মিনিট চলে, পিছে সেকেন্ডের পাল্লায় ক্লিক ক্লক ছবি তোলার শব্দ আর হেচকি মারা খিল খিল হাসির শব্দ । জলিল স্যর এর ডোজ কাটে নাই এখন উহার হাসির শব্দ সুনিয়া আরাম বোধ করিতেছিলাম। বঙ্গ দেশের কিশোরীরা শব্দ করিয়া হাসে, একটু বয়স হইলেই হাসির শব্দ গিলিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়া থাকে এবং এক সময় উহাতে সাফল্য আসে, অনেকেই আবার এক সময় হাসির শব্দ পুরোপুরি গিলিয়া ফেলিতে সক্ষমতর হইয়া উঠে হারিয়ে ফেলে মচৎকার একটি জিনিস। ইতিমধ্যেই বেস কয়েক জায়গায় গাড়ি থামানো হইয়্যাছে এবং রিফ্লেক্টর লইয়্যা নিমাইকে কাক তারুয়ার মতো দারিয়া থাকিতে হইয়্যাছে। নয়া গন্তব্য ঠিক করা হইয়্যাছে আমার বাল্য বন্ধু রবি এর কুঠির বাড়ি ওহ রবি কে চিনলেন না? আরে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর এর কথা বলিতেছিলাম আরকি, আমি ওকে রবি বলিয়াই ডাকি ছোট বেলার বন্ধু বলে কথা
বিলম্বিত লয়ে গন্তব্যস্থলের দিগতে যাত্রা শুরু করিলাম চালক সাহেবের ঘড়িতে দেখিতে পারিলাম বেলা ১২টা এর কাঁটা ছুই ছুই, পিছু ঘুরিয়া কিছু কহিতে গিয়া খেয়াল করিলাম এলিটা গভীর ঘুমের তলানিতে পতিত হইয়্যাছে. বাল্য বন্ধু 'তুগৌনিভ' হৃদয় ঘটিত এক সমস্যায় কহিয়াছিলেন “যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী” আরেক বাল্য বন্ধু রবি SMS দিয়াছে আমার পকেট টেলিফোনে
দেখিনু তারে উপমা নাহি জানি
ঘুমের দেশে স্বপন একখানি,
পালঙ্গেতে মগন রাজবালা
আপন ভরা লাবন্যে নিরালা
হায় হায় একি হনু? বিকেল সূর্যি দেব দেখি রিটায়ারট করিবার পরিকল্পনায় সঙ্কলপ করিয়া ফেলিয়াছে মাত্রই তো মৃদু সঙ্গীত স্রবনে চোখ বুজিয়াছিলা! গোধূলি বেলায় আসিয়া পরিয়াছি এম্মা একি চালক সাহেব রোবট এর মতো গাড়ির কাজ করিয়া উদ্ধার করিতেছেন বিমান বাহিনীর হ্যঙ্গারে দেখিয়াছিলাম “সকল ত্যগে রাখিব সচল” যেই গতি the স্পিডে চলিতেছিল তাহারে আমার সন্দেহের চুড়ায় চালক সাহেব একজন বিমান চালক আর আমি এফ ১৬ জাম্বু জেট ফাইটার এর অভ্যন্তরে রহিয়াছি।
