আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগামীটার্মে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কি পুরোটার্মের জন্য আবার ক্ষমতাশীন হতে পারবে?:সামনেরদিনগুলোর রাজনীতি এবং প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে একটি সারমর্মকেন্দ্রিক ভবিষদ্বাণী

নি:সঙ্গ নাবিক ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে আর বাকী আছে সোয়া একটি বছর। ২০১৩ সাল বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবহুল একটি সময় হবে নি:সন্দেহে। বলা যেতে পারে ৪১ বছর বয়সী দেশটি এখন নতুন দিগন্তে প্রবেশ করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ২০১৪-২০১৫ সালে বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তিত হয়ে এক নতুন মাত্রায় ধাবিত হবে। তাই এখন থেকেই মোটামুটিভাবে বিশ্লেষণে রাখা উচিৎ কোনদিকে মোড় নিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি।

১। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী অনেকটা সুবিধাজনক অবস্হানে রয়েছে। এ অবস্হান তাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল। এদলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী খুন ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হলেও দূর্ণীতি হতে তারা দূরেই থাকে। এই সততার দীর্ঘদীনের চর্চা জনগণের সামনে একটা সৎ রাজনৈতিক দলের ইমেজ তৈরী করেছে যা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেই বললেই চলে এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি এটাও সত্য সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধীতা করা এই ইমেজ ক্যান্সারের মত তাদের খুবলে খুবলে খাচ্ছে।

তাই যুদ্ধপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতারা মাইনাস মানে দুনিয়া থেকে সরে গেলে সেটা দলগতভাবে জামায়াতেরই লাভ সেই তরুণ অপেক্ষমান জামায়াতী ভবিষ্যৎ নেতৃবৃন্দের জন্য যারা এককভাবে অথবা সমমনা দলগুলোকে নেতৃ্ত্ব দিয়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে একটি মিশর অথবা ইরানের মত আধুনিক কোর্টটাই পরিহিত পরমাণু অস্ত্র সম্বলিত মডারেট ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাবে জনগণকে। যদিও শহীদউপাধী দিয়ে স্মরণ করা হবে রাজাকার নেতাদের তবে তা দায়সাড়ার মত দেখালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা যেখানে বঙ্গবন্ধু অথবা মেজর জিয়াকে আওয়ামিলীগ আর বিএনপি নিঃস্বার্থভাবে স্মরণ করে। তাই যে করেই হউক ক্ষমতার আসল চাবীটা নিজেদের হাতে আনতেই হবে। এ কাজে তারা সরাসরি কখনও জনগণকে বলবেনা যে মুক্তিযুদ্ধ অতীত যা ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া ভালো। প্রয়োজনে দলের নামটাও পরিবর্তন করাসহ যা কিছু করার করতে চাইবে।

এমন কি ২০২৫ সাল নাগাদ একক ভাবে ক্ষমতায় আসতে দলের জন্য একটি গণতন্ত্রপনহী গঠনতন্ত্র তৈরী করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। এমনিতেই যেকোন একজন শীর্ষ রাজাকারের ফাঁসি হয়ে গেলে তার ঠিক ১দিন পর থেকেই দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত হওয়া শুরু করবে। জামায়াতের অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই এককভাবে ক্ষমতায় না আসতে পারার অযোগ্যতার কারণে আকাঙ্খাগত হতাশায় ভোগেন। একটা ব্যাপার যে জিনিসটা বিএনপির জন্য সুঁই হয়ে ঢুকে ফলা হয়ে বের হওয়ার মতন তা হল বিএনপির ভারত বিরোধী লবি যারা বিএনপির ধরিমাছ না ছুঁই পানির মত ভারততোষণ নীতিতে আস্হা রাখবেনা তারা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেবে যা এদেশে জামায়াতের রাজনীতিকে স্বাধীনতাপরবর্তীসময়ে নতুনভাবে চাঙ্গা করে তুলবে। ২।

বড় দলগুলোর ভেতরে সবচেয়ে করুণ অবস্হায় আছে বিএনপি। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত শাসনামলে দেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন থাকার পর তাদের আশা ছিল বর্তমান মহাজোটের আমলেও তেমনটাই হবে। কিন্তু তা না হওয়ায় বিএনপির লাগামহীন দুর্নীতিবাজের ইমেজ বাজারে থেকেই গেল যা তারেক জিয়া ও কোকোকে এদেশে পুণ:প্রতিষ্ঠা করে দিতে বড় বাঁধা। সেই সঙ্গে নতুন বিষফোঁড়া হিসেবে যোগ হয়েছে বিএনপির রণকৌশলে পরিবর্তন। অনেকেই ভেবে থাকেন ইন্ডিয়া আর চীনকে তেল মেরে খালেদা জিয়া আগামীটার্মে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছেন।

ভারত আর বিএনপির সম্পর্কে নতুন মোড় নিল। খালেদা জিয়া জন্মগতভাবে ভারতীয়। তাই ভারত খালেদাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোড়াবে আর তার সুবিধা ভোগ করবে বিএনপি। এমনটা যারা ভাবেন তারা আসলে বোকার সাগরে বাস করেন। আগামী ৫ বছরের টার্মে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারছেনা।

