গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ও সমমনা ১২টি ইসলামী দলের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে শতাধিক নেতাকর্মীকে। সংঘর্ষের কারণে প্রেসক্লাব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চালাচল বন্ধ থাকে। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররাম মসজিদ থেকে বেরিয়ে ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে পল্টন হয়ে প্রেসক্লাবের দিকে এগোলে পুলিশে তাদের বাধা দেয়।

এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তারা জানান, ইসলামী দলগুলোর কর্মীরা পুলিশের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিলকারীরা এরপর বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের দিকে আবার ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১২টি ইসলামী সমমনা দল যখন মিছিল বের করে, অনুমতি না থাকায় আমরা তাদের নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা ব্যাগভর্তি ইট পাটকেল নিয়ে দুই ভাগে মিছিল বরে করে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

” এ সময় ভবনের ওপর থেকে পুলিশের দিকে ককটেলও নিক্ষেপ করা হয় বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের ৩০-৪০টি শেল ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৫ পুলিশ সদস্যকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত মাসে যারা প্রেসক্লাবের সামনে বিশৃঙ্খলা করেছিল, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। হযরত মোহাম্মদকে (স.) নিয়ে বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ইসলামী দলগুলো।

এ নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সামনে তাদের সংঘর্ষও হয়। এর প্রতিবাদে সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ও সমমনা ১২টি ইসলামী দল গত ২৩ সেপ্টেম্বর সারাদেশে হরতাল পালন করে।  ।