মাকসুদুল কবীর মন্ডল সোহেল একজন প্রশিকষনরত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী, উন্নয়ন কর্মী এবং অনিয়মিত সাংবাদিক (ফিচার)…! আমি জানতে, শিখতে চাই..এবং তা অন্যের সাথে ভাগাভাগি (শেয়ারিং)করতে চাই। একীভূত শিক্ষায় স্থানীয় সরকার-ইউনিয়ন পরিষদের ভুমিকা
মাকসুদুল কবীর মন্ডল
একীভূত শিক্ষা কী?
একীভূত শিক্ষা হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া, যা প্রত্যেক শিশুর চাহিদা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী শিখন ও জ্ঞান অর্জনের প্রতিবন্ধকতা সীমিত ও দুরীকরণের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়। অন্যভাবে বলা যায়, একীভূত শিক্ষা হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ধর্ম,বণর্, গোত্র, ধনী গরীব, ছেলে, মেয়ে, পিছিয়ে পড়া শিশু, ভিন্নভাবে সক্ষম শিশু, প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধীশিশু সহ সকল শিশুকে একই সাথে মান সম্পন্ন শিক্ষা দান করার পদ্ধতি।
প্রতিবন্ধীতা কি ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০১ সালে আইসিএফ ( ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ফাংশনিং) ডকুমেন্টে-
এ প্রতিবন্ধীতার সংজ্ঞা প্রণয়নের জন্য একটি কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) নির্দেশ করেছে, যেটি জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রতিটি রাষ্ট্র তার নিজস্ব আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে আইনী সংজ্ঞা প্রনয়নকালে ব্যবহার করে। এ কাঠামোটিতে চারটি ক্ষেত্র রয়েছে যা নিম্নরূপ-
( স্বাস্থ্যগত অবস্থা/ সমস্যা)-হেলথ কনডিকশন
(অঙ্গের হানি/ হীনত/ ক্ষতিগ্রস্থতা) – ইমপেয়ারমেন্ট
( কর্মকান্ড সম্পাদনে সীমাবদ্ধতা ) -একটিভিটি লিমিটেশন
( অংশগ্রহনে সীমাবদ্ধতা )- পারটিসিপেশন রেসট্রিকশন
কোন ব্যক্তির যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যার ফলে অঙ্গহানি সৃষ্টি হলে এবং তার ফলে দৈনন্দিন কর্মকান্ড সম্পাদনে সীমাবদ্ধতা বা সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং এর ফলে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে উক্ত ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়।
প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন-২০০১ এ প্রতিবন্ধিতাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে;
‘প্রতিবন্ধী’ অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি-
(ক) জন্মগতভাবে, বা রোগাক্রান্ত হইয়া, বা দূর্ঘটনায় আহত হইয়া, বা অপচিকিৎসায়, বা অন্য কোন কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীণ; এবং
(খ) উক্ত রূপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে-
(অ) স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন; এবং
(আ) স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অক্ষম।
একীভূত শিক্ষা বাস্তবায়নে কতিপয় বাধা / চ্যালেঞ্জ সমুহঃ
শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে কমিউনিটির অংশগ্রহন নেই
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিতে প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবকদের প্রতিনিধিত্ব নেই
অপ্রবেশগম্য রাস্তা-ঘাট, বিদ্যালয় অবকাঠামো
বিদ্যালয় কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিদের মনিটরিং কম
একীভূত শিক্ষায় পাঠদান এর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের ঘাটতি
প্রতিবন্ধী শিশুদের অনুপযোগী ভবন
বিশেষ করে প্রতিবন্ধী শিশুদের ঢ়ববৎ মৎড়ঁঢ় এর ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব
অপ্রবেশগম্য কারিকুলাম প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও মুল্যায়ন ব্যবস্থ্যা
অপর্যাপ্ত শিখন ও প্রশিক্ষণ উপকরণ
নীতিমালা ও আইন সঠিক ভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঘাটতি
সহায়ক উপকরণের অভাব
নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী
প্রয়োজনীয় শিক্ষকের সংখ্যা কম
