প্রথম আলো
গার্ডার ধস: চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক
৪৫টি গার্ডার ঝুঁকিপূর্ণ, ১১টি বেশি ঝুঁকিতে
একরামুল হক, চট্টগ্রাম | তারিখ: ৩০-১১-২০১২
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট জংশনে উড়ালসড়কের ৮ থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত লাগানো ৪৫টি গার্ডার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ৮ থেকে ১৩ নম্বর পিলারের মধ্যে স্থাপিত ১১টি গার্ডার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকৌশলীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছয় দিন আগে গত শনিবার ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের মাঝখানের তিনটি গার্ডার ধসে পড়ে ১২ জন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ২০ জন।
এত দিন চলে গেলেও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সিডিএ বাকি গার্ডারগুলোর কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি নিরসনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এই উড়ালসড়কের পাশ দিয়ে এখন যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে।
শনিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত ১ দশমিক ৩৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়কের ১৬৮টির মধ্যে ১৩২টি গার্ডার লাগানো হয়; যার একটি গত ২৯ জুন এবং শনিবার আরও তিনটি ধসে পড়ে।
দুর্ঘটনার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার-পারিসা সিস্টেম লিমিটেডের (জেবি) কোনো কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীকে উড়ালসড়ক প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়নি।
গার্ডারগুলো কেন ঝুঁকিপূর্ণ, জানতে চাইলে সিডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস প্রথম আলোকে বলেন, উড়ালসড়কের পাশের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এতে উন্মুক্ত অবস্থায় পিলারের ওপর বসিয়ে রাখা গার্ডারগুলো প্রতি মুহূর্তে স্থানচ্যুত হচ্ছে। তিনি বলেন, ওয়েল্ডিং করে ক্রসগার্ডার না লাগানো পর্যন্ত গার্ডারগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না। এই প্রকৌশলী মনে করেন, সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। তা না হলে আরও বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
কাজী হাসান বিন শামস আরও বলেন, ‘গার্ডারগুলো ঠিকভাবে বসানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। আর এগুলোর কোনো ক্রসগার্ডারও লাগানো হয়নি। তাই সেখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ’
দুর্ঘটনার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের দুই পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া হয়নি। গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে শত শত পথচারী চলাফেরা করছে।
উড়ালসড়কের ৭ থেকে ৮ নম্বর এবং ৯ থেকে ১০ নম্বর পিলারে কোনো গার্ডার বসানো হয়নি। ৮ ও ৯-এর মধ্যে কেবল দুটি গার্ডার লাগানো আছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১৩ নম্বর পর্যন্ত নয়টি গার্ডার বিচ্ছিন্নভাবে লাগানো আছে, যার কোনো ক্রসগার্ডার নেই।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলীরা বলেছেন, উড়ালসড়কের দুই পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেষ্টনী দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই।
তার পরও দু-এক দিনের মধ্যে বেষ্টনীর কাজ শুরু হবে।
এবার আমার কথা। এখন সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল কেন? যে ঘাপলা আপনারা শুরু করেছেন, তা নিজেরাই শেষ করেন। নাহলে ভেংগে ফেলেন, তারপর সেনাবাহিনী বা অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন। আপনাদের ঘাপলার দায়ভার সেনাবাহিনী বা অন্য কারো ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করবেন না।
আর, এরকম অপ্রশস্ত রাস্তার উপর ফ্লাইওভার তৈরীর পরিকল্পনা যে করেছে তাকে ধরুন। পয়সা এত সহজে আয় হয়না। অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমরা উপার্জন করি আপনাদের চুরি করার জন্য না।
হাইড্রোলিক মুভার দিয়ে যখন গার্ডার সরানো হচ্ছিলো, তখন আপনাদের মত উচ্চ মার্গের প্রকৌশলী যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত, তিনি কোথায় ছিলেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।