আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেএফকে কাহিনী (এক)

. রাত পৌনে নটা তিনটে ইয়া বড় লাগেজ লিয়ে টেকচি তেকে নামলুম, আমি, ছপন দাদা আর তাপস দাদা। রাচান ডেরাইবার আমাদের ফেলাইট শুভ হোক বোলে বিদেয় লিয়ে পেলল। এবার এয়ারপোর্ট এর ভেতরে ডুকলুম তিনজনে মিলে। এমিরেট্‌স এর পেলাইট। চেক ইন এর জন্য লাইন এ ডেড়িয়ে গেলুম।

ডেড়িয়ে দেকি পাশেই আর একটা লাইন, তাড়াহুড়ো করে দেকি ঐটা অনলাইন চেক ইন এর। মনটাই খারাব হয়ে গেলক। তিরিশ সেকেন্ড পর একটা খুপসুরাৎ মহিলা আমাদের পেচনে এচে ডেরিয়ে গেলো। : আমি একটি মিচকে হাসি ডিলুম খুপসুরাৎ আমাদেরকে জিগ্‌গেস করে যে, আমরা পিরিকোয়েন্ট প্লাই করি কি না? আমি বললুম না। তারপর বলে আমরা কোতায় যামু? বাংলাদেশ।

আর ছপন দাদা হইল যাত্রী। ও ওকে। আপনে কই যাইবেন? ব্যাংকক দুবাই পর্যন্ত একসাথেই যাব রাইট? রাইট (মনে মনে কানতেসি কারন আমি যাইতেসি না) এতক্ষন পর মনে হচচে দাদারা মোটেই আগ্রহী না এই খুপসুরাৎ এর উপর বাধ্য হয়ে মন খারাব করে ক্ষ্যান্ত দিলাম। ১৫ মিনিট পর: আমরা তিন জন কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট এর সামনে ডেরিয়ে গেলুম। তিন জনের মদ্দে মাত্র একজন যাত্রী দেকে লোকটা একটু অবাক হোলে।

তাতে কি?? আমরা থোড়াই কেয়ার করি!!! নামধামের পরে আইলে লাগেজ এর পালা। প্রথম দুইটা তো ভালয় ভালয় পার পেয়ে গেলে কিন্তু ভেজাল টা লাগিয়ে দিলে তিন নম্বর ইয়া বড় লাগেজ টা। শালায় বলে কিনা এইটে নিতে দিমু না ৩৬ কেজি ওজনের লাগেজ নেতে পারবিনানে। হয় ওজন কমিয়ে ৩৪ কেজি করে পেল, নাইলে কার্গো প্লেনে করে কালকে পাটামু। কতা শুনে মনে হতেসিল যে, শালার নাকে দুম করে বত্রিশ সেরি একটা ঘুসি দিয়ে মুখের মানচিত্র টা বদলে পেলি।

কিন্তু সেটি আর করতে পারলুম কই বাধ্য হয়ে তিনজনে মিলে ষড়যন্ত্র করলুম দুই কেজি ওজন কমাতে হপে। আমাকে পাটিয়ে দিলে একটা প্লাস্টিকের ব্যাগ জোগার করতে এক্সট্রা জিনিস গুলা তো আর পেলে দিয়ে যাইতে পারি না আমি নিচতলায় গেলুম ব্যাগ জোগার করতে। যেয়ে ডেকলুম একটি দোকানে এক কালা আদমি (মাইয়া) বসে আচে। তার কাচে যেয়ে মনের কতাটি বলে পেললুম ঠিক তকনি বুজলুম জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করে বসলুম। (চলবে)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।