আমি ভালবাসি আমার আল্লাহকে, প্রিয় রাসুল এবং আমার দেশকে। খোলামেলা কথা পছন্দ করি। অল্পতে কষ্ট পেয়ে বসি, আবার অল্পতেই ভুলে যাই সব দুখঃ। তবে কারো উপকার-অবদান ভুলতে পারিনা জীবনভর। পছন্দ করি উদার, স্বচ্ছ ও খোলামনের মানুষকে, ঘৃণা করি গোঁড়া ও অহংকারীকে।
তিনি সামান্য সময়ের জন্য বিলেতী হালুয়া রুটি ত্যগ করে বাংলাদেশে তাশরীফ এনেছেন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও নাস্তিক্য প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত পালনে নিয়োজিত মর্দে মুজাহিদীন ও আওরাতে মুজাহেদীনদের হাতে কলমে সবক দিতে। অবশ্য প্রতিবারের মতো এবারও তাঁর ভাবশিষ্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে যেয়ারত এবং নালায়েক জামাতী ও নাখান্দা খালেদা দমনে প্রয়োজনীয় নসীহতও করবেন। আজ এক অনুষ্ঠানে তিনি ফরমাইয়াছেন-''বঙ্গবন্ধুর জীবনি লেখার চেয়ে ছোটদের জন্য মুক্তযুদ্ধের চেতনা নির্ভর (ধর্মনিরপেক্ষতা ও নাস্তিক্য প্রতিষ্ঠার) বই লিখতে হবে বেশি। ছোট বেলায় শিশুর মথায় যেই চেতনা ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে, জীভনভর সেই জোয়ারই বইতে থাকবে তার মন ও মননে। '' এরকম খালেস ধর্মনিরপেক্ষতা দরদী লেখক আমার বাপও তার জনম দেখেনি।
(অবশ্য তখন এতো বড়মাপের কুলাঙ্গার খুব একটা ছিলও না, তাই কথাটা হবে, আমার পোলার জনমেও দেখে কিনা সন্দেহ)।
শিশুদের মগজধোলাইয়ের এই আইডিয়া কতো সুদূরপ্রসারী! এমনকি বঙ্গবন্ধুর জীবনি চর্চাও এই মহাকাজের চেয়ে কম গুরুত্বের!
আফসোস! এই বাস্তবতাটি আজ ইসলামের সেবকগন এখনো বুঝেন বলে আমার মনে হয় না। কিছুটা বুঝলেও সেটার প্রয়োগ গ্রামের কমগুরুত্বপুর্ন ও গরিব ঘরের শিশুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যারা দেশের ভবিষ্যত কাণ্ডারী, সেসব ছেলেমেয়েদের মাথা কিনতে এসেছেন গাফফার চৌধুরীরা। একসময় এই মাথাগুলো কথা বলবে তাদের পক্ষে।
আমরা পারবো শুধু তাদের বিরোদ্ধে কুফুরীর ফতোয়া দিতে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।