তুরস্কের প্রতিবাদীরা আজ বুধবার ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা ও অন্যান্য শহরের পুলিশপ্রধানদের পদত্যাগ দাবি করেছে। ইস্তাম্বুলের একটি উদ্যানে বিপণিবিতান স্থাপনের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দেশটির রাজধানী আঙ্কারাসহ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ছয় দিন ধরে চলা বিক্ষোভের সময় শত শত প্রতিবাদী মানুষ পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন।
প্রতিবাদীদের বক্তব্য হলো, বিক্ষোভাকারীদের ওপর নির্যাতন চালানোর দায়ে পুলিশপ্রধানদের পদত্যাগ করতে হবে।
উপপ্রধানমন্ত্রী বুয়েন্ত আরেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবাদীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আলোচনায় বসার যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটিকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদীরা বলেছে, আরেঞ্চ তাঁদের ‘গৃহযুদ্ধের স্মৃতি’ মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছেন।
প্রতিবাদীদের পক্ষে তাকাসিম সলিডারিটি প্লাটফরম (টিএসপি) নামের একটি সংগঠন বলেছে, বিভিন্ন দাবির একটি তালিকা ইতিমধ্যে আরিঞ্চের কাছে দাখিল করা হয়েছে।
ইস্তাম্বুলের উদ্যানকে বাজারে পরিণত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদীদের দমনে পুলিশ বিপুল কাঁদানে গ্যাসের শেল, জলকামান ও ধোঁয়া গ্রেনেড ব্যবহার করে। এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
টিএসপি দাবি করেছে, কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে, আটক প্রতিবাদীদের মুক্তি দিতে হবে এবং গেজি উদ্যানে বিপণিবিতান বানানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
আজ উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে টিএসপির নেতারা বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর তাঁদের কর্মসূচি নির্ভর করবে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।