জীবনটা বরই আজব! যখন জীবণ সাদাকালো থাকে তখন মানুষের কাছে জীবণটা মূল্যহীন মনে হয়! কিন্তু কিছু কিছু সময় আসে যা মানুষের মনকে সাত রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দিয়ে জীবণের মূল্যটা অনেক অংশে বারিয়ে দিয়ে যায়! আবার কখন চোখের পলকেই সব নিঃশ্বেষ হয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজার একটি কেমিক্যাল গুদামে আগুন লেগে শরীয়তপুরের পাঁচ প্রবাসীসহ নয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২ জুন) রাতে শ্রমিকরা কাজ করার সময় একটি কেমিক্যাল গুদামে ওয়ার্কসপের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়।
নিহত শ্রমিকরা হলেন-নড়িয়া উপজেলার চাকধ গ্রামের গিয়াস উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে বাচ্চু হাওলাদার (৩৬), দুলখণ্ড গ্রামের আব্দুল হমিদ শেখের ছেলে জাকির হোসেন (৩২), সদর উপজেলার সুজন দোয়াল গ্রামের ইউসুফ আলী মল্লিকের ছেলে আল-আমিন (৩০), উত্তর গ্রামচিকন্দি গ্রামের জয়নাল বেপারির ছেলে খবির বেপারি (২৫) ও একই গ্রামের মৃত হোসেন দেওয়ানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫)।
স্বজনের মৃত্যুর খবরে শরীয়তপুরের এসব গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়িতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
এছাড়া কুয়েতি হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সদর উপজেলার বুড়িরহাট গ্রামের বিমল চন্দ্র ও চরডোমসার গ্রামের নুর মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে মনির হোসেন।
চাকধ গ্রামের নিহত বাচ্চু হাওলাদারের ছেলে আসিক হাওলাদার (১৫) বলে, ‘‘রোববার সকালে ফোনে বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। সোমবার বাবার সঙ্গে একই রুমে থাকা আমাদের পাশের গ্রামের একব্যক্তি ফোন করে অগ্নিকাণ্ডে বাবার মৃত্যুর খবর দেন। ’’
সদর উপজেলার উত্তর গ্রামচিকন্দি গ্রামের নিহত মোহাম্মদ আলীর ভাই আলি জব্বার বলেন, ‘‘আমরা গরীব মানুষ পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতির জন্য তিন লাখ টাকা ধার দেনা করে ভাইকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডে সেখানে থাকা আমাদের এলাকার কয়েকজন ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
আমরা এখন ভাইয়ের লাশটি ফেরত চাই। ’’
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘আমি দাপ্তরিকভাবে এখনো কোনো সংবাদ পাইনি। তবে বিভিন্ন সোর্স থেকে নয়জন মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে শরীয়তপুরের পাঁচ শ্রমিক রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।
’’
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।