আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কম্পিউটারের আয়ু দীর্ঘস্থায়ী করুন

স্বপ্ন দেখি এবং চেষ্টা করি সত্যি করার পৃথিবীতে মানুষ কিংবা প্রকৃতি সৃষ্ট সকল বস্তুর স্বাভাবিক নিয়মে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আমাদের দৈনন্দিন কাজে অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্র পিসির ক্ষেত্রেও এ নিয়ম ব্যতিক্রম নয়। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, পিসির স্বাভাবিক মাধুর্য বা কার্যক্ষমতা তেমন শোভনীয়ভাবে না কমে বরং অতি দ্রুতগতিতে কমে যেতে থাকে। এর ফলে দেখা যায় খুব কম সময়ের মধ্যে উইন্ডোজ এক্সপি বা উইন্ডোজ ভিসতা স্টার্ট হতে অনেক সময় নেয়। অল্প কয়েক বছরের মধ্যে সমস্যা এত প্রকট আকার ধারণ করে যে পিসিটি ব্যবহার করার অযোগ্য হয়ে পড়ে।

আপনার পিসিটি স্টাট হতে দীর্ঘ সময় নিতে পারে, তাৎক্ষনিকভাবে থেমে যেতে পারে, কাজের প্রসেসে দীর্ঘ সময় নিতে পারে। হতাশ হবার কিছুই নেই, কেননা এমন ধীরগতিসম্পন্ন পিসির সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উপায় আছে। যার মাধ্যমে একটানা দুই বছর অনায়াসে ব্যবহার করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে যেসব ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে তা জেনে নিন- =) পিসি ক্লিনআপ করার আগে প্রয়োজনীয় ডাটা ব্যাকআপ করে নিন যাতে কোনভাবে ডাটা হারিয়ে না যায়। এজন্য পরিপূর্ণ ব্যাকআপ নেয়া উচিত।

প্রয়োজনে এ সম্পর্কে ওয়েবসাইট কিংবা অভিজ্ঞ কারোর সহায়তা নিন। =) যেকোন কাজ শুরু করার আগে আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিস্পাইওয়্যার রান করান। ক্ষতিকর সফটওয়্যারের কারণে পিসির গতি কমে যাওয়ার লক্ষণ সাধারণত বোঝা যায় না। অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিস্পাইওয়্যার রান করিয়ে পারফরমেন্সের উন্নতির লক্ষণ বোঝার চেষ্টা করে দেখুন। হার্ডডিস্কে কোনো এরর নেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন- ১) ফাইল ও ডিরেক্টরি করাপ্ট করতে পারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, উইন্ডোজ ক্র্যাশ অথবা পিসির মূল সূইচ অফ করার কারণে।

সুতরাং ড্রাইভ ডিফ্র্যাগমেন্ট করার আগে এ বিষয়গুলো চেক করে দেখা উচিত অথবা পিসি ঘন ঘন ফ্রিজ বা ক্র্যাশ করছে কি না তা খেয়াল করে দেখুন। এজন্য এক্সপিতে মাই কম্পিউটার অথবা ভিসতা কম্পিউটার ওপেন করে ডিস্ক ড্রাইভ খুঁজে দেখুন যা c: দিয়ে লেবেল করা আছে। এতে উইন্ডোজ ফোল্ডার থাকে। ২) c: ড্রাইভের উপর গিয়ে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করুন এবং Properties Tools ট্যাবে ক্লিক করে Check now এ ক্লিক করুন। এরপর যে বক্স আবির্ভূত হবে তার Automatically fix system errors লেবেল করা বক্সে টিক দিন।

এক্ষেত্রে নিশ্চিত হয়ে নিন, এর নিচের অপশনটি আনটিক আছে কিনা। এবার স্টাট এ ক্লিক করলে উইন্ডোজ জিজ্ঞাসা করবে আপনি পরবর্তী সময়ের চেক করার জন্য সিডিউল সেট করবেন কিনা পিসি স্টাটের সময়। এক্সপিতে Yes আর ভিসতার Schedule disk check এ ক্লিক করুন। ৩) উইন্ডোজ শাটডাউন করে পিসি রিস্টাট করুন। এক্সপিতে উইন্ডোজ স্টাট হবার আগে একটি স্ক্রিন দেখতে পাবেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রান করে ডিস্ক চেক।

আর ভিসতায় এটি থাকে সাদা টেক্সট সম্বলিত কোনো স্ক্রিনে, এটি আপনার পিসির ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কিছু সময় নিতে পারে। যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে পিসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিস্টার্ট হবে এবং উইন্ডোজের স্বাভাবিক লগইন স্ক্রিনে যাবে। যদি উইন্ডোজ লগইন স্ক্রিন আবির্ভূত হতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় নেয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সমস্যাটি ড্রাইভার সংশ্লিষ্ট। এ সমস্যা সমাধান করা কঠিন এবং এজন্য সাধারনত দরকার হয় উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করা। যদি পিসি উইন্ডোজ লগইন স্ক্রিনে বুট হতে যৌক্তিকভাবে সময় নেয় তবে লগইন ডিটেইল টাইপ করার পর ডেস্কটপ লোড হতে দীর্ঘ সময় নেয়।

এক্ষেত্রে ইনস্টল করা প্রোগ্রামসমূহকে মূল অপরাধী হিসেবে গন্য করা যেতে পারে। ডান দিকের windows Taskbar এ খেয়াল করুন। এরপর ডিসপ্লে খেয়াল করুন। এখানে একাধিক আইকন থাকলে সেটিই হবে সমস্যার কারন। টাস্কবারের এই অংশের প্রতিটি আইকন এক একটি প্রোগ্রাম বা ইউটিলিটি যা পিসির মেমরিতে লোড হয় এবং ব্যাপকভাবে কম্পিউটারের রিসোর্স ব্যবহার করে।

ক্লক ও ভলিউম কন্ট্রোল প্রয়োজনীয় হতে পারে। তবে বাকিগুলো তেমন কোন কাজ না করলেও পিসিকে ধীরগতিসম্পন্ন করে দেয়। এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে উইন্ডোজের বিল্ট-ইন টুল ডিস্ক ক্লিনআপ। এ টুলটি পেতে চাইলে ক্লিক করুন- Start > All Programs > Accessories > System Tools এবং Disk Cleanup এ। যদিও এ টুল ব্যবহার করা বেশ নিরাপদ, তারপর এর তিনটি আইটেম রয়েছে, যা Disk Cleanup টুল দিয়ে রিমুভ করার আগে ভাবতে হবে একাধিকবার।

প্রথম হচ্ছে Office Setup Files, যদি এটি লিস্টেড হয়। এ ফাইল রিমুভ করলে মাইক্রোসফট অফিসের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে অরিজিনাল অফিস ডিস্ক ঢুকাতে বলবে। আপনার কাছে ডিস্ক থাকলে বক্সে টিক দিন। যদি না থাকে তাহলে এড়িয়ে যান।

পরবর্তী ব্যক্তিক্রম হলো Compress old files। এটি ফাইলের সাইজ কমিয়ে দেয় যা কম্প্রেস করার মাধ্যমে সংকুচিত করা হয়নি। ফাইল কম্প্রেস করার ফলে কিছু স্পেস সাশ্রয় হয়। তবে ফাইল কম্প্রেস করতে বেশ সময় নেয়। তাই কাজটি করার জন্য ভেবে নিন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.