শিক্ষকদের বাড়ী দুরবর্তী হওয়ায় দৈনন্দিন কার্যক্রম জানা সমস্যা হয়।
স্থানীয় সরকার:
‘স্থানীয় সরকার’ ধারনাটি এত ব্যাপক যে এটাকে সজ্ঞায়িত করা কঠিন। সাধারনতঃ স্থানীয় সরকার বলতে এমন জনসংগঠনকে বুঝায় যা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ভৌগলিক সীমারেখায় একটি দেশের অঞ্চলভিত্তিতে বা জাতীয় সরকারের অংশ কাজ করে।
জি মনটাগো-এর মতে, ‘স্থানীয় সরকার’ কোন এলাকার জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত সরকার।
স্থানীয় সরকারসমূহ জাতীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী:
স্থানীয় সরকার ( ইউনিয়ণ পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলী নিম্নরূপ, যথা-
(ক) প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়াদি;
(খ) জনশৃঙ্খলা রক্ষা;
(গ) জনকল্যাণমূলক কার্য সম্পর্কিত সেবা; এবং
(ঘ) স্থানীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রতিবন্ধিতা:
ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটা বড় অংশ হলো প্রতিবন্ধী মানুষ। এরা বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধীতার শিকার হয়ে সব ধরনের সেবা ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আমরা সবাই জানি যে, ইউনিয়ন পরিষদ তার জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব পালন ও কার্যক্রমের মাধ্যমেই প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধ, প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যাক্তিদরে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ পুনর্বাসনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকেন।
আর এসব কাজ আরও ভালভাবে করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ যে সব ভুমিকা পালন করতে পারে। যেমনঃ
১. শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষা ্এবং টিকাদান কর্মসূচী সম্পর্কে জনগনকে অবহিতকরন এবং বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদান;
২. জন্ম-মৃত্যু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও দুস্থদের নিবন্ধন করা;
৩. যুক্তিসংগত কারন ছাড়া ৫-১৪ বছরের শিশুর (প্রতিবন্ধী শিশুসহ) প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তী হওয়া, নিয়িমিত উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা এবং শিশুর অভিভাবককে শিশুর লেখাপড়ায় উদ্ধুদ্ধ করা;
৪. পরিষদের বার্ষিক বাজেটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা
৫. স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কাযৃক্রমের প্রসার ঘটানো;
৬. শিশুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স-এ যোগাযোগ করার পরামর্শ প্রদান এবং সম্ভব হলে সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরনে সরাসরি সহযোগিতা করা;
৭. বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা;
৮. প্রতিবন্ধীবান্ধব এবং সবার জন্য প্রবেশগম্য, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা তৈরী করা ও অভিযোজিত পায়খানা ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহ দেওয়া;
৯. সরকারী স্থান, উন্মুক্ত জায়গা, উদ্যান ও খেলার মাঠ এর ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সেগুলো ব্যবহারে প্রতিবন্ধী শিশুসহ সবার জন্য উপযোগী করা;
১০. ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কার্যাবলী পর্যালোচনা করা এবং তাদের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধীতা বিষয়টি অর্ন্তভূক্ত করা বা বিবেচনা করা;
১১. নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাকরণ এবং সংরক্ষণ
১২. বিদ্যমান বিল্ডিং কোড অনুয়ায়ী ইউনিয়নে যে কোন দালান নির্মাণ ও পূনঃনির্মাণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সকল মানুষদের প্রবেশগম্য করা এবং অভিযোজনে উৎসাহ দেওয়া;
