জবরদস্তির কাকুক বীর্য ধুয়ে ফেলে রুখে দাঁড়াও নারী! তুমি সূচিশুদ্ধ ধর্ষক পুরুষের চাইতেও! ধর্ষন নিয়ে যত নারীর সম্ভাব্য যত মর্মান্তিক বেদনা, আক্ষেপ, স্টিগমা, সামাজিক দূর্নাম, ক্রোধ, লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা বোধ ইত্যাদি সবই কিন্তু পুরুষের কন্ঠে বা পুরুষ প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রিত মগজ ধোলাই নারীদের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশিত হয়ে আসছে আজ পর্যন্ত! কিন্তু এ ব্যাপারে নারীদের স্বাধীন ধারনা কি তা কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিস্ফুট নয় তেমন ভাবে!হায় হায় গেল গেল- ভাবটি এ ব্যাপারে পুরুষের মজ্জাগত! মার্কেট ইকোনমীর বিকিকিনিতে মানুষও যখন আজ পন্যের পর্যায়ে উপনীত, সেখানে ধর্ষন শব্দটি প্রায় প্রতিটি পুরুষের ভেতর ধর্ষকামী স্বত্তাকে প্রবল ভাবে “চোরা” যৌন তৃপ্তির বিলাস দিয়ে যায়, তাই তো মিডিয়া সেই সব খবর এত খায়, কাটতি বাড়ে সংবাদ পত্রের! সাথে সাথে বেশীরভাগ পুরুষ ই কল্পনা করে সেই তথাকথিত ধর্ষিত নারীদেহটি, তার নগ্নতার অবয়ব এবং মাংসল সুখ প্রাপ্তির সম্ভাবনা! এটাই সেই গণ-মনস্তত্ত্ব যা সব ধরনের ধর্ষনের পেছনের চালিকা শক্তি! যতদিন শুধুমাত্র পুরুষ শাসিত সমাজ থাকবে ততদিন এই কর্মটির বিনাশ তো হবেই না, বরং এর নানা ধরনের “চিত্তাকর্ষক” ব্যাতিক্রম ধর্মী কর্মকান্ড বা “ভেরিয়েশন” পয়দা হতেই থাকবে পুরুষের জন্যে! অনাদি অনন্তকাল থেকে নারীরা ধর্ষিত হচ্ছে, পুরুষ ধর্ষন করছে! আবার পুরুষ শাষিত সমাজ তা নিয়ে হই চই বাধাচ্ছে যে ধর্ষন মহা অন্যায়, একে রুখতেই হবে!কিন্তু এত কিছু করেও ধর্ষন ঠেকানো যাচ্ছে না! হয়তোবা যাবেও না! আচ্ছা ধর্ষনকারী পুরুষের জাত যায় না কেন? তারা পতিত হয় না কেন? তাদের কেউ কি গেল গেল বলে সহানুভুতি দেখায়? না দেখায় না আর তার কারন হলো যূগাযূগ থেকে গণ-মনস্তত্ত্বে এটাই স্বীকৃত যে পুরুষরা ধর্ষন করতে পারে,তারপর লিঙ্গ ধুয়ে ফেললেই তারা সুচিশুদ্ধ হয়ে যায়! কিন্তু মেয়েরা তা পারেনা কেন? আমার প্রশ্নের সমাধান সেখানেই বর্তমান বলে আমি মনে করি! হাজার বছর ধরে দৈহিক ভাবে “ওভার-পাওয়ার্ড” করে মেয়েদের পুরুষ শাসিত সমাজ শিখিয়েছে যে তোমরা যেহেতু ধর্ষনের বীর্য দৈহিক গড়নের ফলে অনিচ্ছাতেও গ্রহন করতে বাধ্য হও তাই তোমাদের কুল মান সব গেলো! কিন্তু আসলে ধর্ষন একটা তৃতীয় স্বত্ত্বা, সেটি পুরুষ কখনও স্বীকার করেনি! পুরুষের ভেতর থেকে সংস্কার আর দৈহিক শক্তির ঘাড়ে চেপে সেটি হঠাৎই হাজির হয়, আর কুকর্মটির পরে আবার পুরুষের ভেতরই তার ঘাপটি মেরে থাকার স্থানে আশ্রয় গ্রহন করে! এর সমাধান চাইলে প্রায় অলৌকিক কিছু কাজ করতে হবে, তাতেই ধর্ষনের মতো মানুষের কূ-প্রবৃত্তি চিরদিনের জন্যে একদিন বিদায় নেবে, কিন্তু তার জন্যে প্রয়োজন মানব সভ্যতার এক বিরাট ও আমূল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া! আর তা হলো নারীদেরও বলে দিতে হবে প্রবল দৈহিক বা মানসিক শক্তির কাছে যদি পরাভূত হয়ে যদি বীর্য গ্রহনে বাধ্য হও,পুরুষের মতোই তুমি তা ধুয়ে ফেল, আর তার পর নিজেকে সূচিশুদ্ধ ভাবতে অভ্যস্ত হতে শেখ! ধর্ষনের বদলে প্রয়োজনে পালটা ধর্ষন কর, ইচ্ছে হলে তোমার তৃপ্তিও নাও, তারপর পুরুষের মতোই ছুড়ে ফেলে দাও পুরুষ বর্জ্যকে! আঘাতের বদলে আঘাত কর! মানুষের আদালতে বিচার হোক কে কাকে আঘাত করলো তার,আঘাতের, ধর্ষনের মামলা নারী তুমি প্রত্যাহার করে নাও, পুরুষ শাসিত বিচারালয়ের সাজানো আইনে ধর্ষনের বিচার চেয়ে ধর্ষকামী পুরুষ প্রবৃত্তিকে আর বাড়তি যৌন তৃপ্তি পেতে দিওনা! নারী তুমি মনে রেখ, পুরুষের মতো তূমিও অনাহুত কামুক বীর্য ধুয়ে ফেলে স্বচ্ছন্দে সূচিশুদ্ধ হতে পার! বিচার চাও শুধু অত্যাচারের, দৈহিক নিপীড়নের! আর তা বর্তমান পৃথিবীতে দুর্লভ নয়!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।