খুব সাদাসিদা একজন মানুষ ভাবতে ভাল লাগে। ভাল লাগে মুক্তমনে চিন্তা করতে, ভাল লাগে নতুন কিছু জানতে । বন্ধের দিন সাধারানত কাজ না থাকলে বাসায় সবার সাথে টক শো দেখতে বসে যাই। কাল হরাতাল ছিল বলে বসা থেকে কড়া নির্দেশ এল বের হওয়া যাবে না । বের হলাম না, ওই যথারীতি টক বা ঠক শো দেখলাম অনেকগুলো।
টক শোর কল্যাণে আমাদের দেশে এখন গালবাজ বক্তার অভাব হয় না। প্রতিদিনের টক শো গুলো টকই বটেই , মাজে মাজে কিছু টক শো একটু বেশী টক লাগে। যে টক শো গুলো আমার বা আমাদের ভাল লাগে সেই বক্তাদের অনেকে এখন দাওয়াত পায় না মনে হয়, অবশ্য এটা সরকারের একটা বড় সাফল্য যে ওরা মিডিয়াকে মারাত্মক ভাবে কন্ট্রোলে নিতে পেরেছে। যেটা বিএনপি জামাত জোট সরকার পারে নাই। সে যাই হউক, বলছিলাম, আজকের সময় টিভির টক শোটা টক না লেগে মিষ্টিই লেগেছে।
জয়নুল আবেদিন ফারুক সাহেবকে হেনস্তা করছিলেন উনার আওয়ামীলীগ প্রতিপক্ষ আর উপস্থাপক দুজনেই মিলে। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ওই সেই বাসি আলাপ যোদ্ধাঅপরাদির বিচার নিয়ে। কেন এই বিজয়ের মাসে হরতাল এবং তাতে কেন বিএনপি নৈতিক সমর্থন দিলেন। আলোচনার বিষয় শুনে দেখব না বলেই ভাবছিলাম কিন্তু একটা দর্শক ফোন এলে আলোচনার ধরণ পাল্টে যাই।
দর্শক প্রশ্ন গুলো আর জয়নাল সাহেবের কথা গুলো ছিল এরকম,
বিএনপি র সময় আওয়ামীলীগ নাকি এই বিজয়ের মাস ডিসেম্বার মাসেই হরতাল দিয়েছিলেন তখন এই স্বাধীনতার মাসের অনুভূতি ওদের কই ছিল যে আওয়ামীলীগের আজ এত বেশী বিজয় প্রীতি হচ্ছে এই মাসে হরতাল হচ্ছে বলে ? যোদ্ধের সময় কি কি এই পাঁচ ব্যাক্তি ছাড়া আর কেউ কি যোদ্ধাঅপরাদির ছিল না।
তাইলে স্বাধীনতার সময় এরাই সব কিছুর মালিক ছিল ? ৭১ এর পরে মুজিব সাহেব কেন যোদ্ধাঅপরাদির বিচার করলেন না ? ৯৬ সালে এই আওয়ামীলীগ কেন বিচারের নামও ধরলেন ? ১০ সালে এসে কেন এই বিষয়? জামাত বিএনপি র সাথে থাকলে কেন আওয়ামীলীগ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে, আর আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারের সাথে যে আছে তাদের নীতি নিয়ে কেন কথা উঠে না ? আওয়ামীলীগের কেউ মরলে মিডিয়া এত বেশী করে প্রকাশ করে কিন্তু জামাত বিএনপি র কেউ মরলে তা খবরের কোনায় ও জায়গা হয় না কেন ? ২৮ অক্টোবরের সেই ঘটনা কি মানুষ ভুলে গেছে ? জামাতকে কি জঙ্গি বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে , তাইলে কেন আওয়ামীলীগ জামাতকে সাথে নিয়ে তত্তাবধায়কের জন্য আন্দোলন করেছিলেন কেন আর আজ শত্রু হবার কারণ কি ?
জয়নুল আবেদিন ফারুক সাহেব বললেন,আজকের হরতালে নাকি জামাত সাহসের পরিচয় দিয়ছেন এই কথা শুনে অনেক হাসি আসল, , , , ,
আমি কিছু বুঝতে পারছিনা, দেশ কোথায় যাচ্ছে আর এসব কি হচ্ছে , বাকিটা আপনারাই বলুন দেশের মানুষ কি সচেতন হচ্ছে দিন দিন নাকি সব ভুলে যাচ্ছে এই দুই দলের কাহিনী। আমি কোন রাজনৈতিক কর্মী নই বলে কোন কমেন্ট করলাম না । কিছু না বুজলেও এটা বুঝতে পারতেছি যে রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নাই, এটা একটা নোংরামির বিশাল ক্ষেত্র ছাড়া কিছুই না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।