কি যে করি পুমা পুংকু (Puma Punku) আসলে কি, এটা শত শত প্রত্নতত্ত্ববিদের মত আমারো প্রশ্ন। বলিভিয়ার রাজধানী লা-পাজ থেকে ৪৫ মাইল দূরে এ্যান্ডিজ পবর্তের পাদদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১২০০০ ফুট উচুতে প্রাচীন এই শহর সত্যি এক বিস্ময়। “পুমা পুংকু” শব্দের অর্থ হচ্ছে পুমার দরজা। গ্রানাইট পাথরের তৈরী এ প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের কোন কোন পাথর ২৫ ফুট লম্বা এবং ১৫০/২০০ পাউন্ড ভারী। যদিও মুল কাঠামো কি ছিল সেটা এখন আর বোঝা যায়না।
বড় বড় পাথর গুলো এমন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেন মনে হয় প্রচন্ড কোন শক্তি প্রাচীন এই স্থাপনাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
প্রাচীন এই শহর কতো পুরানো তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি। মুলধারার প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন এটা ২ হাজার বছরের পুরান। আর্থার পোলানস্কি নামের একজন বলিভিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ তার সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন পুমা পুংকু এবং এর পাশেই অবস্থিত টিয়ানাকু এই দুই প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটের উপর গবেষণা করে। তাঁর ভাষ্যমতে পুমা পুংকু প্রায় ১৫ হাজার বছরের পুরান।
তিনি এই সময়টা অনুমান করেছেন আর্কিও-এ্যাস্ট্রোনমির (archaeoastronomi) উপর ভিত্তি করে। তার মতে এ দুটি স্থাপনা Pleiades star system এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যদিও মূলধারার প্রত্নতত্ত্ববিদরা তার এই ধারনাকে পাত্তা দিতে চাননা। কিন্তু তাদের ভাষ্যমতে এটা যদি ২০০০ বছরের পুরনো হয় তবে সেটা “আয়রন এইজ” –এ পড়ে। আয়রন এজের কোন বৈশিস্টের সাথে পুমা পংকুর কোন ধরণের মিল খুজেঁ পাওয়া যায়না।
পুমা পুংকু-এর আসল রহস্য তার পাথরগুলার কাটিংএ। যেভাবে পাথরগুলো কাটা হয়েছিল তা বতর্মানের ডাইমন্ড কাটের সাথে তুলনীয়! নিদির্ষ্ট এ্যাঙ্গেল ব্যবহৃত হয়েছে যেমন- ৯০ ডিগ্রী, গোল সেপ, ওভাল সেপ। আবার নিদির্স্ট দুরুত্বে গর্ত করা হয়েছে। একই মাপের একই সাইজের অসংখ্য ব্লক তৈরী করেছিল। এসব প্রমান করে তারা পরিকল্পনা করতে পারত মানে লিখতে পারতো, হিসাব করতে পারতো!
লোকাল মীথ অনুযায়ী এখানে “গড”রা বাস করতো।
তাদেরকে কেন্দ্র করে টিয়ানাকু শহরটা গড়ে ওঠে অনেকটা তীর্থের মতো। আবার এনসিয়েন্ট এস্ট্রোনাট থিওরিস্টরা বিশ্বাস করে এটা ছিল বর্হিজাগতিক শক্তিদের বা এলিয়েনদের বাহনের উঠানামার জায়গা। অনেকটা ল্যান্ডং-এর মত।
পুমা পুংকু যাই হোক-আমাকে অনেক ভাবায়। আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদরা রহস্যের কিনারা করা তো দূরের কথা ধারে কাছের কোন তত্ত্ব দিতে পার নাই আজ পযর্ন্ত।
এ সম্পর্কে কারো কিছু জানা থাকলে জানাতে পারেন দয়া করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।