কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আধ্যাত্মিক সাধক হযরত সোলাইমান শাহ্ চিশতী (রঃ) মাজারে ৩ দিনব্যাপী ওরশ মোবারক আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। ভেড়ামারা পরিবারের সন্মানিত সদস্য/সদস্যা বৃন্দ, আপনারা অবগত আছেন গত কয়েক দিন আগে আমরা প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং কর্ম তৎপরতার মাধ্যমে একটি ফলপ্রসু ও সফল ইভেন্ট শেষ করেছি। যার আমেজ এখনো ফুরিয়ে যায়নি, গ্রুপের সদস্যদের মধ্য উৎসাহের কমতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না যা প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। আমাদের কর্মপ্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তঃভুক্ত ছিল যে আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযান টা চলমান রাখবো যাতে করে বাস্তবিক অর্থেই আমাদের প্রাণের শহরের রুপ বদলে দিতে সক্ষম হয়। প্রথম ইভেন্টের পর মানুষের মনে সচেতনতা বিষয়টির ভ্রুন সঞ্চার হতে শুরু করেছে এবং সদস্যের মধ্যে নতুন আশা জাগানিয়া স্বপ্নের ছটায় আলোকিত হওয়ার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে।
তাই এখন আমাদের শুধু এগিয়ে যাওয়ার সময়। প্রথম ইভেন্টের আলোচনায় বারবার উঠে এসেছিল ডাস্টবিনের কথা, অতি আনন্দের সংগে জানাচ্ছি আমরা বেশ কিছু ডাস্টবিন সংগ্রহের সকল প্রক্রিয়া ইতিমধ্য শেষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে সেগুলো হাতে এসে পৌঁছবে। সেগুলো স্থাপন ও আরও কিছু কার্যক্রম নিয়ে আগামী ইভেন্টের দিন ঠিক করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ২০১২।
আসন্ন ইভেন্ট বিষয়ক প্রাথমিক কার্যবিধি.......................
১. নির্দিষ্ট স্থান সমূহে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
২. নির্দিষ্ট স্থান গুলোতে অস্থায়ী ডাস্টবিন স্থাপন
৩.ব্যাপক গনসচেতনতা গঠন
৪. নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ফুলের চারা রোপন
৫. স্পীড বেকার মার্কিং
৬. ডাস্টবিন এবং ফুলের চারা গুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ
** বিজয় দিবস উপলক্ষে ভেড়ামারা গ্রুপের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে রাত ১২ টায় পুশ্পস্তবক অর্পণ ।
নির্দিষ্ট স্থান সমূহে পরিচ্ছন্ন
কার্যক্রমঃ
কিছু স্থান যেমন; বক চত্বর, শাপলা চত্বর, ডাকবাংলো মার্কেট, রেলষ্টেশন, উপজেলা চত্বর, পৌর ভবনের সামনে প্রতিকী অভিযান।
নির্দিষ্ট স্থান গুলোতে অস্থায়ী ডাস্টবিন স্থাপনঃ
গুরুত্বপূর্ন স্হান গুলোতে অস্হায়ী ডাস্টবিন স্থাপন।
ইতিমধ্যে আমরা বেশ কিছু ডাস্টবিনের
ব্যবস্থা হয়েছে।
ব্যাপক জনসচেতনা গঠনঃ
এই বার আমাদের কর্ম প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা গত বারের মত ঢালাও ভাবে পরিচ্ছন্নতায় নামবো না।
গতবারেই পরিচ্ছন্নতার কাজ টা অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছি। এখন দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা এবং জনমত তৈরি। তাই এইক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা তৎপরতার চেয়ে সচেতনতা ও উদ্বুদ্বকরণের দিকে বেশী গুরুত্ব থাকবে এবং পরিচ্ছন্নতার স্থানগুলো বাড়ানো হবে। জনসচেতনতার ক্ষেত্রে মূল্যায়ন ফরম সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ফরম নিয়ে আমরা জনসাধারণের কাছে যাবো, তাদের উদ্বুদ্ব করবো এবং তাদের বক্তব্য গুলো মূল্যায়ন ফরমে লিপি বদ্ধ করবো।
মুল্যায়ন ফরমের প্রধান অংশ গুলোঃ
১. ইভেন্ট বিষয়ক প্রস্তাবনা
২. জনসাধারণের বক্তব্য। (আমাদের কার্যক্রম বিষয়ক বক্তব্য, তাদের চাওয়া, তারা কিভাবে নিজেরা পরিচ্ছন্ন থেকে আমাদের সহযোগীতা করবে ইত্যাদি)
৩. যোগাযোগ
৪. সাক্ষর
গতবার ঈদের কারণে আমাদের প্রচারণাটা বেশ সহজ হয়েছিল। এবার আমরা সেই সুযোগ পাচ্ছিনা তাই ইভেন্টের কয়েকদিন আগে থেকেই প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যানার, স্টিকার ইত্যাদি আগেই ভেড়ামারাতে পৌঁছে দিতে হবে। প্রচারণা টিম গঠন, অনলাইন একটিভিটিজ, টিভি প্রোমো এর বিষয়টাতে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
প্রচারণা বিষয়ক সামগ্রীগুলো হলোঃ
১.ব্যানার
২. লিফলেট
৩. স্টিকার
৪. টিশার্ট
৫.হেড ব্যান্ড(বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের পতাকা)
নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ফুলের চারা রোপনঃ
আপাতত দুইটা স্থান আমরা ফুলের চারা রোপন তথা বাগান হিসেবে বেছে নিয়েছি। প্লাটফর্মের দুটো অংশ, আওয়ামী লীগ অফিসের পাশে এবং যেখানে অসচেতন মানুষ জন নিজেদের টয়লেটের মত ব্যাবহার করে।
স্পীড বেকার মার্কিং :আমরা এবার স্পীড বেকার গুলো রং দিয়ে মার্কিং করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডাস্টবিন এবং ফুলের চারা গুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণঃ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এবং আলোচনার মাধ্যমে উপকরণ গুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।