বিএনপি মূলত রামুর ঘটনার পরে আওয়ামিলীগ যেন বিএনপির গালটিপে ধরতে না পারে তার জন্য ব্যাকআপ সাপোর্ট চায় ভারত আর চীনের কাছ থেকে। যে জিনিসটা বিএনপির পাকিস্হানপন্হী অংশ যারা বিদেশী সাপোর্ট হিসেবে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানকে শক্তিশালী হিসেবে দেখে তাদের জন্য হতাশাজনক। অন্যদিকে মূল আদর্শ থেকে সরে যাওয়ায় বিএনপিতে যারা জামায়াতকে অপছন্দ করে তারা একটি আহত বাঘের মত গর্জন করবে এবং নিজের হারানো শক্তির কথা মনে করে প্রলাপ বকা ছাড়া কিছুই করতে পারবেনা। অবধারিতভাবেই নিজের ভাগ্যের জন্য আওয়ামিলীগকে দোষারোপ করবে। ৩।

যা বলছিলাম,এবার আর অল্টারনেট পালাবদল হবেনা। মানে এবার বিএনপি তো নেক্সটবার আওয়ামিলীগ নেক্সট আবার বিএনপি........। আগামীটার্মে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ আবারও পুরোটার্মের জন্য ক্ষমতাশীন হবে। যারা মনে করে এবার ৫ বছরের জন্য বিএনপি ক্ষমতায় বসবে তারা মূলত বোকার সমুদ্রে বসবাস করেন। এ পরিস্হিতিতে,যে পরিস্হিতিতে মার্কিন মুলুকে পরপর দুইবার বুশ,পরপর দুইবার ওবামা,ভারতে পরপর দুইবার কংগ্রেস তেমনি বাংলাদেশেও পরপর দুইবারের সূত্র ধরে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসবে।

একটা কথা বলে নেওয়া ভালো যে আওয়ামিলীগ কোন ভারতের এজেন্ট সংগঠন নয় যেমনটা বিএনপি বা সমমনারা এবং জামায়াতীরা অভিযোগ করে থাকে। আওয়ামিলীগকে বলা যেতে পারে এদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সাহসী দল যারা বিদেশীশক্তিকে অন্যান্য দলের তুলনায় চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে। বর্তমানে বাইরের দেশগুলোর মধ্যে বিএসএফের বর্ডারকিলিং আমাদের সাথে সবচেয়ে বড় সংঘাত। এ সংঘাতকে আনুপাতিকহারে কমিয়ে প্রয়োজনে সেনাশক্তি বাড়িয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ। প্রয়োজনে বড়শক্তিগুলোর সাথে কৌশলী নিরাপত্তাচুক্তি করে ভারতকে ধমক দেওয়ার যোগ্যতা ও সাহসও আওয়ামিলীগের রয়েছে।

মায়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রবিজয়,তিস্তার পানির ন্যায্যচুক্তিতে মমতার আপত্তিতে বাংলাদেশেরও প্রবেশ করতেই মুখের উপর মনমোহনকে না বলে দেওয়া জাতির কাছে একটি নতুন আশাপ্রদ ইমেজ নিয়ে এসেছে। এছাড়াও পাকিস্তানকে ৭১ এর গণহত্যার জন্য ক্ষমা ও ক্ষতিপূরণ চাইতে বলা এবং ডি-৮ এর আমন্ত্রণ বাতিল করে দেওয়া নি:সন্দেহে দূর্দান্ত সাহসিকতার পরিচয় রাখে যা নতুনভাবে আওয়ামিলীগকে জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে এবং যা বিএনপি জামায়াতের কেউই কখনও না ভারত না পাকিস্তান কাউকে কখনও ধমক দেওয়ার নজির স্হাপন করতে পেরেছে। যারা ইন্ডিয়া নিয়ে অতিরিক্ত টেনশনে ভোগেন তারা কিছুদিনেই বুঝতে পারবেন আওয়ামিলীগ ভারতের দালাল কোন সংগঠন নয়। তবে একটু সময় প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শান্বায়িত এদলটির। জনগণ সে সুযোগদিলে অবশ্যই সেকাজটি তারা করতে সক্ষম।

আমাদের বয়স ৪১ বছর আর ইন্ডিয়ার ৬৪। তাই তারা তুলনামূলক শক্তিশালী হবে এটাই স্বাভাবিক। আরও একটা তাৎপর্যপূর্ণ পয়েন্ট হল বাংলাদেশে সামরিক শাসন বেশী এসেছে কিন্তু ইন্ডিয়াতে কখনও আসেনি। তাই হাজারো দূর্নীতির ভীরে তারা এখন একতাবদ্ধ হয়ে নিজেদের দেশকে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি বানানোর স্বপ্ন দেখছে। একটি দেশের জন্য গণতন্ত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ প্রথাগত ধারা ভেঙ্গে আবারো ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে প্রমাণ করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে ২০২০ সালের মধ্যে যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার স্বপ্ন এবং চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের নিউইয়র্ক বা দুবাই বানানো এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী বানানো যে কোন স্বপ্নের বুলি নয় তাও প্রমাণ করবে।

