পাল্টে যাচ্ছে সহিংসতার শিকার রামুর বৌদ্ধ পল্লীর দৃশ্যপট। পুড়িয়ে দেয়া বসত ঘরগুলোর পূনঃনির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা। সরকারী অর্থায়নে শুরু হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলোর নির্মাণ কাজও। সহিংসতা ভুলে আবারো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
ফেসবুকে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে মন্দিরের শহর খ্যাত রামু উপজেলার বৌদ্ধ বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২ টি বৌদ্ধ মন্দির ও শতাধিক বসত ঘর। বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কক্সবাজার ১৭ ইসিবি’র তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ মন্দির এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত বসত ঘর সমূহের নির্মাণ কাজ চলছে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার সহ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরে মজুদ করা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। এসব মন্দিরে নির্মাণ কাজ তদারক করছেন বাংলাদেশ সেনাবহিনীর ১৭ ইসিবির সদস্যরা।
রামু উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, রামুতে সহিংসতায় বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ টি বাড়ির মধ্যে ৯টি বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও ৬০-৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ মন্দিরগুলো সরকার সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করছে।
রামু পশ্চিম মেরংলোয়া বড়ুয়া পাড়া এলাকায় বিজিবি ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এসব বাড়ির গৃহকর্তারা হলেন, লিটন বড়ুয়া, তুফান বড়ুয়া ও শশী বালা বড়ুয়া।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩ তলা বিশিষ্ট এ বিহারের পূণঃনির্মাণ কাজ এক সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছে। একসাথে রামুর ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য মন্দিরগুলোর নির্মাণ ও সংস্কার কাজও করা হচ্ছে।
২৯ সেপ্টেম্বরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায় পুরোদমে তাদের বসত ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রবারনার পূর্ণিমার পর থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধ বিহারগুলোর নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।