দুবাইতে এক পিজ্জা ডেলিভারি বয় গোপনে দুই মহিলার বিবস্ত্র গোসলের দৃশ্য ভিডিও’তে ধারণ করেছে। দুবাইতে এক পিজ্জা ডেলিভারি বয় গোপনে দুই মহিলার বিবস্ত্র গোসলের দৃশ্য ভিডিও’তে ধারণ করেছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম ইংরেজি আদ্যক্ষর এ.কে (৩১) দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার দুবাইয়ের আদালতে সে অভিযোগ স্বীকার করেছে। বলেছে, এম.কে (৩৫) এবং আর.এল (২৮) নামের ওই দুই যুবতী একত্রে একটি ভিলায় বাস করেন।

সমপ্রতি তারা সেখানকার গোসলখানায় একত্রে প্রবেশ করেন গোসল করতে। কিন্তু তার আগেই সেখানে এ.কে সেট করে আসে একটি মোবাইল ফোন। তারপর ওই দুই যুবতী গোসল করতে শুরু করলে সে দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও হিসেবে ধারণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই মোবাইলে চোখ পড়ে আর. এল-এর। তিনি মোবাইলটি নামিয়ে দেখতে পান ততক্ষণে তাতে ৫০ মিনিট ভিডিও ধারণ হয়ে গেছে।

দেখে তো তার চোখ চড়ক গাছ। তিনি প্রথমে মাথা ঠিক রাখতে পারেননি। পরে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ওই মোবাইল ফোন। এম. কে পুলিশকে বলেছে, এই ফোনটি চেক করে দেখা যায় এটির ব্যবহারকারী এ.কে।

এমিরেটের এক পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আটক করে এ.কে’কে। তিনি বলেন, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে যে, ভুল করে ফেলেছে। জীবনে আর এ ভুল করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ঘটনা গড়ায় দুবাই কোর্ট অব ফার্স্ট ইন্সট্যান্সে। সেখানে এ.কে স্বীকার করে- হ্যাঁ, আমি এ ঘটনার জন্য দায়ী।

আমি আমার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা চালু করে এয়ারকন্ডিশনের ভিতর লুকিয়ে রেখেছিলাম। এভাবে আমি ওই দুই নারীর বিবস্ত্র হয়ে গোসল করার দৃশ্য ধারণ করি। এ মামলাটির শুনানি হচ্ছে বিচারপতি হামাদ আবদুল লতিফ আবদুল জাওয়াদের আদালতে। তিনি আগামী ৫ই জানুয়ারি এ মামলার রায় দেবেন। ।