সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য। আমার চলমান মেইল এড্রেস ঃ shimantodhk2010@gmail.com ,
একাউন্ট অফিসার বলল ঃ স্যার এই খানে সই করেন। সই করলাম, টাকার বান্ডিল টা নিয়ে ওনার সামনেই গুনোতে মনচাইলো। পরক্ষনে ভাবলাম নাহ! উনি আবার কি মনে করে কে জানে। নিজের রুমে এসে টাকা গুনা শুরু করলাম, গুনে গুনে দেখলাম একটি কম হচ্ছে।
আবার গুনা শুরু করলাম গুনে গুনে ৪৮ টা ৫০০ টাকার নোট, এই বারে ঠিক আছে। মনে মনে ভাবছিলাম শালায় কি টাকা কম দিলো নাকি। আবার মনে মনে ভাবলাম আমার এই অভ্যাস টা এখনো গেলো না, সহজেই মানুষকে দোষারোপ করি। টাকা পকেটে ঢুকিয়ে অফিস থেকে বের হলাম । না আজকে প্রতিদিনের মতন বাসায় যাবোনা।
প্রতিদিন লাইনে দাঁড়াও ধাক্কা ধাক্কি করো বাসায় যাও খাও নেটে বসো, ঘুমাও। অফফফ হাপিয়ে উঠেছি। বিষন্ন আর নিঃসংগ জীবন। আজকে আমি আনন্দ করবো, হ্যা একা একা আনন্দ করবো। একা একা ঘুরবো, খাবো, সিগারেট টানবো, মনে মনে আড্ডা দিবো, অনেক মজা হবে।
এই সিএনজি যাবা? এক কথায় উত্তর না। আরে বেটা জিজ্ঞাসা তো করতে পারস মামা কই যাবেন। তাও করে না। রাস্তা পার হয়ে ওই পারে গেলাম। ওই যাবা সিএঞ্জি? কই যাবেন? বসুন্ধরা সিটি।
২০০ টাকা। রাগে আমার মুখটা কটমট করে উঠলো। কথা না বাড়িয়ে উঠে গেলাম। মার্কেটের সামনে নেমে ভাড়া পরিশোধ করে ভিতরে ঢুকলাম। এই মার্কেটে যতোবারই যাই ততোবারই আমার চোখ জুড়িয়ে যায় এর সুন্দর ডেকোরেশনে।
এক্সেলেটর সিড়ি দিয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠে গেলাম, হ্যা ফুড কোর্টে গেলাম। সিডি দিয়ে উঠে হাতের ডাইনে মোর নিয়ে মাঝামাঝি একটার দোকানের সামনে টেবিলে বসলাম। আলোক ঝলমলে দোকান গুলো কেন যেন এই সময়ে অনেক ভালো লাগছিলো। পুরো ফ্লোরটি লোকে লোকারন্য । অনেক তরুন তরুনী উচ্ছাস আর আনন্দের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
বেশীর ভাগই প্রেমিক-প্রেমিকা। আমার পাশের টেবিলে একটা কাপল এসে বসলো। তাদের কথা বুঝা যাচ্ছিলো না অনেক ক্রাউডি থাকার জন্য। কিছু কিছু বুঝতে পারছিলাম , যা মনে হচ্ছিলো ছেলেটি কোনো একটি বিষয় নিয়ে মেয়েটির কাছে আকুতি জানাচ্ছিলো। মেয়েটিকে কিছুটা দাম্ভিক মনে হলো, অনেক টা তাচ্ছিল্য ভাবে ছেলেটির কথা শুনছিলো।
পাশে আরেকটি জুটি ফাস্ট ফুড খাচ্ছিলো, মজার ব্যাপার তারা একে অপরকে খাইয়ে দিচ্ছিলো।
ওদের কে দেখে মনের ভিতরে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, মনে পরে আজকে থেকে ৭ বছর আগের কথা যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। কি সেই সময় পার করেছি, তার ভালোবাসা এখনো ভুলতে পারবোনা। যাকে একবার না দেখলে আমার প্রান দেহের খাচা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইতো। কি দিনই না ছিলো আমার !! কি ভাবে বেচে আছি আমি তাকে ছাড়া আমি নিজেকেও এখনো নতুন ভাবে আবিস্কার করি।