ঘোর ভাবগিয়া চোখ ডলতে ডলতে জিজ্ঞাসু করিলাম চালক ভ্রাতা “আপনার বিমান কোন এলাকার রাস্তায় উড্ডায়ন করিতেছে?” প্রতি উত্তরে যাহা পাইলাম তাহা চ্রবনের পূর্বেই প্যারাসুট লম্ফ দেওয়া উত্তম বোধ করিলাম : কহিলেন ভ্রাতা বহু আগে আসছিলাম, রাস্তা ভুইল্লা খাইছি হের লিগা গাড়ি থামাই নাই মনে করছিলাম যাইতে যাইতে পাইয়্যা যামু কিন্তু গাই-বান্ধা চইলা আইছি ! আয় হায় ফান্দে পড়িয়া নিমাই কান্দে রে , ব্যাকআপ প্লান করিলাম চলাক সাহেব রে কহিলাম থামিয়া পরুন গাই বান্ধায় ৩ বলদ আইসা পরছি আপ্নের কাম হইতাছে যা কমু খালি কইবেন কথা সত্য পিছেও দেখিলাম এলিটা রুপি নেত্য কালী টা স্লিপিং মুডে রহিয়াছে আর বুঝিতেই পাড়িলাম শয়নে স্বপনে দেখিতেছে “ওয়ার্ল্ড ফটো গ্রাফার এর গ্র্যান্ড ফিনালের সেলিব্রেসন” কি করিয়া ঘুম হৈতে জাগ্রত করিব বুঝিতে পারিতেছিলাম না চিন্তা করিলাম ওয়াটার থেরাপি তেঁ কাজ হৈতেরে খাইয়্যা পানিতে হালকা চুবানি কাদিবে নাকি নিজেকে সামলাবে বুঝিতে পারিতেছে না চিল্লানি দিয়া কহিলে (বঙ্গানুবাদ)
“এইটা কিসের নরক”
নিমাইঃ- আহ জাহান্নামের ঠাণ্ডা পানি পান করিয়া আমাকে ধইন্য হরেন
নেত্য কালিঃ- তোমার রবীন্দ্র কুঠির কোথায়? আর এটা তো বিকেল
নিমাইঃ- সামনে যেই মাঠ দেখিতেছেন উহাই রবীন্দ্র কুঠির ছিল! ৬ মাস আগে এক ফরেন ফটো গ্রাফার এর মুণ্ডু কাঁটা ডেড বডী ছিল ঐ খুঠিতে, ঐ ফরেনার এর গাইড দামী ক্যামেরার জন্য খুন করে পালায়
নেত্য কালিঃ- কিসের *(সেন্সরড)* পাগলা মস্তিস্ক
নিমাইঃ- তার পরেই সরকার থিকে এই প্রাচীন স্থাপনা ধ্বংস করিয়া এই ফাকা ভুমি করিয়া রাখিয়াছেন, কি নিষ্ঠুর
নেত্য কালিঃ- আসলেই এই দেশের মানুষ নিষ্ঠুর একটা ক্যামেরা এর জ......
নিমাইঃ- হুর মিয়া কিয়ের কি? আমি কইতাছি সরকারের কথা আর তুমি কও নিজের কথা
এর মধ্যি চালক সাহেব ধূমপান করিয়া ফিরিয়াছেন গন্ধে বুঝিতে পাড়িলাম, কলিলাম “চালক ভ্রাতা খাইবো নাকি ঘুমাইবো?” চালক সাহেব কাচু মাচু হইয়্যা হাতির খোঁড়াক সামনে উপস্থাপন করিলেন
উরি আল্লা আইজ দিনে শনির দসা থুইইয়া নেপচুন প্লাটুন এর দসা পরছে কি ও খাদ্য কু খাদ্য দিছে খামু নাকি গলায় দড়ি দিমু তার টস করলাম খেইপ্পা বাসায় কল দিলাম! ইস্ক্রিনে লেখা উঠছে “network not coverers” হারামির টেল তোর **(সেন্সরড)** নেত্য কালির দিকে তাকাইয়া কইলাম “ঐ ছেম্রি তোর ফোন দে” (মেজাজ খারাপ হইলে মুই আবার হাল্ক হয়া যাই) এহেন অচ্রব্য হাক সুনিয়া ছিটের উপরে পা তুলিয়া হাঁটু মোরা দিয়া গুটি সুটি হইয়্যা বসিয়া ডান হাত নিজ গলায় ধরিয়া বাম হাতে মোবাইল খানা আমার তরে আওগায়া দেওয়া মাত্রই চিলের ন্যয় ছোঁ মারিয়া চিল্লানি দিয়া কহিলাম “বাপ মায়ে