সুশাসনের জন্য আফ্রিকায় প্রতিবছর ‘মো ইব্রাহিম’ পুরস্কার দেওয়া হয়। সারা বিশ্বে ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটিই সবচেয়ে মূল্যবান পুরস্কার। কিন্তু এবার এই পুরস্কারটি কেউই পাননি। কারণ, পুরস্কারের যোগ্য কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
সাধারণত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সফল কোনো নেতাকেই এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়। পুরস্কারটির অর্থমূল্য ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
পুরস্কারের জন্য গঠিত প্যানেল বলেছে, পুরস্কারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাঞ্ছনীয় শর্তগুলো পূরণ করেছেন, এমন কাউকেই ২০০৯ ও ২০১০ সালে পাওয়া যায়নি।
গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা। তিনি পর্তুগিজ উপনিবেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন এবং বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
তা ছাড়া দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্যও তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
এবার যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পুরস্কারটির প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহিম বলেন, ‘আপনি বিছানা প্রস্তুত করেন, কারণ আপনাকে তাতে শুতে হবে। আমরা যদি বলি, ব্যতিক্রমী নেতৃত্বের জন্য আমরা এ পুরস্কার দিই, তাহলে এই নীতি আমাদের ধরে রাখতেই হবে। ’
প্যানেলের সদস্য সালিম আহমেদ সালিম বলেন, ‘পুরস্কারের জন্য গঠিত কমিটি বেশ কয়েকজন প্রার্থীকেই যাচাইবাছাই করেছে। কিন্তু এই পুরস্কার পেতে যে মানদণ্ড থাকা দরকার, তা তাঁদের কারোরই নেই।
’
পুরস্কারটি চালুর পর গত ছয় বছরে আর যে দুজন এটি পেয়েছেন, তাঁরা হলেন—বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট ফেস্তুস মোগাই ও মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকুইম চিসানো।
সুদানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ টেলিকম ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বলেন, সুশাসনের জন্য পুরস্কার দেওয়া দরকার। কেননা সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর অনেক নেতা পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসেন। তাঁরা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পান। তাঁরা মনে করেন, ক্ষমতা ছাড়লে তাঁরা আবার দরিদ্র হবেন।
বিবিসি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।