হায় জ্বিন, সোনালী ডানার জ্বিন,এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর কেঁদোনাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে দারিদ্র বিমোচনে জ্বিন পালন হতে পারে এক কার্যকরী পদ্ধতি। সিলেটের শফিউর রহমান জ্বিন পালন করে তার বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এখন জ্বিন পালনে আগ্রহ দেখিয়েছেন। জ্বিন পালন করে অনেকেই তার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করেছেন।
এই প্রতিবেদক কে সফিউর রহমান জানান, তার খামারে ৩৬ টি জ্বিন রয়েছে।
সম্প্রতি ২ টি জ্বিন ২৫ হাজার টাকায় বিক্রয়ের জন্য বায়না নিয়েছেন। তিনি বলেন জ্বিন পালন লাভজনক। অতিরিক্ত জায়গা লাগে না। পূর্বে আলেম লোকজন শখের বসে জ্বিন বশে রাখত। তিনিই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে জ্বিনের খামার করেছেন।
তিনি জানান, তাদের এলাকায় এক আলেম কিছু জ্বিনকে দিয়ে একরাতে একটি পুকুর খনন করান। তাই দেখে তার জ্বিন দিয়ে দাস হিসেবে কাজ করানোএর পরিকল্পনা আসে। সেই পরিকল্পনা থেকেই তিনি জ্বীন সাধনা সুরু করেন। এখন তার খামারে ৩৬ টি জ্বিন আছে। তিনি জ্বিন দিয়ে কাজ করান, এবং এদের বিক্রি করেও ভালো লাভ পান।
সরকারী সহায়তা পেলে আরও বৃহত আকারে খামার করার কথা জানান। গরু-ছাগল পালন করার জন্য সরকারী ঋণ পাওয়া যায় কিন্তু জ্বিন পালনের জন্য কোন ঋণ এর ব্যবস্থ নেই। উপরন্তু ভুয়া জ্বিনের বাদশাদের দৌরাত্ম্যে প্রকৃত জ্বিন খামারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ভুয়া জ্বিনের বাদশারা জ্বিন দিয়ে বাণ মারা, জাদু টোনা করা শত্রুকে ঘায়েল করার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে এদের হাতে কোন জ্বিন নেই। এদের খপ্পরে পড়ে অনেকে সর্বশান্ত হচ্ছে আরেক দিকে প্রকৃত জ্বিনের মালিকদের সম্পর্কে জন-সাধারণের মাঝে নেতিবাচক ধারণা হচ্ছে।
এদের ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার ও সরকারী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী অন্যথায় এ শিল্পটি সুরুতেই হোচট খেতে পারে।
জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস পড়ুন এখানে
জ্বিনের অস্তিত্বের পক্ষে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।