এলোমেলো পা ফেলে, চলো হাটি হিজল বনে চলো যাই সমুদ্রতীরে, দিগন্তের খুব কাছে নয়তো কোন জনবসতিহীন দ্বীপে আরে বোকা, ভয় পাবো না, তুমি আছো না আমার সারথী হয়ে বালকের উৎফুল্ল ঠোঁটে পরিতৃপ্তির হাসি, স্মিত হাসে বিহঙ্গিনীও বালিকা তাকে দিয়েছে কথা, এক জীবনে আর কি লাগে? তাই যতটা পাওয়ার তার চেয়ে কম, বালক আগায় সন্তপর্নে পাবোই যাহা সবই আমি, এখন থাকুক সযতনে। বালক চায় পৃথিবী জানুক, লোকের মুখে প্রলয় উঠুক, সীলগালা হোক মন দুয়ারে বালিকা বলে রাখো তো এসব, বাড়ির লোকে জানবে পাছে অস্ফুটে শুধু প্রশ্ন জাগে, প্রেমের কি তবে সীমারেখাও আছে? ও কিছু না, ভাবছে বালক, যতই বলুক এসব কথা, এ বাধন কি আর ছিঁড়তে পারে? বালিকা আমার হাতটা ধরুক, সুনামিতেও রবো ঠায় দাড়িয়ে। শুধু হাতটা নয়, মন বাড়িয়েও, সিক্ত চোখে মন অন্তঃপুরেও, বালিকার সেই উচ্চস্বর যত অবিশ্বাস সব দেয় কাঁপিয়ে---“চাই তোমাকে যে কোন মূল্যে, ভাসবো দুজন সুখবিহারে” তারপর একদিন......... কালোমেঘের নিচে দণ্ডায়মান দুজন হাতখানি তখনো ধরা, শুধু অশ্রুতে অনির্নেয় পার্থক্য! বালকের আকুতি মেশানো কণ্ঠে আসে প্রস্তাব, “চলো নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য গড়ি” বালিকার দৃঢ় প্রতিউত্তর, “তোমাকে তো আগেই বলেছি, পরিবারের বাইরে আমি কি কিছু পারি?” ক্ষণিকেই সব ঘোলাটে হয়ে যায় সবকিছু, ঘোলাটে হয়ে যায় বালিকার সেই উচ্চস্বর “আমি তোমাকে চাই যেকোন মূল্যে” আজ এত কাছের সেই বালিকার মুখখানি অস্পষ্ট মনে হয় বালক এই প্রথমবার বুঝতে পারে, “বিবর্তনবাদ বুঝি এভাবেই হয়েছিলো”!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।