কি ভাবে আমি পারলাম এতোদিন তাকে ছাড়া থাকতে। যার সাথে ফোনে কথা না বললে আমি পাগল হয়ে যেতাম। যাকে না দেখলে পাগলের মতন করতাম। কি ভাবে কি ভাবে কি ভাবে। সে চলে গেছে আমার জীবন থেকে আজকে ছয় বছর হতে চললো কিন্তু তার ভালোবাসার তুফান আমার জীবনকে লন্ড-ভন্ড করেদিয়েছে।
ঘুর্নিঝড় সিডর-আইলা গ্রাম-শহরের ক্ষতি করলে বছর দুয়েক সময় লাগে ঘুরে দাড়াতে, কিন্তু আমার ভালোবাসার মানুষের তৈরি তুফান আমাকে যুগ যুগ ধরে ভুগাবে। মাঝে মাঝে ভাবি অনেক অনেক চিন্তা করি, মানুষ আসলে সব কিছুই ভুলে যেতে পারে, সময় মানুষকে সব কিছুই ভুলিয়ে দেয়। তার সাথে হাত ধরে পার্কে হাটা, বৃস্টিতে ভেজা, রিকশায় ঘুরে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে খাওয়া সব কিছু ভাবি। আমাদের দুই পরিবারের চোখ রাঙ্গানী উপেক্ষা করে ভার্সিটির ক্লাস ফাকি দিয়ে কতো কতো দিন ঘুরে বেড়ানো। কতো সেই সব না জানা অনেক অনেক মধুর স্মৃতি।
সব সব ভেবে অবসরের দিন গুলো পার করি। মনে পরে আমার পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সেই দিনগুলোর কথা, মনে পড়ে আমার এলাকায় চায়ের দোকানের সামনে দিয়ে খালেদ, মাসুদ, রাসেল,সঞ্জয়,আমিন ওদের সাথে আড্ডা দেয়ার কথা। সে যখন প্রাইভেট শেষ করে আমার পাশ দিয়ে যেতো আমি তার পিছে পিছে ছুটতাম। পিছনে বন্ধুরা বসে থাকতো, আর মিটি মিটি হাসতো। আমার বাড়ির দুই বাড়ি পরে ছিলো তার বাড়ি।
আমার বাড়ির গলির সামনে দিয়েই আবার ফিরে আসতাম যদি আমার মা-বাবা দেখে ফেলে তাকে আর আমাকে এই ভয়ে। আর আড্ডায় ফিরে আসার পরে বন্ধুদের সে কি টিজিং আমাকে নিয়ে !! হা হা হা । ভাবতেই ভালো লাগে।
মানুষ তার বাবা-মা-ভাই-বোনের মৃত্যু শোক ভুলে যেতে পারে, তাহলে জীবিত মানুষকে কেন ভুলতে পারবে না। আমাকে তুমি ক্ষমা করো, আমি তোমার যোগ্য ছিলাম না।
তোমার সাথে আমার পরিচয় ছিলো একটি ক্যাটাস্ট্রপিক ভুল, তোমার আর আমার মিলন এই পৃথিবীতে লিখা ছিলো না। ঈশ্বর তোমাকে আমার জন্য তৈরি করেনি।
আরে আরে কি ভবছি আমি অতীত নিয়ে?? আমার পাশের সবাই খেয়ে দেয়ে চলে যাচ্ছে। আর আমি বেকুবের মতন খালি ভেবেই যাচ্ছি। টেবিলে রাখা মেনু নিয়ে বার্গারের আর ড্রিংসের একটি প্যাকেজের অর্ডার দিলাম টাকা পরিশোধ করলাম।
সার্ভিস ম্যানেরা আমাকে একটু বসতে বললো। ওকে কি আর করা। টেবিলে বসলাম। একা একা ভালো লাগছে না। ফোনটা বের করে ফোনদিলাম খালেদ কে,
– দোস্ত তুই কই এখন?
-অফিসে
বাসায় যাবি কখন?
