বুদ্ধিমত্তা একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। আপনি তখনই বুদ্ধিমান যখন আপনার পাশের লোক বোকা !!
ওমান তিন লক্ষ দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এবং তিরিশ লক্ষ (যার প্রায় দশ লক্ষই ওমানী নাগরিক নন) জনসংখ্যা নিয়ে আরব সাগরের পশ্চিম উপকূলের একটি রাষ্ট্র। যার উত্তরে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান উপসাগর, দক্ষিণে ইয়েমেন, পূর্বে আরব সাগর এবং পশ্চিমে সৌদী আরব। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ উপাখ্যানের কল্যাণে রূপকথার রাজ্যে যে দেশটি পরিচিতি ফ্লাইং কার্পেট নামে! মূলত আরব অধ্যুষিত অঞ্চল হলেও ১৯ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত ওমান সাম্রাজ্য পারস্য উপসাগরের তীর ঘেঁষে আরব সাগর হয়ে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যার কারণে ওমানে কিঞ্চিত জাতি বৈচিত্র বিদ্যমান।
বিশেষ করে ওমানের মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পারস্য উপসাগরের মুসান্দামে ফার্সী ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া ১৯ শতকের মধ্যভাগে পূর্ব আফ্রিকা থেকে ওমানে মূল ভুখন্ডে আশ্রয় নেয়া মানুষদের মধ্যে আফ্রিকান সোয়াহিলি ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়। ওমানের অফিসিয়াল ভাষা আদর্শ আরবী হলেও আরবী ভাষাভাষীদের মধ্যে ওমানী আরবী এবং জোফারি আরবী প্রচলিত। এছাড়াও ওমানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগণ বিভিন্ন দেশ থেকে কর্ম সুত্রে আগত আর সেটাও ওমানের ভাষা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের একটি অন্যতম কারণ। যদিও বর্তমান সময়ে ইংরেজী ভাষার বহুল প্রচলন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা পরবর্তী সকল শিক্ষা ইংরেজী মাধ্যমে চালিত হওয়ার কারণে ওমানী জনগণের মধ্যে ইংরেজী ভাষার বহুল ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।
আধুনিকতা এবং রক্ষণশীলতার একটি মধ্যবর্তী অবস্থানের কারণে ওমানী সমাজ ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তন একটি লক্ষ্যণীয় বিষয়। এই সময়ে সবচাইতে দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজসমূহের মধ্যে ওমানী সমাজ অন্যতম বললে মনে হয় খুব একটা অত্যুক্তি হবেনা।
সুলতান কাবুস বিন সাঈদ। ওমানের বর্তমান সুলতান।
মাস্কাট।
ওমানের প্রধান বন্দর নগরী এবং বর্তমান রাজধানী।
খঞ্জর। খাপবদ্ধ ছোড়া ওমানের জাতীয় প্রতীক।
খঞ্জর পরিহিত এক ওমানী কিশোর।
গৃহ কর্মে ব্যাস্ত এক ওমানী গৃহবঁধু।
দোলনায় দোল রত ওমানী কিশোরী।
একটি গ্রাম্য বাড়ীর আভ্যন্তরীন চিত্র।
সুগন্ধী ধুপ ওমানের ঐতিহ্যের প্রতীক।
ট্র্যাডিশনাল গহনা পরিহিত ওমানী কিশোরী।
ষাড়ের লড়াই।
ওমানের জনপ্রিয় একটি খেলা।
গেজেল। ওমানের জাতীয় পশু, ওমানীদের আদরের ধন।
২০০০ কিলোমিটারের সমুদ্র সীমা ওমানের প্রাণ ভ্রমরা।
সাওয়া।
উৎসব অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী ওমানী খাবার।
লিসেনিং টু দ্যা উইন্ড অফ চেঞ্জ। শারিরিক কসরত শিক্ষারত ওমানী নারীরা।
র্যাম্পে ওমানী মডেল। ফ্যাশনে আধুনিকতার ছোঁয়া।
শোবিজে ওমানী নারী।
ইম্যাজিন কাপ ২০১২ তে ওমানী নারীরা।
মেহেদী। উৎসব অনুষ্ঠানের সাজে ওমানী নারীদেরও প্রথম পছন্দ।
সব শেষে শিল্পীর কল্পনায় গাধার পিঠে বসিয়ে নববধূ নেয়ার ছবি।
আমাদের পালকির মতোই হারিয়ে যাওয়া এক ওমানী ঐতিহ্য।
একটি রেসিপি,
১/২ চা চামচ বা ১ গ্রাম সেফ্রন
১ চা চামচ বা ১ গ্রাম এলাচ গুড়া
১০ কাপ বা ২ লিটার পানি
২ টেবিল চামচ বা ৩০ মিলি গোলাপ জল
৩ কাপ বা ৭৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার
১ কাপ বা ২০০ গ্রাম কর্ণ ফ্লাওয়ার
১/২ কাপ বা ৭০ গ্রাম করে কাজু বাদাম এবং পেস্তা
১/৪ কাপ বা ৫০ মিলি ঘি
লবণ পরিমাণ মতো
প্রথমে গোলাপ জলের মাঝে সেফ্রন এবং এলাচ গুড়া গুলিয়ে নিন। একটি সসপ্যানে পানির সাথে ব্রাউন সুগার গুলিয়ে জ্বাল দিতে থাকুক। মোটামুটি অর্ধেক জ্বাল হয়ে যাওয়ার পর তার মধ্যে কর্ণ ফ্লাওয়ার ঢালুন এবং ঘুটতে থাকুন। গোলাপ জল সেফ্রন এবং এলাচের মিক্স সাথে কাজু পেস্তা এবং ঘি ঢেলে দিন।
তিন চতুর্থাংশ পানি বাষ্প হয়ে যাওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে এবং ঘুটতে থাকুন। ব্যাস তৈরী হয়ে গেলে ওমানী ঐতিহ্যবাহী হালুয়া। আর হ্যাঁ, রন্ধন শিল্পীগণ কেউ রান্না করলে আমাকে দাওয়াত দিতে ভুলবেন না যেন!
আজ ১৮ই নভেম্বর ওমানের জাতীয় দিবসে সকল ওমানবাসীকে শুভেচ্ছা।
* ছবিসুত্রঃ ইন্টারনেট ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।