্লাস্টিকের ঝুড়িতে সাবান-ছোবা, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ভরে উহা হাতে নিয়ে দোলাতে দোলাতে স্নান করতে যায়। মনে হতে পারে এ আর এমন কি! আমাদের দেশেও তো গ্রামাঞ্চলের লোকজন পুকুর,খাল নদীতে গোসল করতে যাওয়ার সময় তাই করে।
কিন্তু কথা হইল শহুরে চাইনিজরা গোসল করতে যায় দোকানে, হাঁ গোসলের দোকান। এরকম দৃশ্য দেখতে পাবেন বেইজিং অলিম্পিকের জন্য বানানো water cube এর সামনে ললনারা গোসল সেরে ঝুড়িতে ভেজা কাপড়, সাবান-ছোবা, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার নিয়ে বের হচ্ছে।
আমি এক টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ছাড়া আর কোথাও গোসলের দোকান দেখিনি, তাও তো সেটা ভ্রাম্যমাণ গোসলের দোকান।
সর্বশেষ এক বালতি পানি ১০টাকা দেখেছি।
চাইনিজদের এই গোসলের দোকানে যাওয়ার কারন শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের বাসায় বাথরুম তথা ঝরনা নাই। টয়লেটে জাস্ট শুধু প্রকৃতির ডাক সারার ব্যবস্হা আছে, বালতি ভরার মত কোন ট্যাপ লাইন নাই। পানি হিসেব করে খরচ করার নীতিতে বিশ্বাসী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলিতে আমাদের মত যতক্ষণ খুশি ট্যাপ ছেড়ে রাখ, সে সুযোগ নাই।
হলে দেখেছি নেশায় আসক্তরা তাদের নেশাদ্রব্য কিনতে হলের স্টিলের ট্যাপগুলো চুরি করে বিক্রি করত আর ঐ খোলা লাইনে ২৪ঘন্টা পানি পড়ত।
চাইনিজ পোলাপানের হলে গোসলের ব্যবস্হা নেই, ওরা গোসল করতে দোকানে যায় মাপা পানি দিয়ে গোসল করে। কারন লাইনে স্টুডেন্ট কার্ড ঢুকাতে হয় যতটুকু ভলিয়ুম পানি ইউজ হবে ঐপরিমাণ টাকা কার্ড থেকে তৎক্ষনাৎ কেটে নেয়। কাক গোসল করলেও কমপক্ষে ২ ইউয়ান খরচ হয়। প্রতিবারে ২৬ টাকা এজন্যই বোধহয় ওরা সধারনত শীতের দিনে সপ্তায় ১বার আর গরমের দিনে সপ্তায় ২বার গোসল করে।
গোসলখানা সে এক আচানক জিনিস, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাথরুমের মতন- অনেকগুলো একসাথে- সেখানে difference হল কোন বাথরুমেরই দরজা তো দূরের কথা চারপাশে দেয়ালও নেই শুধু ঝরনার লাইনটা আঁটা বাকিসব উন্মুক্ত!!
আর কিছু গোসলের দোকান অনেকটা বাথটাবের মত তবে আকারে বড় সেখানে সবাই একসাথে আদিম গুহাবাসী মানুষের মত নগ্ন অবস্হায় একজন আর একজনেরটা দেখতে দেখতে গোসল করে। তবে ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক ব্যবস্হা। এরা দিগম্বর হয়ে গোসল করা সত্বেও সেখানে কেউ দুনম্বরী কিছু করতে পারে না। বাংলাদেশে মেয়েদের dressing room, shower এর জায়গায় গোপন ক্যামেরা সেট করে সেগুলোর ভিডিও ধারন করে অনেকে ব্যবসা করতেছে কিন্তু এখানে সে সুযোগ নেই- Chinese government law is very strict.
