আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টেডি vs হ্যান্ড হেল্ড

মুক্তিবাদী http://bobonrobon.wordpress.com/ রাতে ঘুমুতে দেরী হওয়াতে ঝিম মাথা নিয়ে একটু দেরীতে উঠেছি। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ দু’টোই বন্ধ করা হয় নি। অপচয়। নাস্তার সাথে সাথে একটা ছবি দেখছিলাম। অঞ্জন দত্তর “রঞ্জনা আমি আর আসবো না”।

আগেও দেখেছি। টেনে টেনে দেখছি। প্রচুর হ্যান্ডহেল্ড শট। যেগুলো ট্রাইপডে নেওয়া যেত সেগুলোও হাতে বা কাঁধে ক্যামেরা বসিয়ে নেওয়া। কেন ? খারাপ তো লাগছে না।

ফারুকীর এই ধরনের শটের এক সময় প্রচুর সমালোচনা হত। সময় ও খরচ বানাতে নাকি উনি এটা করতেন। এখন এটা একটা প্রতিষ্ঠিত স্টাইল হয়ে গেছে। হলিউডি ছবিতে এটা অনেক কম। যদি না খুব বিশেষ কারণ থাকে।

আমাদের চোখ এটা সহজেই অ্যাডাপ্ট করে নিচ্ছে। আমি এর একটা যুক্তি খুঁজে বের করলাম। আমরা স্ট্যাচু নই। সবসময়েই যে মুভমেন্টে থাকি তাও না। কিন্তু আমাদের মুন্ডুটা বল হেডেড / ফ্লুয়িড হেডেড ট্রাইপডের মত সি১ সার্ভিক্যাল ভার্টিব্রার ওপর বসানো।

দুটো স্টেরিওস্কোপিক লেন্স (আমাদের চক্ষুদ্বয়) আইরিশ, এ্যাপারচার, সাটার স্পিড ও লেন্স ক্যাপ সহ সংযুক্ত। আমরা জাইরোস্কোপের মত স্টেডি না হওয়ার কারণে কুশনিং ইন্টার অ্যাকটিভ ইফেক্ট থাকে। যেটা খুব দামী ট্রাইপডেও (স্টেডিক্যাম ছাড়া) দুষ্প্রাপ্য। আমরা এই ভাবেই জন্মের পর থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২৫ টির বেশী (persistance of vision) ছবি তুলে যাচ্ছি এবং নিউরোন নামক মেমোরি চিপে জমা রাখছি। যখন আমরা হাঁটি বা মুভ করি।

মুন্ডু নামের এই অতীব মূল্যবান ক্যামেরাটি ক্রমাগত ওঠা নামা করে (যারা অ্যানিমেশনে ওয়াক সাইকেল করেন তারা ভাল জানেন)। এটিই সত্যিই কথা। এটি দেখে আমরা অভ্যস্ত। তাই মুভি ক্যামেরা যদি এই রিদমে মুভ করে এটা চোখের জন্য বরং স্বস্তিদায়ক। তবে অবশ্যই তার একটি সীমা থাকতে হবে।

সেটা কতখানি হবে তা পন্ডিতদের বিচার্য। গবেষণাও হতে পারে। এগুলো আমার চা খেতে খেতে বানানো হাইপোথিসিস। কেউ গ্রহন না ও করতে পারেন। আরেকটি মজার ইস্যু জানলাম সকালে।

এই যে ৪কে ৪কে রেজ্যুলেশন করে গলা ফাটাচ্ছি। আমাদের চোখ না কি এতটা নিতে পারে না। এটা একটি অসাড় বানিজ্যিক গলাবাজী। তাই ৪কে রেজ্যুলেশনের মজা নিতে হলে আপনাকে কয়েক লক্ষ বছর পরে পুনর্বার জন্মাতে হবে। যদি ডারউইন বস্ ঠিকঠাক বলে থাকেন।

সবাই কেন গাইতে গেলে প্রেমের গান ই গায় ঘুরে ফিরে ভালবাসার কথাটাই আমি অন্য কিছু গাইব বলে তোমার কাছে এসে আমি সবাই কেবল সবাই হয়ে যাই। — অঞ্জন দত্ত ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.