সিসা মূলত ফলের নির্যাস থেকে তৈরী, যাতে মেশানো থাকে হেরোইন, ইয়াবা ও নানারকম যৌন উত্তেজক নেশা দ্রব্য। সিসা সম্পর্কে আপাতদৃষ্টিতে সবার সামনে যা প্রচার করা হয় তার আড়ালে চলে অবৈধ নেশার অপসংস্কতি। আধুনিকতার মোড়কে তরুন সমাজের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে সিসা নামের এই ভিন্নধর্মী নেশা, যা থেকে ধীরে ধীরে তৈরী হচ্ছে প্রচলিত সব মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি। তরুন সমাজের কাছে সিসাকে এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে যে, এটা স্টাটাস রক্ষার এমন এক মাপকাঠি যা না খেলে সমাজে, বিশেষ করে বন্ধু মহলে স্টাটাস নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। একবার যারা এটা গ্রহণ করছে তারা এটাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। সিসা শপগুলো বেশীরভাগই অভিজাত এলাকায় তৈরী করা হচ্ছে এবং এগুলোর আশেপাশে থাকছে নামিদামি সব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় । সাধারণত মনে করা হয় যাদের টাকা আছে শুধু তাদেরই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা আছে। এ কথা মাথায় রেখেই বোধ হয় একটি মহল (বিশেষ করে) এই এলাকার শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেছে। তবে শিক্ষার্থী ছাড়াও টাকাওয়ালা অনেক ব্যক্তিও তাদের অর্থ এই এলাকায় খরচ করে আনন্দ পান ! সাবধান হই, সমাজকে ধংস্ব হওয়ার হাত থেকে রক্ষায় সচেষ্ঠ হই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।