মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। প্রবাদ আছে ভাই না হয়ে ভাইয়ের শালা হওয়া ভাল ছিল, আমরা বঙ্গ মায়ের সন্তানরা এত দ্রুত পিছনের বিষয় ভুলে যাই যে কখনও কখনও তা হয়ে উঠে বড় বেশী পীড়া দায়ক। আমাদের মিডিয়া গুলো তাদের কাটতি বাড়ানোর চিন্তায় এত বেশি মশগুল তা ভাবতে গা শিউরে উঠে। মানবিকতা অভাব আজ আমাদের মাঝে এত বেশি তীব্র পথে ঘাটে বের হলে অহর অহর চোখে পড়ে। কিছু দিন আগে পরাগের নামের যে ছোট্র শিশুটি অপহরন হলো মুক্তিপন দিয়ে তাকে উদ্ধারে কথা মাননীয় স্বরাষ্টমন্ত্রীই স্বীকার করলেন।
যেখানে দেশের ভিতর সকল মেকানিজম থাকার পরেও একটি শিশুকে উদ্ধার করতে মুক্তিপন দিতে হয় তখন নিশ্চয় আর বুঝতে বাকী থাকেনা দেশের আইন-শৃখলার অবস্থা।
গত ১০/১১/২০১২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজিবকে পুলিশ মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে ঐ দিন নাকি মিরপুরে বিকাল ৫টায় সে গাড়ি ভাংচুর করেছে এই অপরাধে তার নামে মামলা হয় (মামলা নাম্বার ৩২)। অথচ খোজ নিয়ে জানা যায় ১০/১১/২০১২ তারিখে রাজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত মিডটাম পরিক্ষা দিয়ে পরিক্ষার হল থেকে বের হয় ৪.৩০ এ। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫.৩০ গাড়িতে করে মিরপুর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এখন প্রশ্ন পুলিশের এই গ্রেফতার বানিজ্য ও সাধারন মানুষেকে হয়রানি করার মানসিকতা কবে বন্ধ হবে?
পুলিশ রাজিবের নামে আরো একটি মামলা দায়ের করে ০৬/১১/২০১২ তারিখে বিস্ফোরক মামলা (মামলা নম্বর ২৩) অথচ খোজ নিয়ে জানা যায় ০৬/১১/২০১২ তারিখে রাজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মমাফিক ক্লাসে অংশগ্রহন করে এবং একাডেমিক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করে, এমনকি তার টিচারদের সাথে কথা বলেও একই উত্তর পাওয়া যায়, অথচ রাজিবকে বিগত একমাস যাবত কাসিমপুর কারাগারে পায়ে লোহার শেকল পরিয়ে রাখা হয়েছে।
গত ০৬/১২/২০১২ তারিখে রাজিবের সহপাঠীরা রাজিবের মুক্তির দাবীতে অপরাজয় বাংলার সামনে মানব বন্ধন করে। কিছু ছবি
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে খোজ নিয়ে জানা যায় রাজিবের সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা আসন্ন, আগামী ১০/১২/২০১২ তারিখ থেকে তার সেমিস্টার ফাইনাল শুরু। রাজিবের সহপাঠিদের প্রশ্ন পুলিশের খামখেয়ালির জন্য আর কত রাজিব এভাবে ঝরে যাবে?
ব্লগের কোন সাংবাদিক যদি এই বিষয়ে পত্রিকায় লিখতে চান তবে আমার কাছে মামলার কপিসহ বিস্তারিত আছে। যোগাযোগ করতে কল করুনঃ ০১৯১২৪৭১৪৩৩।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।