আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাউরে বাউ .....কে কে রামজীর ঔষধ খাইবেন? হাত তুলেন

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। দুই বছর আগে ৯৪ বছর বয়সে বাবা হয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বয়সী পিতা হিসেবে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন ভারতের রামজিৎ রাঘব। এবার আবারও আরেক পুত্র সন্তানের পিতা হয়ে তিনি নিজেই নিজের রেকর্ড ভঙ্গ করলেন। প্রথম সন্তান জন্মের পর এক সন্তানই যথেষ্ট বলে উল্লেখ করলেও তার ৫৪ বছর বয়সী স্ত্রী শকুন্তলা গত মাসে আবারও মা হয়েছেন। এ সন্তান জন্মের ব্যাপারে হরিয়ানার বাসিন্দা রামজি বলেছেন, আমার কি করার আছে? সবই ভগবানের ইচ্ছা।

তিনি চেয়েছেন বলেই আমার আরেকটি ছেলে হয়েছে। হরিয়ানার একটি সরকারি হাসপাতালে গত মাসে শকুন্তলা একটি স্বাস্থ্যবান শিশু জন্ম দেয়ার পর রামজি সন্তানের পিতা জেনে ডাক্তাররা হেসেছিলেন। রামজি বলেছেন, ডাক্তাররা হেসেছিলেন এবং তারা বেশ বিস্মিতও হয়েছিলেন। সন্তানদের নিয়ে রামজি বেশ উচ্চাশা পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি সারাজীবন কৃষি কাজ করেছি।

কিন্তু আমার ইচ্ছে, আমরা সন্তানরা একদিন বড় সরকারি কর্মকর্তা হবে। তিনি বলেন, আরেকটি ছেলে সন্তান হওয়ায় বরং ভালই হয়েছে। এদের মধ্যে কোন কারণে একজনের মৃত্যু হলেও আমার বংশ রক্ষার জন্য একজন অন্তত বেঁচে থাকবে। রামজি স্বীকার করেন যে, এই বয়সেও দুটি স্বাস্থ্যবান সন্তানের পিতা হওয়ায় তিনি গর্বিত। তার প্রতিবেশীরাও রামজির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ ঈর্ষান্বিত।

রামজি বলেছেন, প্রতি রাতে তিনি তিন থেকে চারবার স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটান। এতে তার প্রতিবেশীরা ঈর্ষান্বিত। তারা তার কাছে এর গোপন রহস্য সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে রামজি কেবল বলেন সবই ভগবানের ইচ্ছা। রামজি বলেন, আমি এখনও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানো আমি বেশ উপভোগ করি। আমি মনে করি, স্বামী-স্ত্রীর নিয়মিত একসঙ্গে সময় কাটানো খুবই জরুরি। তবে এখন সন্তানদের কারণে দুজনে একসঙ্গে সময় কাটানো থেকে বিরত রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। রামজি বলেন, স্ত্রীর প্রতি আমি বেশ যত্নশীল। তার প্রয়োজনের সবকিছুই আমি তাকে দিয়েছি।

রামজি প্রথম যখন দ্বিতীয় স্ত্রী শকুন্তলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তার ২৫ বছর আগে স্ত্রী মারা গিয়েছিল। এক বৃষ্টিভেজা সকালে ২২ বছর আগে একটি মাজারে তাদের পরিচয় হয়েছিল। রামজি শকুন্তলাকে তার বাড়িতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর শকুন্তলা আর ফিরে যায়নি। এর ব্যাখ্যা করে রামজি বলেছেন, তার পরিবার বা বন্ধুবান্ধব কেউই ছিল না।

আর আমিও তাকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। আমি তাকে আশ্রয় দিয়ে বেশ কিছু যোগ ব্যায়াম শিখিয়ে ছিলাম। তখন আমি তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার মেয়ে বন্ধুদের অনেকেই মারা গিয়েছিল। আমি নিজেও তখন বিপত্নীক।

আর বিয়েও করিনি। তাই তখন আমি শকুন্তলাকে বিয়ের প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হয়ে যান। শকুন্তলা মনে করেন, রামজির আশ্রয় না পেলে তিনি এত দিনে মরে যেতেন। তিনি বলেছেন, তার বয়স কতো সেটা আমার কাছে কোন ব্যাপার নয়। সে আমার সঙ্গে মাঝেমধ্যে রাগারাগি করলেও আমি তাকে খুব ভালবাসি।

আমার কাছে তাকে বুড়ো মনে হয় না। একজন ২৫ বছরের যুবকের মতোই সে আমাকে ভালবাসতে পারে। View this link  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।