সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা সিপিবি আর বাসদ মিলে আবারো সরকারি হরতাল আহব্বন তরেছে। তারা হরতাল ডাকতেই পারে, কিন্ত এজন্য তারা নিয়েছে প্রতারণার আশ্রয়। এটাই বিস্ময়কর। তারা হরতাল ডাকার কথা বলছে এক আর উদ্দেশ্য স্পষ্টত ভিন্ন। তারা ভাবে প্রত্যেক প্রগতিশীল মানুষ বুদ্ধিমান হয়।
একজন মৌলবাদীকে যা তা দিয়ে আপনি বুঝ দিতে পারবেন, কিন্তু একজন প্রগতিশীল লোকের সাথে মিথ্যাচার প্রতারণা করে পার পাওয়া যায় না। হিসাব মিলাই ১ মার্চ সরকারী বন্ধ, ২ মার্চ হরতাল, ৩-৪ মার্চ সরকারী বন্ধ এবং ৫ মার্চ হেফাজতের অবরোধ। তাহলে কি দাড়াল সিপিবি বাসদ মিলে হেফাজনের অবরোধে বাঁধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই হরতাল ডেকেছে। হেফাজনের দাবীর সাথে বিরোধীতা করার অধিকার সবারই রয়েছে। সেই অবস্থান স্পষ্ট করেই হরতাল ডাকা ছিল নৈতিক।
এসব প্রতারণ ও সরকারের দালালীর কারণেই বাসদ ভেঙ্গেছে। সিপিবি ভাঙ্গে না সম্পত্তির লোভে। সিপিবির রয়েছে বিশাল ভবন। এ জমি মনি সিংহ দিয়ে গিয়েছেন। আপনারা জানেন, মনি সিংহ জমিদার পরিবারের সন্তান।
বাম রাজনীতি করে দরিদ্র মানুষ এবং পার্টির জন্য অনেক ত্যাগ স্বীাকার করেচেন। তার সমপত্তির লোভে এখন তার দলের লোকেরা রাজনীতি করে। এটা ভীষণ লজ্জার, অপমানে। হয়তো মনি সিংহ, ফরহাদ বেঁচে থাকলে সিপিবির ধারাবাহিক প্রতারণায় লজ্জা পেতেন। সিপিবির বর্তমান নেতৃবৃন্দ এই করে করে জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
তারা শূন্যতার দিকে যাচ্ছে। এভাবে চললে, তারা শূন্য হবে কর্মীদের কাছে। তবে তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকবে, সম্পত্তির কারণে। কেন সিপিবি এইসব নির্লজ্জ কাজ করে চলছে। এটা কি নেতৃত্বে দেউলিয়া।
নাকী সরকারের ছায়ায় থাকার লোভ। এই সব আমরা দেখে আসছি স্বৈরাচারী এরশাদেও কাছ থেকে। এখন দেখছি সিপিবির কাছ থেকে। সিপিবির প্রতি বিনীত অনুরোধ আপনার যে উদ্দেশ্যে হরতাল ডাকছেন, সেই উদ্দেশ্যের কথাই মানুষকে বলেন। এইসব প্রতারণ মানুষ বুঝে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।