আদব কায়দা সিখায় নাই” বাহ মাইয়্যার ভিতরে দেখি একটা স্যতসেতে ভাব আছে নাকের দু-ধারে একটা ইছামতী আর এক পাশে গঙ্গার জল বহে ১/২ ফোটা পরতেই হাঁটুর ভিত্রে ঘার মাথা ইনপুট করিয়া ফুপিয়া ফুপিয়া ক্রন্দ্রন করিতে রহিয়াছে আর নিমাই বাবাজী কল বাসায় নাম্বারে ডায়েল কইরাই হাল্ক এর ডাবল মেযাযে উত্তিন্য হইলেন ! সেল ফোন খানা ফেরত না দিইয়্যা পকেট গোচর করিলাম, ড্রাইভার সাহেব এর দিকে তাকাইতেই সেট খানা ২ হাতে আওগায়া দিলেন আর ভয়ে কহিলেন চার্জ নাই মুই ড্রাইভার সাহেবের নোকিয়া ২৭০০ এর পিছনের মোড়ক উন্মোচন করিয়াই ব্যাটারি তুলিবার মাত্রই ফায়ার বল হায়া গেলাম সব দেহি বালু বাসার টানে পাশে আইন্নালাইছে আমার সিম এয়ার টেল নেত্য কালী টায় ওয়ারিদ যুগের একটা পুরান আমার এয়ার টেল সিম ধার নিয়া চালাইতেছে আর চালক সাহেব নিজেও ভালু বাসার তানে ব্যাচেলর আনে ধইত *সেন্সরড*
কি আর করুম কিছু কিন্যা খামু কিনা চিন্তা করিতেছিলাম আর যেই গ্রামের ভিত্রে ঢুইকা পরছি তাতে সৃষ্টিকর্তাই জানেন এইহানে কি থুইয়্যা কি অয় মুই যেই গলা কাঁটা গপ্পো বানাইছি আহুন নিযেই ঐ গপ্পের ইতিহাস না হয়া যাই : আম্মাআ
২০০ গজ এলাকার মদ্ধেই দেখিতে পারিলুম কিছু উথতি অতি উৎসাহী লুল পুলাপাইন হা করিয়া চালক সাহেবের ফাইটার প্লেনের দিকে অপলক দৃষ্টি তেঁ চাহিয়া রইয়্যাছে আর কিছু একটা কানা ঘুসা করিতেছে বুঝিতে পাড়িলাম কানা ঘুসার বিষয়ঃ- “আমরা ৩ এলিয়েন” নেত্য কালী টারে কিছু কমু কিনা বুঝতে পারতেছিলাম না । তাই আর্ট অফ ওয়ার এর একটা ট্রিক _লেগ পুলিং_ করলাম নেত্য কালীর জানালার সাইডে গিয়া আমার মুপাইল খানা বাইর করিয়া দরজার ধারে ঠ্যস দিয়া খারায়া থাইকিলাম আর কিছুক্ষন হুদাই মুপাইল গুতাইলাম আর কানে ধইরা কইলাম “এলু শৈল মাছ? কি খবর রে, আমি তোর
এলাকায় আটকায়া আছি কোই তুই?” [ব্লগে শৈল মাছ নাম খান ইউস করলাম আসল নাম কইমু না] লুলয লেগ পুলিং এ কাম হইছে হেতেয় হাঁটুর ভিত্রে থিকা আমাবস্যর চান্দের লাহান চিহারা টা ভাইর হরলেন মুই নেটওয়ার্ক ছাড়াই মুপাইলে কথা কইতে কইতে দূরে কাইটা পরলাম পয়লা ভয় পাইছিলাম কাইন্দা চোখ লাল কইরালাইছে মুই তো ভাইব্লাম ভাম্পায়ার ট্যম্পায়ার নাকি হের পর দেহি নেত্য কালীটা চোখ মুছতে মুছতে মাটিতে পা ফেল্লেন !! মুপাইল রোগে ধরিয়াছে ড্রাইভার সাবের মুপাইলেও এক অবস্থা মুই গাড়ি হৈতে ৫০ ফুট দূরে খারায়া হাল্কা শীতের লাত্থি গুতা খাইতাছি আর হেতেয় নেত্য কালীর লাহান এক খান ওভার কোর্ট পইরা গাড়ির সামনে আমারে দেহায়া দেহায়া খাইতাছে ড্রাইভার ভাই নিজেও খাইতেয়াছে একটু দুরেই সেই লুল পুলাপাইন গুইলা আমার দুর্দশা দেখিয়া ৩২ খানা দন্ত্য উন্মোচন করিয়া ভেটকায়া হাসিতেছে মুই হাসির খোঁড়াক? এইয়্যা মাইনা লওয়া যায় না খারা মুই খাই নাই তো কি হইছে নেত্য কালী খাইবে? এইয়্যা হয় নো নিমাই পিছে দেখিতে পারিলেন পিছে এক খানা কেন্নে পোকা উহা হস্তগত করিয়া তাহাদের ২ ফিট দূরে দাঁড়াইয়া কহিলেন “ চালক ভ্রাতা, আপনারাই খাইবেন? আমার এক গেস্ট রহিয়াছে আমার ভাগ খানা তাহাকেই প্রদান করুন” এই বলিয়াই হস্ত প্রসারিত করিয়া এলিটার নাকের এক ইঞ্চ দূরে হস্তের মুঠি প্রসারিত করিলাম
আআআআআআআআআআআআআআআআ :# [ফিট]
ঐ সাইড থিকা ২/৩ টা পোলা পাইন আওগায়া আসতে নিয়া আসলো না আর একটা আইসা ইউ টার্ন কইরা ফেরত গেলো! বুঝলাম না কাহিনী :/ ড্রাইভার ভ্রাতা কোন রকমে হুস ফিরাইলেন আর কইতাছেন “এইয়্যা এক খানা কাম হরেলন? স্ট্রোক কইরা মইরা টীরা গেলে কি অইত” নেত্য কালী টার জ্ঞ্যন ফেরার পর যখন নিজের মুণ্ডু নিজের সাথে আছে, নাকি ওর ক্যামেরার জন্য গলা কাইট্যাঁ নিমাই পগার পার হইয়্যাছে তাহার সিউওর হইতেছে গলা হাতায়া আর ভয়ে কাপ্তেছে ঠিক তখনই নিমাই ড্রাইভার সাহেবের দন্ত ভাঙ্গা প্রতিউত্তর দিলেন “ মরলে আর কি হইত? এইডা আমার ফ্রেন্ড এর এলাকা, আমি আমার ফ্রেন্ড এর বাসায় গিয়া আম্মুরে ফোন করতাম এলিট্যাঁরে ড্রাইভার কিডন্যাপ করছে, আপ্নেও ফেরারি হইলেন আমিও বাচলাম আর লাশ বেওারিস কাহিনী শেষ ” এহেন কথা সুনিয়াই নেত্য কালী আর ড্রাইভার নিজেদের ভিত্রে চোখ চাওয়া চাউয়ি করিয়াই এলিতার ভ্যা-ভ্যনি সুনিতে পারিইলাম! এহেন অবস্থায় চ্রম হাসি পাইতেছিল তাই প্রস্থান ত্যাগ করিয়া দূরে গিয়া হাসিলাম ফিরিয়া আসিয়া মুস্থি বব্ধ করিয়া গাড়ির সামনে পিছে হাটা হাটি শুরু করিলাম চালক সাহেব মহা বিপদে রহিয়াছেন কি রাখিয়া কি হইয়্য যায় পরে দশ ঘাট ঘুরে ভগবান হইবে ভুত, আর একজন তো ভয়ে কথা কয়না নাকি রাগে কথা কয় না বুঝিতে পারিতেছিলাম না সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে প্রায়, নেত্য কালী টা সুযোগ বুঝিয়া খরগস এর মত এক দৌর আমিও পিছে দৌর চোখে কোন মানুষ এর চিহ্ন নাই আমি ১৩ বছর আগের অতিতে ফিরাইয়া গেলাম কিন্ত অতীত আর বর্তমান মিলাইয়্যা আমার ভবিষ্যৎ রচনা করিলেন :’( নিম্নরূপ
