আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলে-মেয়ে কথা বলা যাবে না.

মেঘবালক ইউনিভার্সিটি তে খুব আশা নিয়া ভর্তি হইছিলাম একটু আড্ডা মারমু পোলাপানের লগে,মেয়ে তো থাকবেই। এই আড্ডার সুত্র ধরে যদি সামনে কিছু হয়ে যায় ,তাতে মন্দ কি? ১২টা বছর তো শুদু দামড়া এবং আবাল পোলাপানের লগে ক্লাস কইরা ক্লাস এর প্রতি এক রকম বিরুক্তি এই এসে গেছে। এই ১২ টা বছর ক্লাস করার সময় যেদিকে তাকাইছি শুদু পোলার চোখের উপর এই চোখ পড়ছে। ইউনিভার্সিটি তে যেদিন প্রথম ক্লাস করতে গেছি স্যার রা বলল ছেলে মেয়ে আলাদা ক্লাস। ওইদিন বুকের ভিতরে হার্ট অ্যাটাক খেয়ে বুজলাম হার্ট এর রক্ত নালী তে কোন ব্লক নাই।

যাইহোক ভাঙা মন নিয়া ক্লাস এবং পড়াশুনা দুই টাই চালিয়ে গেলাম। মনে মনে নিজেকে গালি দিতে লাগ্লাম,কেন কাজিন গুলার সাথে অস্ট্রেলিয়া তে ভাগি নাই । ওই হারামি রা অস্ট্রেলিয়া থেকে কল দিয়া খালি আমারে চেতায়, একটা প্রেম করতে পারলি না, চার বছর তো শেষ হইয়া গেল। তাদের সাথের সোনালি কেশ আর নীল চক্ষু ওয়ালা মেয়ের সাথে ছবি তুলে সোশ্যাল নেটওয়ারকিং সাইট এ আমারে ট্যাগ মাইরা বলে দেখ কত মজায় আছি। আমি আর কি করব বলেন, বিড়াল আঙ্গুর ফল না ফেলে বলে যে এটার মাজে কাটা আছে,খাইলে গলায় আটকাবে,সেই অবস্থা আর কি।

যাইহোক আসল ঘটনা হচ্ছে কিছুদিন আগের,আমার ব্যাচের একটা ছেলে এবং তিন টা মেয়ে কে নিয়া। পরীক্ষা সামনে ছিল তাই মেয়ে গুলা ছেলে টার কাছ থেকে কিছু জিনিশ বুজে নিচ্ছিল অ্যান্ড বিগত বছর এর প্রশ্ন নোট করে নিচ্ছিল। তারা এই কাজ টি করছিল সিঁড়ির উপর একপাশে দাঁড়িয়ে। তখন আমাদের সাবজেক্ট এর এক স্যার বেপার টা দেখছিল। তারপর স্যার কিছুক্ষণ পরে ছেলেটিকে নিজের রুমে ডেকে নিলেন অ্যান্ড ইচ্ছা মত জারলেন।

তুমি কি জান না এখানে ছেলে মেয়ে কথা বলা হারাম, তোমাদের নৈতিকতা কত টা নিছে নামতে পারলে তোমরা এই কাজ করতে পারলে? নেক্সট টাইম এ এইরকম কিছু দেখলে তার পরিনতি ভাল হবে না বলে সতর্ক করে ছেলের রোল নাম্বার এবং নাম লিখে নিয়ে যান । গ্রামের সহজ সরল ভদ্র ছেলে তাই সেদিন সে স্যার কে কিছু বলল না। অতছ স্যার বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাল এবং বৃহৎ বিদ্যাপীঠ থেকে খুব ভাল ফলাফল করে আসছেন,মজার বেপার হচ্ছে উনার বয়স আমার থেকে মাত্র ৪ বছরের বেশি। উনি নিজেই মেয়ে দের সাথে একত্রে ক্লাস করে আসছেন। সেখানে কি তিনি তার মেয়ে ক্লাস ম্যাট দের সাথে ৫বছরের মাজে একবারের জন্য হলেও কথা বলেন নাই? আমার ব্যাচ এর কার কোন প্রবলেম হলে সবাই কম বেশি এই সাড়ে ৩বছর আমাকে কাছে পেয়েছে।

তাই বেপার টা আমার কানেই প্রথম আসে। যদিও ওই ছেলে এবং মেয়ে গুলা ভয়ে ছিল কার সাথে শেয়ার করার বেপারে। গত কালকে ওই স্যার এর বেপারে আরেক টা তথ্য পেলাম,এক বন্ধু বেপার টা শেয়ার করল। আমাদের কয়েক বছর জুনিয়র ব্যাচ এ দুই টা জমজ মেয়ে আছে, তাদের চোখ ছাড়া অন্য কিছু আমি কেন অন্য কেউ দেখছে বলে হয় না। শুনছি বেশ অভিজাত ফামিলির মেয়ে ওঁরা, গাড়ির মডেল দেখলেই আন্দাজ করা যায়।

স্যার নাকি কিছুদিন আগে তাদের(জমজ বন) মাজে একজন কে উনার রুমে ডেকে নিয়ে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। মেয়ে টা নাকি স্যার কে ইচ্ছা মত জাড়ি দিয়া রুম থেকে বের হয়ে আসলো। এখানে এক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি স্যার এর কোন ভুলের কিছু দেখচি না কারন মেয়ে টাকে স্যার এর পছন্দ হইছে তাই সরাসরি কোন রাখ-ডাক না রেখেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসল যেহেতু স্যার এখন অবিবাহিত। “স্যার আপনার এই আসল রুপ” এইরকম জাড়ি না দিয়ে মেয়ে টার উছিত ছিল আরেকটু বিনয়ী হয়ে স্যার এর প্রস্তাব টা পিরিয়ে দেওয়া। এখন স্যার এর এই ঘটনার সাথে আমার বন্ধুদের সাথে স্যার এর ঘটে যাওয়া ঘটনা টিকে মিলিয়ে আপ্নারা স্যার ক কি বলবেন? আমার সাবজেক্ট এর আমার ব্যাচ অথবা অন্য ব্যাচের কেউ যখন ক্যাম্পাসএর বাহিরে মেয়ে দের সাথে আড্ডা কিংবা কথা বলা কিংবা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত স্যার এর চোখ এ পড়ে তখন স্যার কিছু বলেন না।

শুদু ৫তলা একটা বিশাল ভবন এর মাজেই স্যার এর চোখ দুটি এইসব জিনিশ খুজে বেরায়। স্যার এর আরেক জন বন্ধু আছে , আমাদের ক্যাম্পাস এ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। উনারা দুই জন ছাত্র থাকা কালে সমান ইয়ার এই পাশ করছেন, একই হল এর এক রুমেই থেকেছেন । এখন একই বাসায় দুই জন থাকেন। উভয় স্যার হিসেবে ভালই পড়ান, উভয় অনেক ধার্মিক ও বটে।

এবং উনারা দুই জন মেয়েদের সাথে কথা বলা কিংবা মিশামিশি একদম পছন্দই করেন না। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.