আমি একাই পৃথিবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম http://www.facebook.com/kalponikvalo কিছুক্ষন আগে একটা ব্যাপক কমেডি শো দেখলাম এটিএন বাংলায়। জনৈক হুজুর একটি লাইভ প্রোগ্রামে বিভিন্ন ইসলামী সাওয়াল জবাব দিচ্ছেন। এই ফাঁকে মাগরিবের আজান দিল। আজানের মধ্যেও দেখলাম ফোন আসছে আর হুজুর তার সমাধান দিচ্ছেন।
সামুতে অনেক ভালো ধর্ম বিশারদ আছেন। তাদের কাছে প্রশ্ন রইল, ভাই কোনটা বেশি জরুরী? নামাযের ওয়াক্তে ফরয নামাজ পড়া নাকি কাউকে ইসলামী সওয়াল জবাব নসিহত করা। ?
আমাদের দেশের ধর্মভীরু কিছু মানুষের আচরন আসলেই দেখার মত। তারা চুন থেকে পান খসলেই ইসলাম গেল গেল বলে রব তুলেন। অথচ দেখেন দিনের পর দিন চলতে থাকা নামাযের সময় চলমান লাইভ একটি ইসলামী অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
তাহলে এই সব ধর্মভীরু মানুষের মাথা ব্যাথা হয় কি নিয়ে?
অনেককে দেখি ইন্ডিয়াতে গিয়ে মুরগী খেতে চান না। কারন সেটা হালাল না। ভালো কথা। ইসলামী আইন আমাদের মেনে চলতে হবে। আল্লাহর নামে জবাই না করলে সেটা হালাল হয় না।
আমিও চেষ্টা করি এই হালাল হারামের বিষয় গুলো মেনে চলতে। কিন্তু এইগুলোর চাইতেও অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় আছে। যেগুলো অনেক তথাকথিত 'ধর্মপ্রান' মানুষই মানেন না।
কিছুদিন আগে কক্সবাজারে গিয়েছিলাম সেখানেও একজন এই রকম বেহুদা তর্ক শুরু করেছিল। তারে বললাম, ভাই এই আপনি এত বড় একজন ইসলাম প্রেমিক, আপনার জীবন স্টাইল তো সে প্রেমের প্রমান দেয় না।
আপনি ঘুমাতে যান রাত তিনটায়। ফজরের নামাজ মিস, উঠেন দুপুর ২টায় যোহরের নামাজ মিস, ফেসবুকে গুতাগুতি করতে করতে হয় বিকাল, দেন দৌড় বাইরে। আপনার আসর আর মাগরিব কাটে বন্ধ বান্ধবীদের সাথে বিভিন্নখানে আড্ডা দিয়া। তারপর থাকে এশার নামাজ । এত কাজ করার পর কি আর আপনার শরীরে কুলায়? এই হচ্ছে আপনার ইসলাম প্রেমের নমুনা।
আর আপনে এখন আসছেন হালাল না হারাম সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে।
আমার এই সব প্রশ্ন শুনে সে চুপ। কিছুক্ষন পর শুনলাম তিনি আমার অন্য একবন্ধুকে বলছেন, আপনার এই বন্ধু তো নাস্তিক। কথা শুনে বুঝলাম। প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়েছিল।
কাছে বললাম, ভাই ঠিক বলেছেন জী, আপাত দৃষ্টিতে বুদ্ধিমান মানুষের কাছে আমি আস্তিক। কিছু "দলব' টাইপ প্রানীর কাছে আমি নাস্তিক।
কিছু ধর্মপ্রান আবাল মুসলিমই ইসলামের বারোটা বাজায় আর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। জিনিসটা দেখে খুবই হাস্যকর লাগল। তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম।
এটা সাময়িক পোষ্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।