স্কুল ছুটি হয়েছে অনেক আগেই। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুলের একদল ছাত্র ভিড় করেছে ফুলার রোডের মোড়ে। খানিক এগোতেই দেখা গেল, মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখছে তারা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেখা গেল, ব্লু-টুথের মাধ্যমে পর্নো ভিডিও শেয়ার করছে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের একদল ছাত্র। কিছুদিন আগে স্কুলটিতে দশম শ্রেণীর ক্লাস চলাকালে মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এক শিক্ষক।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, স্কুলটির ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। গত দুই মাসে ৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে পাওয়া যায় পর্নোগ্রাফি। জব্দ করা হয় তাদের মোবাইল ফোন।
অভিভাবকদের বক্তব্য
স্কুল ও কলেজে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না বলে মন্তব্য করেন বনশ্রীর বাসিন্দা সামিউল ইসলাম। তিনি মনে করেন, ‘বিটিআরসি থেকে বাজে ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করলে এবং ওয়েবসাইটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনলে তবেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
অভিভাবকদেরও ছেলেমেয়েদের মোবাইল পরীক্ষা করতে হবে। মোবাইলের ভালো দিকটির পাশাপাশি ক্ষতিকারক দিকটিও ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে। ’
বনানী বিদ্যানিকেতনের এক ছাত্রের মা রুমানা আফরোজ বলেন, ‘ছেলেমেয়ের প্রয়োজনেই মোবাইল ফোন। তবে তারা এর সঠিক ব্যবহার করছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব অভিভাবকের। ছেলেমেয়েরা মোবাইলের মেমোরি কার্ডে কী রাখছে, মোবাইলে কী করছে, অভিভাবকদের তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
আর ছেলেমেয়েদের মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন দেওয়া থেকেও তাঁদের বিরত থাকতে হবে। ’
শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে নজরদারির তাগিদ দিলেন তিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।