জীবনটা বড়ই প্যাঁচ খাওয়াইন্না! সিরাতুল মুস্তাকিম বানাইতে চাই.। এক মালালার জন্য ব্যবস্থা হয় বিলেতের উন্নত চিকিৎসার। আর হাজার হাজার মালালার ছিন্নভিন্ন লাশ পড়ে থাকে ফিলিস্তিনের রাস্তায় রাস্তায়। এক মালালার জন্য জাতিসংঘ কতো কর্মসূচি হাটে নেয়, ঘোষণা করে মালালা দিবসের, আর ফিলিস্তিনের ঘরে ঘরে আজ মালালা পড়ে থাকে। তাদের ব্যাপারে জাতিসংঘ ঝিম পারে, মহাসচিব ডিম পারে।
এক মালালা জন্য তথাকথিত মানবতাবাদীরা কেঁদেকেটে চোখের জল, নাকের জল এক করে। লেখতে লেখতে কী-বোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। আর এখন? এখন তাদের কী-বোর্ড তো দুরের কথা, মুখ দিয়ে টু শব্দটা পর্যন্ত বের হয়না, এক্ষেত্রে তাদের কম্পিউটার আর মানবতা দুটায় হ্যাং করে!
তালেবানরা যখন পাকিস্তানের পনেরো বছর বয়সি কিশোরী মালালা ইউসুফজাই কে গুলি করে তখন সারা বিশ্বের সাথে আমরাও ঘৃণায় শিউরে উঠেছিলাম। কতটুকু কাপুরুষ হলে একজন নিরীহ কিশোরীকে গুলি করতে পারে, শুধুমাত্র তার নারীশিক্ষার ব্যাপারে ব্লগ লেখার অপরাধে। তারপরে দেখেছিলাম জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্বের মোড়লেরা চাইলেই পারেন অবস্থা।
আমাদের দেশীয় টিভি চ্যানেল গুলো পর্যন্ত প্রচার শুরু করে দিলো। বিশ্ব বিব্বক ব্যস্ত থাকে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদের উপন্যাস রচনা করতে। আমাদের দেশের তথাকথিত মুক্তমনা নামের মুত্রমনারাও পিছিয়ে থাকেন নি। মালালাকে ব্যবহার করে তালেবানদের বিপক্ষে লিখতে যেয়ে শুরু করে একের পর এক মুসলিম বিদ্বেষী লেখা কারন, তালেবানরা ইসলামী সন্ত্রাসী। যেনো এরকম কিছুর অপেক্ষাতেই ছিল তাঁরা।
বড্ড সুযোগ পাওয়া গেছে মুসলিমদের এক হাত নেওয়ার। জাতিসংঘ থেকে ১০ নভেম্বর কে ঘোষণা করা হয় মালালা দিবস।
আজ যখন ফিলিস্তিনের গাঁজায় ইসরাইলী হায়েনারা একের পর এক রকেট হামলা চালিয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের ছোট ছোট হাত পাগুলোকে ছোট ছোট টুকরায় ছিন্নভিন্ন করছে তখন আর দেখা নেই সেই বিশ্ব বিবেকের, হাত গুটিয়ে বসে আছে বিশ্ব মানবতা, জাতিসংঘ ব্যাস্ত তাদের প্রাত্যহিক কর্মে, আমাদের দেশের মুক্তমনা গং রাও নির্বিকার। যেনো কোথাও কিছু হয় নি।
সব কিছু দেখে শুনে আজ বড্ড বলতে ইচ্ছা করছে অতি ভক্তি চোরের লক্ষন।
মালালাকে নিয়ে এত লাফালাফির পেছনে কি তাহলে ছিল পরিকল্পিত কিছু? বিশ্ব মোড়লরা কি নিজেরাই সাপ হয়ে মালালাকে দংশন করে পরে ওঝা হয়ে বিষ নামাইতে এসেছিল?
আমরা চাই মালালাকে নিয়ে যেমন নিন্দার ঝড় উঠেছিল আজ তেমনই ঝড় উঠুক ইসরাইলী হানাদারদের বিরুদ্ধে। আপনি যেই ধর্মের হন না কেনো আমরা চাই আপনি প্রদর্শন করুন মানবতা। হয়তো আমরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবো না অস্ত্র দিয়ে কিন্তু আমরা তো পারি অন্তত মন দিয়ে যুদ্ধ করতে, আমাদের বিবেক দিয়ে যুদ্ধ করতে, আমাদের লেখা দিয়ে যুদ্ধ করতে যেমন করেছিলাম তালেবানদের বিরুদ্ধে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।