আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসুস্থ রাজনীতিই গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত!

দেশকে ভালবাসি দেশীয় রাজনীতির প্রচলিত প্রবাদ হচ্ছে, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। ’ বুঝে হোক আর না বুঝে হোক জনগণ বিষয়টিকে গ্রহণযোগ্য এবং ক্ষেত্র বিশেষে যুক্তিসঙ্গত বলেই ধারণা করছে। দেখা যাক, ওই প্রবাদ বাক্যটিকে বিশ্লেষণ করলে কি দাঁড়ায়? ‘গতকাল আমি যেই রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছি, আজ সেই বক্তব্যে আমি পরিবর্তন আনতে পারি এবং আজ আমি যা বলছি, প্রয়োজনে আগামীকাল তা উল্টে দিতে পারি। কারণ রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। ’ বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়, ‘আমার জবান পরিবর্তনযোগ্য অর্থাৎ আমি মিথ্যাবাদী এবং মুনাফিক।

’ জনগণ তো অনেক পরের কথা রাজনীতিবিদরাই অনেক সময় এর অন্তর্নিহিত অর্থ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান তার দাবি উত্থাপন এবং বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবার ক্ষমতায় এসেছে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক পরিচালিত নির্বাচনের মাধ্যমেই। তবে এখন থেকে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন চলবে না। মূলত, বেশ কিছু বড় ধরনের সংবেদনশীল এবং জাতীয় স্বার্থহানিকর কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ভাগ্য নির্বাচনের পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে বলে আওয়ামী লীগ বুদ্ধিজীবী মহলের ধারণা।

মুখে যত যাই বলুক নির্বাচনে ভরাডুবির বিষয় নিয়ে আওয়ামী নীতি নির্ধারকদের কোনো সন্দেহ নেই। তাই এখন প্রয়োজন ওই মুনাফিকী প্রবাদটির সময়োচিত প্রয়োগ। বর্তমান যুক্তি হচ্ছে, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। দেশের অধিকাংশ সৎ রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে জেলে ঢুকিয়েছিল। আর ওই ন্যক্কারজনক কাজে সেই দুই ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছিল- তারা হচ্ছে, জেনারেল মইন উদ্দীন আহমেদ এবং মেজর জেনারেল মাসুদ উদ্দীন।

দুজনেই চরম দুর্নীতিবাজ, মাতাল ও চরিত্রহীন। ওরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বাধাগ্রস্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরি করার কারণে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার খারাপ। তবে ওরা (মাসুদ/মইন) ভালো আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করার জন্য। মইন উদ্দীন আহমেদকে নিয়ে করা হলো বিচারের নামে ভাঁওতাবাজি। আর মাসুদ উদ্দীন? সে তো জন্ম নিয়েছিল সোনার চামচ মুখে নিয়ে।

তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আজীবন অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে। ওই লোক রক্ষীবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার পূর্বে কসকরে করণিক পর্যায়ে চাকরিরত ছিল। খুনের দায়ে তার নামে ওয়ারেন্ট পর্যন্ত ইস্যু হয়েছিল। যেহেতু সে রক্ষীবাহিনীর সদস্য এবং ভারত থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাই পরবর্তীতে তার আর জেল-জরিমানা হয়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।