এবারের ২০১৪ সালের ক্ষমতায় আসার পরই বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের নিকট প্রতিদ্বন্দী হিসেবে বিএনপিকে হটিয়ে জামায়াতে ইসলামী আসন দখল করবে। অন্যদিকে সন্ত্রাস দমন এবং ব্যবসা সংক্রান্ত স্বার্থের কারণে ওয়াশিংটন আর দিল্লী চাইবে এদেশে আওয়ামিলীগ আসুক। তবে তা চাওয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। নির্বাচনে কোন প্রভাব পরবেনা। আওয়ামিলীগের মেরুদন্ড ভাঙ্গার যে কৌশল ডানপন্হীরা আইএসআইকে নিয়ে করেছিল ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তা এবার কাজ করবেনা বললেই চলে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর দলের গুরুত্বপূর্ণ ও মুক্তিযুদ্ধসময়কালীন নেতৃত্বকে সুরক্ষা দেবে ছাত্রলীগসহ দেশপ্রেমিক গোয়েন্দাসংস্হা ও সেনাবাহিনী। সেক্ষেত্রে রাজাকারদের বিচার কার্যকরণ দেশে নতুনভাবে মুক্তিযুদ্ধানুভূতি জাগ্রত হতে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে স্মার্ট ডিসিশনের একটা হল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনস্ত নির্বাচন বাতিলকরণ এবং দেশের ছোটখাট সমস্যা থেকে সন্ত্রাসদমন,প্রশাসন সচল রাখতে বারবার পাকিস্তানী স্টাইলে সেনা হস্তক্ষেপের রাস্তাকে বন্ধ করে দেওয়া। কাজটি বিএনপিও করতে পারত তবে তারা একাজগুলো করতে সংকোচে ভোগে। যার পুরো সুযোগটিই নিয়ে নিয়েছে আওয়ামিলীগ।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এধরণের সিদ্ধান্ত যে কতটুকু সুদূরপ্রসারী তা অদূর ভবিষ্যতে জাতি বুঝতে পারবে। প্রকৃতঅর্থে এদেশে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ আর জামায়াতে ইসলামী যতটুকু রাজনীতি বোঝে অন্যরা তত পরিমাণ বোঝে কিনা সন্দেহ। একটি সুস্হ গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন করতে এবং সন্ত্রাসদমনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার নি:সন্দেহে পুলিশ ও অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর অযোগ্যতাকে প্রমাণ করে। সেনাবাহিনী কেন এসব করতে যাবে?ওদের একমাত্র দায়িত্ব আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের যেকোন প্রতিদ্বন্দীকে নিয়ন্ত্রণ করা। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের অর্থও হল আমরা জাতি হিসেবে আস্হাসংকটে ভূগি যা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর।

সেই সাথে ঢাকাস্হ ভারত এবং মার্কিন দূতাবাস(যদিও মার্কিনীদের ব্যাপারে কিছুটা সন্দিহান) যেকোন সময় গণভবনসহ দেশের যেকোন প্রান্তে শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা দিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় দেবে। কেননা ওবামার বিজয় বিশ্বরাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে যা এদেশে ডানপন্হার উথ্থানকে রুখে দিতে শক্তহাতে প্রতিরোধ করবে। যদিও ফেডারেল মার্কিনস্টাইলে ভারতীয়রা ডানপন্হাকেই ব্যবসায়ীক সুবিধার রাস্তা হিসেবে বেছে নেবে তবে তা স্হানভেদে ভিন্ন। মানে আমেরিকার ডানপন্হায় এমনকি তা ডেমক্র্যাট মানে ওবামা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইলেও ইন্ডিয়ার প্রবলেম নাই। কিন্তু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের ডানপন্হা ইন্ডিয়ার প্রবলেম।

অন্যদিকে চীনের উভপন্হা ইন্ডিয়ার প্রবলেম। ভারতের উভপন্হা চীনের প্রবলেম। আমেরিকার উভপন্হা চীনের প্রবলেম। আবার আমেরিকার রক্ষণশীল দলের কারণেও ইন্ডিয়ার প্রবলেম নাই। আবার আমেরিকার রক্ষণশীল গ্যাং বাংলাদেশের সব পার্টির জন্য প্রবলেম যারা বাংলাদেশের যেকোন গ্যাংকে কবুতরের বাচ্চার মত গলাটিপে ধরবে মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে।

আবার বাংলাদেশকেও স্হিতিশীল রাখতে পারলে দিল্লীর লাভ। ৪। কমিউনিস্ট সমাজতান্ত্রিকদের ব্যাপারে লেখব ভাবছিলাম কিন্তু এদের ব্যাপারে লেখার রুচি নেই আপাতত। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।