নিমাই ভাবিয়াছিল সেই নিত্য কালী নিমাই এর সহিত ছোট কালের সেই ছুঁয়ো-ছুই খেলিয়াতেছে কিন্তু বিধি বাম নেত্য কালিটা ধরিয়াই নিয়্যাছে নিমাই তাহার পিছে সেই প্রগঐতিহাসিক যুগের সেই পোকা লইয়্যা ভয় দেখানোর তরে দৌর ঝাপ শুরু করিয়াছি ! সেই লুল পুলা পাইণ গুইলার কাছে গিয়া কি জানি কয় এক জনে আমার দিকে আওগায়া আস্তেছিল আর বাকি সবাই তাহাদের মুপাইল এলিটার সামনে মিলাইয়্যা ধরিয়াছে যেটা খুশি নিয়া যাও অবস্থা নিমাই দৌর এর উপ্রেই এইসব দৃষ্টি গোচর করিয়া কিছুটা গতি দ্য স্পীড কমাইয়্যা লইলনেন আর সেই দল ছুট একজন সামনে আসিয়া ট্র্যাফিক পুলিসের ন্যয় পূর্ণ গতি রোধ করিবার মাত্রই বিচ্চু বাহিনীর সব গুইলা নিমাই কে টার্গেট করিয়া সে দেইকেই আসিতেছে ! আর এলিটা হাপানির রুগির মতো হাপাইতেছেন আর একটা খয়রাতের মুপাইলে বাটন প্রেস এর উপ্রে রহিয়াছে আর দুনিয়ায় কিছু নাই তার
এদের দেখে মনে হচ্ছে জঙ্গি ভাবাপন্ন
প্রথম জনঃ- ঐ মিয়া আপ্নেরে দেইখ্য তো ভদ্র মানুষই মনে ঐইত্যছে, ভর সন্দ্য বেলায় একটো বেগানা মহিলার পিছে দৌড়ান ক্যা?
নিমাইঃ- [কিঞ্চিৎ বিভ্রান্তিতে] আঃ-সঃ-লেঃ [হাপাইইয়া হাপাইইয়া]
২য় লুলঃ- কি পাইছেন কি? আমগোরে এলাকায় আইসা আমগোর এলাকার গেদি রে ডিশ্তাব!
নিমাইঃ- ঐ মিয়া আপ্নের এলাকার মেয়ে কেডা?
৩য় লুলঃ- ঐ চোপ চেসসি কতা কইয়েন না ! এ্যহাবারে কইলাম যিব্লা ছিরা হালামু!
[এলিটা বুঝিতে পারিরেন নিমাই ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে কন্ডিশনে রহিয়াছে তাই লয় বিলম্বিত না করিয়া নিমাই উদ্ধারে গুটি গুটি পায়ে সাস্মনে দিকে অগ্রসর হইতে শুরু করিলেন]
নিমাইঃ- কিসের মধ্যে কি বলেন? আপ্নের এলাকায় আইছি বইলা যা ইচ্চা তাই নাকি?
লুল নাম্বার ৪_-_ ঐ খারা আফা আইতাছে
[এই বলিয়াই মানব দানব সুমদ্র পারি দিয়া এলিটার কাছে যাইবার চেষ্টায় যেই লুল গুলানরে ইগ্নর করিলাম, এলিটা প্রায় কাছা কাছি]
লুল নাম্বার ২-_ জসিম মার্কা 5.Kg এর এক খানা ইয়া ধীসুমাইক এক খানা নাক বরাবর আসিয়া কিঞ্চিৎ পাস কাটিয়া নিমাই এর নাকের ১ ইঞ্চি বাম পাশে আঘাত হানিল আর নিমাই ১৮০ ডিগ্রী এঙ্গেল ঘুরিয়া মুখ থুব্রে মাটিতে পতিত হইলেন আর মস্তিস্ক অটো কহিলেন back to base man down.. man down !
