উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা সূত্রঃ
অস্ট্রেলিয়া এর Griffith এশিয়া ইনস্টিটিউট কর্তৃক ২০০৭খৃঃ সালে প্রকাশিত
এবং ইন্টারনেট
ছবি থেকেই বিস্তারিত জানা যাবে যে, চীন ব্যপক আকারে মায়ানমারে উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।
আগের ব্লগে লিখেছিলাম শুধু গভীর সমুদ্র নির্মানেই ২দশমিক৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে।
চীন মায়ানমারের বঙ্গোপসাগরের বিশাল সমুদ্র এলাকায় সমুদ্রতীরবর্তী তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়নশীল হিসেবে চীন পাইপলাইন সংযোগের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটা ছিল মায়ানমার এর নিরাপত্তা, পরিবহন, এবং শিল্প উন্নয়ন, একটি বৃহত আকারের প্রকল্প। ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর যে ভিন্ন চিন্তা চীনের মাঝে সঞ্চারিত হয়েছে এটি তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
কিয়াউকপিউ থেকে চীন এর Yunnan প্রদেশ পর্যন্ত গ্যাস pipeline নির্মান প্রকল্প ছাড়াও চীন বৃহত তেল শোধনাগার নির্মাণ করবে এই পাইপলাইন পথে । দক্ষিন-পশ্চিম চীনের এই পাইপলাইন কাজে বিনিয়োগ যা হয়েছে, তা নিম্নরুপঃ-
মায়ানমার তেল এবং গ্যাস বিতরণ প্রকল্প।
১। পাইপলাইনের তেল লাইন জন্য ১.৫ বিলিয়ান
২। গ্যাস লাইন জন্য ১.০৪ বিলিয়ন ডলার
প্রকল্পটি পুরাপুরি শেষ হলে প্রতিদিন ২৪০.০০০ ব্যরেল অশোধিত তেল চীনে সঞ্চালনের মাধ্যমে বিক্রী হবে, যার আয় বছরে ১ বিলিয়ন ডলার হবে মায়ানমার সরকার আশা করছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা শুধু জনগনকে শুনিয়েই গেলেন, বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে। মায়ানমারের ন্যয় একটি স্বৈরাচারি ও "হিটলারি" সরকার কে উন্নয়ন সাহায্য যদি চীন দিতে পারে, তা হলে বুঝতে হবে গণতন্ত্র - ফনতন্ত্র দিয়ে বা নামে উচ্চস্বরে আওয়াজ বা আন্দোলন করে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দর আর হবে না। সার্বিক কোন উন্নয়ন হবে না যদি না কোন লক্ষ স্থির থাকে এবং সুদূর প্রসারি বাস্তসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।