ভালবাসতে সবাই জানে , দুঃখ পেতে সবাই জানে তবে কস্ট কে বুকে ধরে সেটা উপভোগ করা কতটা নির্মম সেটা কেউ কেউ জানে । এখানে থাকবে দেবদাস এর ডায়েরি কথন -
আজ একটা মজার কান্ড করেছি । রাসেলদের বাড়ি যাওয়ার পথে আমবাগান থেকে কয়েকটি আম চুরি করে ফেলেছি । আমগুলো এখন কি করি ? এত্ত টক যে কি বলব । পাকানোর টাইম ই দিলাম না ।
কাঁচা আম শুনেছি মেয়েদের খুব প্রিয় । আমি বুঝি না মেয়েরা কেন সব টক খাবার এত পছন্দ করে । বিভিন্ন আচাড় দেয়া শিউলিদের বাড়ির ছাদে । চুরি করে খেতে মজাই আলাদা , জানি যদি ও যে চুরি করা মহাপাপ কিন্তু কি করব । আবার এইটা ও জানি অনেক সময় চুরির খাবার মজা লাগে না ।
এই যেমন আজকের এই আমটা এখন কি করব ভাবছি । এক কাজ করলে কেমন হয় । শিউলিদের বাড়িতে চলে যাই , শিউলিকে কাঁচা আমগুলো দিয়ে আচার চাইবো ।
গন্তব্য শিউলিদের বাড়ি , সময় বেলা ৪ টা বেজে ৪৫ মিনিটি ।
শিউলদের বাড়িতে বিশাল একটা বেলি ফুলের গাছ আছে ,কিন্তু চারদিকে কোন ও শিউলি ফুলের গাছে নেই ।
আমি প্রাইই বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করতাম যে শিউলির নাম অথচ তাদের বাড়িতে শিউলি ফুলের গাছ ই নাই । শিউলি বারান্দায় ছিল । কি জানি করছিল আমি পিছন থেকে শিউল কেমন আছিস বলতেই মেয়েটি ঘাবড়িয়ে গেলো । আচমকা ডাকে পিছন ফিরেই বলল - তুমি তো আমাকে ভয় পাইয়ে দিলে । মেয়েদের এইটা একটা নাটক বলেই মনে হয় , ঐ যে কেউ ডাক দিলে বা হাত ছুয়ে দিলে মনে করে - এই মা কি করলে আমি তো ভয় ই পেয়ে গিয়েছি ।
শোন শিউলি তোর জন্য এই কয়টা আম এনেছি বলেই ওর আরো নাটক দেখার আগেই আমগুলো ঝপঝপ করে ওর সামনে ফেলে দিলাম । শিউলি আমগুলো দেখে তো আরো আবেগপ্লুতু হয়ে দুই খান দাত বেড়িয়ে কিছু বলার আগেই আমি শেষ করে দিলাম এই বলে যে - শিউলি আমারে কিছু আমারে মিস্টি আচার দিবি এগুলোর বদলে ।
চমকের উপর চমক , তার চেহারাটা যা হয়েছে না দেখতে ।
চলবে ....। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।