My Hercules in you’re a** , you mother** এলিটার চিল্লানি সুনিয়া ভাবিলাম ইহা পূর্ব পরিকল্পিত সরজন্ত্র নিমাই এর বিরুদ্ধে! মাইর এর মাইর ও খাইলাম আবার কি গালিই না দিল বাবা ঘার ঘুরায়া যাহা দেখিলাম তাহা ছিনেমার বাঙ্গলা ছিনেমার দর্শক ছিনেমায় দেখিলেও আমি বাস্তবে দেখিলেম এলিটা ঘার বরাবর ডান কুনুই অর্ধ ভাজ করিয়া তুলিয়া লুল নাম্বার ৩ কে এক খানা বাম কানে মারিয়া দিলেন, কান ধরিয়া কোন রকম মাটিতে লুটাইয়া পরিলেন আর নিমাই তাহা দেখিয়া দারিবার চেষ্টা করিতেই ২ চোখে ঝাপ্সা দেখিয়া মাটিতে বিধ্বস্ত হৈতে হৈতে মাটিতে বসিয়া পরিলেন! আর অতর্কিত হামলায় বাকি ৪ জনের অবস্থা ভিম্রি খাওয়া যাহার জন্য করিলাম ডাকাতি সেই কহিল রঘু ডাকাত কি হইলো বুঝিতে উঠার পূর্বেই মার্কিন ২ নাম্বারের উপ্রে ড্রন হামলা হইলু এম্নে আর বাকি ২ টা তাকাইয়্যা থাকা বাদে কিছুই করার নাই বিশ্বাস করেন আর নাই করেন এই স্টাইলে মাইর চইলছে
এইবার এইবার দৌড়াইয়া পলাইন্ন্য প্রতিজগিতা, প্রতিযোগী ৩ জন লাল মিয়া, কালা মিয়া এবং ধলা মিয়া। শুরু লাল মিয়া দৌড়াইয়া পার হইবার পারছে Thank you, এইবারে ধলা মিয়া অ্যাঁ সেও গেল পার হয়া, ক্কিন্তু কালা মিয়া গেছে, নাহ পড়ি গেছে! এ কে কইছে তরে এইহানে এইসব খেলা-ধুলা করতে? তুই আগে নালা-নর্দমা, ম্যান হোল পার হইবার পেট্টিস কর। আবার অলিম্পিকে খেলবার চায়
মাটিতে লুটিয়া থাকা লুল খেলয়ার নাম্বার ৩ উইঠা দিছে লাফ অ্যাঁ.উ.উ দিছে লাফ। ওরে বাপরে বাপ এইডা কি লাফ দিলো নাকি ঝাপ দিলো... জাউক মাথাডা ফাটে নাই এইডাই রইক্ষ্য এই সব কিছু হইয়্যা গিয়াছে ১০ হৈতে ১৫ সেকেন্ডে !
নাকের পাশে ঘুসি খাইয়্যা অনেক খানি রক্ত বিসর্জন দিতে হইয়্যাছে, বাম চোখে আন্ধার দেখিতেছি আর ডান চোখ কিছুটা ঝাপসা , এলিটা এগিয়া আসিয়া জন সিনার “ইউ ক্যান্ট সি মি” করিয়া কহিলেন কি অবস্থা মিঃ এনিম্যল প্ল্যানেট ? কোই ভাবলাম ছিনেমার মতো কাপর ছিরা ব্যান্ডেজ আর রক্ত পরিস্কার করবে তা না আরও ভিগি বিল্লি হয়া ঝারি খাইলাম , আর এলিটা লুল গ্যাং এর মোবাইল মাটিতে ফেলিয়া আমারে মটি হৈতে টানিয়া তুলিলেন আর গাড়ির কাছে ধরিয়া নিয়া ড্রাইভার এর পাশের ছিটে বসাইয়া দিলেন আমি ঘুমাইয়া গিয়াছিলাম চোখ খুলিয়া দেখি পরদিন সকাল আর আমি বাসায়।
তয় তুমারে কয়া পারি নাই সেই দিন আঘাতের ভিতে তোমার স্পর্শ গুলো ছুটে পারে নাই
[আগামী ৯ নভেম্বার গেট-টুগেদার ইভেন্টে যদি কেও এই ঘুসার দাগ নিয়া কিছু কুটিল মন্তব্য করেন তাইলে কইলাম আমি পিঁজা হাটে গিয়া প্লেট ভাংমু আগেই কইলাম
গিফট ফর মাই অল USA বাই ব্রাদার্স
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।