ফতোয়া-এক: গ্রামের কম বয়সী, অবিবাহিত মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্যথা ১০ হাজার টাকা জরিমানা।
ফতোয়া-দুই: বাড়ির বিবাহিত মহিলারা গ্রামের রাস্তা-ঘাটে নয়, মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন শুধু অন্দরমহলেই। নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে জরিমানার পরিমাণ ২ হাজার টাকা।
ফতোয়া-তিন: গ্রামের পুকুরে, কুয়োয় বা কলে, প্রকাশ্যে গ্রামের মেয়েরা স্নান করতে পারবেন না।
কোনও ভিন্ দেশের, তালেবান এলাকার ফতোয়া নয়। খোদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এই ফরমান জারি করেছেন নীতীশ কুমার শাসিত বিহারের এক গ্রামের মাতব্বররা। খবর: আনন্দবাজার
পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া, বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার কোচাধামন ব্লকের গ্রামটির নাম টুপামারি। সোমবার বিকেলে গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন গ্রামের মাতব্বররা। সেখানে গ্রামের সকলের উপস্থিতিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মাতব্বরদের।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতোয়া ঠিকঠাক রূপায়ণ হচ্ছে কি না, তা দেখভালের জন্য রবিবারের ওই বৈঠকে ১০ জনের একটি তদারকি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।
” যে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মধ্যে টুপামারি গ্রামটি অবস্থিত, সেই সুন্দরবাদী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও মহিলা, সামিনা খাতুন। তিনি বলেন, “কেন ওরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমি জানি না। আমারই পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে এমন ফতোয়ার কথা জানতে পেরে আমি নিজেই লজ্জিত। ”
মোবাইল ব্যবহার নিয়ে গ্রামের বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে যে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে তা জানিয়ে তিনি বলেন, “গ্রামের বহু পুরুষ বাইরে কাজ করেন।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা তাদের বাড়ির ভিতরে কথা বলতে বলেছি। ”
সুত্র:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।