ব্লগিং শুরু করলাম বাংলাদেশে প্রথমবার থ্রিডি সিনেমা দেখানো হচ্ছে, দ্যা আমেজিং স্পাইডার ম্যান। আপনিও ইচ্ছা করলে সিনেপ্লেক্সে গিয়ে দেখতে পারেন, থ্রিডি বলে কথা! আমার থ্রিডি এফেক্টগুলা মারাত্তক লেগেছে (ভেতরে কিছু বর্ণনা দেয়া হলো!)।
যাই হোক আসি মুভি রিভিউ এ।
নামঃ দ্যা আমেজিং স্পাইডার ম্যান
ডিরেক্টরঃ মার্ক ওয়েব
অভিনয়ঃ Andrew Garfield (পিটার পার্কার বা স্পাইডার-ম্যান), Emma Stone (মূল অভিনেত্রী), Rhys Ifans (Dr. Curt Connors বা পরে যে ভিলেন হয়ে ওঠে), Martin Sheen (বেন পার্কার), Sally Field (মে পার্কার), Irfan Khan (Dr. Ratha বা এক অর্থে এই লোকই মেইন ভিলেন, যার চাপে পরে Dr. Curt Connors সরীসৃপ টাইপের প্রাণীতে পরিণত হয়)।
সিনেমাটির গল্প পিটার পার্কার নামের এক হাইস্কুলে পড়া ছেলে কে ঘিরে গড়ে উঠেছে।
পিটার পার্কার ছোটবেলা থেকে তার আঙ্কেল-আন্টির তত্ত্বাবধায়নে বড় হয়েছে (এখনো হচ্ছে)।
একদিন পিটার তার বাবার একটি রহস্যজনক ব্রিফকেস খুজে পায়। তারপর থেকেই পিটারের মনে তার বাবা-মা কেন নেই সেই ব্যাপারে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এভাবেই সে Dr. Curt Connors ল্যাবে চলে যায়, যেকিনা তার বাবার সাথে আগে গবেষনা করত।
এর মাঝে আগেও একদিন গিয়েছিলো সেখানে মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে ল্যাবের সিক্রেট যায়গায় পৌঁছে যায়।
সেখানেই এক মাকড়শার কামর খেয়ে আসে। তার পরেই তার মধ্যে স্পাইডার ম্যান সুলভ আচরন দেখতে পাওয়া যায়। পিটারের সাথে গবেষকের সম্পর্ক ভালোই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না পিটার জেনে যায় যে সেই গবেষকই এই বিশালাকার প্রাণী আর গবেষকও জানতে না পারে পিটারই স্পাইডার ম্যান। একটা সময় এমন হয় যে ডক্টর কার্ট বা গবেষক সাহেব জেনে যায় যে পিটারই স্পাইডার ম্যান কিন্তু এটা জানে না যে পিটারও এটা জানে, আবার পিটারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা, অর্থাৎ পিটার মনে করে সে যে স্পাইডার ম্যান এটা উনি জানেন না।
এদিকে ডক্টর সাহেব অনেক বছর গবেষনার পরে এমন এক সরীসৃপ তৈরি করে যেটা মানুষের থেকে শক্তিশালি।
টিকটিকির যেমন লেজ কেটে ফেললে আবার লেজ হয় তেমনি এই সরীসৃপ এর হাত কেটে ফেলা হলেও একটু পরেই হাত গজিয়ে যায়! এবং সে এটা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়। এরপরেই Dr. Curt Connors এর সৃষ্ট সরীসৃপ (নিজেই নিজেকে পরিণত করে) এর সাথে পিটারের যুদ্ধ শুরু হয়।
সিনেমাটি যদি সিনেপ্লেক্সে গিয়ে থ্রিডি দেখেন খুবই মজা পাবেন, বিশেষ করে কিছু দৃশের কথা মনে পড়ছে (অনেকগুলোই মনে পরছে দুই-একটা লিখলাম)।
(১) পিটার ট্রেনে শুয়ে আছে, ট্রেন চলছে, মনে হবে যেন আপনার সিট মুভ করছে। আমার কয়েক বার মনে হয়েছে কিরে ভাই সিট নড়ে নাকি?
(২) অনেক উচু থেকে পুরো শহরটা দেখানো হচ্ছে, ক্যামেরা বা স্ক্রিন মুভ করছে।
একটা চোখা টাওয়ারের উপর ঘেষে দেখানোর সময় সেই চোখা অংশটা আপনার চোখে লেগে যাবে এমন মনে হয়।
(৩) তিন নম্বরটা শেষ দৃশের, এটার মাধ্যমেই সিনেমাটা শেষ হয়। একটা থ্রি ডি এফেক্ট দিয়ে একটা থ্রিডি মুভি শেষ হলে মুভিটার রেশ থেকে যায়। এখানে কি দেখবেন সেটা আর না লিখি, লিখলে মজা কিছুটা ক্ষুণ্ণ হতে পারে!
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। সবাইকে ঈদ মুবারক।
আগের কিছু পোস্টঃ
মার্ক জাকারবার্গ করাচ্ছেন অনলাইনে কোর্স! আপনিও করে নিন ফ্রিতে!
বয়স ৩৭, চাকরি করেই ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক! কোন কম্পানির সিইও বলেন তো?
আপনি কি জানেন গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু কত বেতন দেয় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।