আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতার প্লাস্টিক সার্জেরী

আপনারা হয়তো ভাবছেন কবিতার কিভাবে প্লাস্টিক সার্জারী করা যায়!আমি মনে করি সেটাও সম্ভব। ব্যাপারটা একটু খুলে বলি তাহলে হয়তো বুজবেন। কিছুদিন আগে রাস্তার পাশের একটা দোকানে বসে সিংঙ্গারা খেয়ে দোকানী কে হাত মোছার জন্যে কাগজ দিতে বল্লাম। কিন্তু সে আমাকে একটা কবিতার ছেড়া অংশ দিল। কবিতার প্রতি একটু দুর্বোলতা আছে বলে আমি কবিতাটির দিকে একটু চোখ বুলালাম।

কবিতাটা ভালো লাগ্লো আর আমি তাই কাগজটাকে সযত্নে পকেটে ঢুকালাম। সেদিন রাতে OCULOPLASTY(চোখের প্লাস্টিক সার্জারী) বই পড়ছিলাম। ঠিক তখনই মাথায় আসলো এই কবিতাটির প্লাস্টিক সার্জারী করার। নিচে রিকন্সটাক্টেড কবিতাটি দেয়া হল। আমার নির্বাসন আমায় নির্বাসন দাও,আমি নির্বাসিত হতে চাই, আমি নির্বাসিত হতে চাই- এই ভৌগলিক সীমা থেকে, এই মাটি থেকে।

এ মাটিতে আজ পাপীরা পাপের মৈচাক বেঁধেছে - বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে রজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত নিষ্পাপ মেধাবী প্রাণের রক্তের দাগ মিশে আছে, বাতাসে ভেসে আসে গুম হওয়া লাশের গন্ধ গাছের ডালে ঝুলে থাকে ধর্ষিতার মৃতদেহ, আর সামনে নিরবে দাঁড়ানো থাকে নপুংসক কিছু উৎসুক জনতা নির্দ্বিধায় আমলারা হাত পাতেন ঘুষের জন্য, ভাই ভাইয়ের গলায় ছুরি বসায় একটুকরো জমির জন্য, টাকার অভাবে হাসপাতালে করিডরেই – ধুকেধুকে অসুস্থ অসহায় মানুষ মরে যায় বিনাচিকিৎসায়, বাজারে মাছের মধ্যে অবাদে মেশানো হয় ফরমালিন, ফলে মেশানো হয় কীটনাশক, নিষ্পাপ শিশুর গুড়া দুধে মেশানো হয় পশুর হাড়ের গুড়া আর রাজনৈতিক জনসভায় কালোটাকার খুনী সন্ত্রাসী জল্লাদের- ভাষণ শুনতে বসে থাকে লক্ষ লক্ষ উৎসুক জনতা , বোমাবাজি হয় শান্তিপূর্ণ পথসভায় বিচারের অভাবে ফাঁসি হয় নিষ্পাপ নির্দোষ আসামীর আর খুনীরা বুকফুলিয়ে হেঁটে বেড়ায় রজপথে। আমি নির্বাসিত হতে চাই এমন এক মাটিতে, যেখানে কৃষকের আনন্দ-অশ্রু আর সোনালী ধান একসাথে বাতাসে দোল খায়, সেই সমাজে যেখানে পিতার হাত ধরে পুত্র মসজিদে যায়, সেই ভৌগলিক সীমায় আমি নির্বাসন চাই- যেখানে একমুঠো ধানের বিনিময় হবে একচিলতে হাসির। আমায় নির্বাসন দাও আমি নির্বাসন চাই।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।