১৩. অগ্নি, বন্যা, শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়, ভুমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক র্দযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানান্তর, আশ্রয়ের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসণে ভুমিকা রাখা;
১৪. খেলাধুলার উন্নতি সাধন এবং তাতে প্রতিবন্ধী শিশুদের সম্পৃক্ত করা;
১৫. গ্রন্থাগার ও পাঠাগারের ব্যবস্থাকরণ, যেখানে স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক সচেতনতামূলক বই-এর ব্যবস্থাকরণ;
১৬. প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা ও প্রসার ঘটানো এবং এতে প্রতিবন্ধী শিশুদের অন্তর্ভূক্ত করা;
১৭. প্রতিবন্ধীতা বিষয়সহ জাতীয় দিবস উদযাপন করা;
১৮. এলাকার জনসাধারণ বিশেষতঃ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের সম্পত্তিতে উত্তারাধিকার নিশ্চিতকরণ, অর্জিত বা ক্রয়সূত্রে জমি বা সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান, বিভিন্ন হয়রানী, শোষণ, নির্যাতন, বঞ্চনা থেকে রক্ষা করা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সেবা সমূহ:
ইউনিয়ন পরিষদ তার ভৌগলিক এলাকায় অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য নান ধরনের সহায়তামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে। এই কর্মসূচীগুলো অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠী বিশেষতঃ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করণে ভূমিকা রাখে। এ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীমূলক কিছু কর্মসূচী যেমনঃ
১. কাজের বিনিময়ে খাদ্য র্কমসূচী
২. ভিজিডি কর্মসূচী
৩. ভিজিএফ কর্মসূচী বা দুঃস্থদের খাদ্য সহায়তা প্রকল্প
৪. গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচী
৫. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী:
এই সব কর্মসূচীর আওতায় অগ্রািধকার ভিত্তিতে দুঃস্থদের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশুদের আনা হলে তা একীভূত শিক্ষা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা সম্বব।
একীভূত শিক্ষা ও ইউনিয়ন পরিষদ/সমাজঃ
একীভূত শিক্ষা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থ, উপকরণসহ নানাভাবে স্কুল গমনপোযোগী এবং স্কুলগামী প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা করতে পারে। উদাহরনস্বরূপঃ ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার কোন সংস্থা, শিক্ষক-অভিভাবক কমিটি, বা স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি’র (এসএমসি) সাথে সম্বন্বয় সাধন বা যোগাযোগ করে স্কুলের সযোগ-সুবিধা উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। স্কুলটি যদি পাকা দালানের হয় তবে তাতে সিঁড়ির পরিবর্তে র্যাম্পের ব্যবস্থা করা, খেলার মাঠটি যদি অসমতল বা উচুনিচু হয় তা মাটি ভরাট করে প্রবেশগম্য বা প্রতিবন্ধীসহ সকল শিশুর খেলার উপযোগী করা, দরিদ্র বা বাবা-মা সন্তানকে শ্রবন যন্ত্র কিনতে অক্ষম শিশুকে শ্রবনযন্ত্র কিনতে সহায়তা করা ইত্যাদি।
পৃথিবীর অনেক দেশে, সমাজ তাদের এলাকার স্কুলে পানি সরবরাহ ও সেনিটেশন ব্যবস্থা তৈরীতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে।
এমনকি মেয়েদের জন্য আলাদা লেট্রিন/টয়লেট না থাকলে, সমাজ তা তৈরী করে দেয়। বাংলাদেশে কোথাও কোথাও ইউনিয়ন পরিষদ তথা সমাজ এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
মূলতঃ একজন নাগরিকের বিশেষতঃ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ইউনিয়ন পরিষদ অবদান রাখতে পারে।
মাকসুদুল কবীর মন্ডল
স্পেশাল এডুকেটর
একীভূত শিক্ষা প্রকল্প, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, (জি ইউ কে)
তথ্য সূত্রঃ
“ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক তথ্য কণিকা”-সিডিডি, ঢাকা
“ভিন্নতাকে মেনে নেয়াঃ একীভূত, শিখন-বান্ধব পরিবেশ তৈরীর কৌশল সমূহ (টুলকিট)”-ইউনেস্কো ঢাকা অফিস
“একীভূত শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল”- একীভূত শিক্ষা প্রকল্প, গণ উন্নয়ন কেন্দ্র, গাইবান্ধা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।