Dalian শহরে বসবাসকারী এক বিডি ফ্রেন্ডের কাছে শুনেছি ওরা ৪বন্ধু পাহাড়ে হাইকিং করতে গিয়ে একটা গিরিখাত পার হওয়ার সময় দেখে সেখানকার স্বচ্ছ জলে কয়েকজন বৃদ্ধ গোসল করছে। বৃদ্ধরা ওদের উদ্দেশ্যে বলছে, সাবধানে সরু পথ পার হও বাছারা অথচ সূর্যের আলোতে তাদের রশির ন্যায় সাদা ধবল কেশগুলি যে চিকচিক করতেছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপই নেই।
শুনেছি জাপানেও নাকি গোসলের সিস্টেমও এইরকম তারা পরিবারের সবাই মিলে দিগম্বর হয়ে সবাই সবারটা দেখতে দেখতে গোসল করে যাকে তাদের ভাষায় বলে ওনসেন। ব্যাপারটা অনেকটা পরিবারের সবাই মিলে একসাথে মজা করতে করতে খাওয়া দাওয়া করার মত।
১৮。 কৃত্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন কিছুকে বড় করার ব্যাপারে চাইনিজদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। কৃত্রিম ডিমের কথা তো আমরা সবাই জানি। এরা মানুষের ক্ষেত্রেও কৃত্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন- চীনা বিখ্যাত বাস্কেট বল খেলোয়ার ইয়াও মিং এত লম্বা হল কিভাবে! শুনেছি তার মা যিনিও একজন খুব ভাল এ্যাথলেট ছিলেন, চীন সরকার তার ডিম্বানু কিনে নেয় টাকাসহ বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে, এরপর কৃত্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে লম্বু ইয়াও মিং এর জন্ম।
সরকারের উদ্দেশ্য ছিল লম্বু বাস্কেট বল খেলোয়ার বানানো তাতে তারা সফল হয়েছে।
ডিসেম্বরের ৩ তারিখে চীনা মিডিয়া ফলাও করে নিউজ ছাপিয়েছে মেয়েদের ব্রেষ্ট surgical operation এর মাধ্যমে বড় করার সফল্য, গুয়াংজৌ [গুয়াংজু] শহরের মিলিটারী পরিচালিত হাসপাতালের ডাক্তাররা গুয়াংতোং প্রদেশের ৩০ হাজার মেয়ের ব্রেষ্ট বড় করতে সক্ষম হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে surgical operation করা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক মেয়ের উন্মুক্ত বুকের ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে দুজন ডাক্তার মেয়েটির ব্রেষ্ট বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে হাত দিয়ে পরিমাপ করছেন।
মানুষকে লম্বা বানানো, মেয়েদের ব্রেষ্ট surgical operation এর মাধ্যমে বড় করার চিকিৎসা প্রযুক্তির খরচ যখন কমে যাবে তখন আর আমরা খাটোকায়,শুকনা গড়নের চাইনিজ লোক আর দেখতে পাব না। তখন চাইনিজরা হবে লম্বা, স্বাহ্যবান, মেয়েরা হবে পিনোন্নত বুকের অধিকারিনী সানি লিওনে তখন আর বেল পাবে না
১৯. একটা রাজনৈতিক দলের সদস্য সংখ্যা কত হতে পারে? আপনি চীনের রাস্তাঘাটে যাদের চলতে ফিরতে দেখবেন তাদের অধিকাংশই চীনা কমিউনিস্ট দলের সদস্য।
প্রতি ১৮জন লোকের মধ্যে একজন সদস্য। মোট ১৪০ কোটি লোকের মধ্যে প্রায় ৮ কোটিই চীনা কমিউনিস্ট দলের সদস্য যা কিনা একে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় দলের স্বীকৃতি দিয়েছে। মনে হতে পারে কেউ চাইলেই তাকে গণহারে সদস্য বানিয়ে দেওয়া হয়, না। সদস্য হতে এদেরকে পড়ালেখা করতে হয় কমিউনিজম নিয়ে, দেশ নিয়ে এরপর পরীক্ষা দিতে হয়, নিজের activity জানিয়ে নিয়মিত report করতে হয়। এতগুলি বাধা পার হয়ে তবেই party member.
সদস্য হলে সরকারি চাকুরী পাওয়া, কাজে প্রমোশন সহ বৈদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।
ফেসবুক ফ্যান পেইজ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।