-দেরি হবে রাত ১০ টা বাজবে।
আমি জরুরী কাজে ব্যাস্ত আছি। পরে কথা বলবো।
হুট করে ফোনের লাইন কেটে দিলো।
আরেক দোস্ত মাসুদ কে ফোন দিলাম।
-দোস্ত তুই কই।
-এইতো রাস্তায়, অফিস থেকে মাত্র বের হইছি।
-তোর অফিস তো ৬ টায় শেষ, আজকে এতো দেরী কেন?
-মিটিং এ ছিলাম। অনেক টায়ার্ড।
- ও আচ্ছা।
-রাখি দোস্ত, বাসায় যেয়ে পরে ফোন দিবো।
আমি জানি বাসায় গিয়ে সে ফোন দিবে না।
ফোনের লাইন কেটে দিলাম। আমার খাবার রেডি, ডাক দিলো। ট্রেতে করে খাবার গুলো নিয়ে টেবিলে বসলাম। আস্তে আস্তে খাবার খাচ্ছি আর ভাবছি।
এখন নভেম্বর ২০১০। আমি ঢাকা শহরের বাসিন্দা। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করি। বাবা ব্যাবসা করেন, ছোট ভাইও ব্যাবসা করে। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল আর সমৃদ্ধ একটি পরিবার।
কোনো কিছুরই অভাব নেই আল্লাহর অশেষ কৃপায়। আমি-বাবা-মা-ছোটভাই। এই চার জনের পরিবার।
আজকে থেকে ৭-৮ বছর আগে। আমি ছিলাম চট্রগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
চট্রগ্রাম শহরের আগ্রাবাদে আমাদের দুই তলা বাড়ি ছিলো। বাবা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডিপুটি ডিরেক্টর। বাবার আয়ে আমাদের সংসার অনেক স্বচ্ছল ছিলো। আমি ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমার ছোট ভাই ছিলো স্কুলের ছাত্র।
হঠাত কোনো একটি দুর্ঘটনায় আমার পরিবার অনেক অনেক আর্থিক সঙ্কটে পরে গিয়েছিলো। বেশ কয়েক বছর টাকার সঙ্কটে ছিলো। ঋনের ভারে জর্জরিত আমার পিতা আমাদের বাড়িটি বিক্রয় করে দিয়েছিলো। আমরা চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় সেটেল্ড হয়ে চলে আসি। ঢাকায় আসায়, ছিটকে পড়েছিলাম আমার সমস্ত বন্ধু-বান্ধব দের থেকে, ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে।
কিন্তু আল্লাহ পাকের কিছু কিছু কৃপা যেন আমার সহায় ছিলো। তিনি আমাকে একেবারে নিঃস্বংগ করে দেননি। উপরের যেই দুই বন্ধুর সাথে কথা বললাম , তারা আমার ভার্সিটির ক্লাস মেট। আমার সেই সময়ের বন্ধু। তারা এখন ঢাকাতেই থাকে, অনেক ভালো চাকুরী করে।
একজন আমার এলাকাতেই থাকে। ওদের সাথে অনেক অনেক আনন্দ দুঃখের কথা শেয়ার করতাম। ভার্সিটিতে থাকতে মাসের পর মাস ঘুরে রেড়াতাম, আর পরীক্ষার আগেই মাথা খারাপ হয়ে যেতো, রাতের পর রাত আমরা পরীক্ষার আগে একসাথে স্টাডি করেছি, সারা রাত নির্ঘুম কাটিয়ে চোখ লাল করে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিতে যেতাম। একজনের ক্লাস লেকচার শিট নিয়ে আরেকজন টানাটানি করতাম। ওরা আমার জীবনের অনেক হাসি কান্না আর ইতিহাসের সাক্ষি।
আগে স্টুডেন্ট লাইফে বেকার ছিলাম, একটা সিগারেট কিনার পয়সা দেয়াবার জন্য ওদের পকেটের মানিব্যাগ নিয়ে টানা টানি চলতো। সেই ৪ টাকা দেয়ার জন্য কি ধস্তা ধস্তি। চায়ের বিল দেয়ার জন্য আমরা চার জন খালেদ কে চেপে ধরতাম । আর দুই জন ওর মানিব্যাগ বের করতো। হা হা হা হা কি মজার ছিলো।
কিন্তু ওরা যেন আর আগের ওরা নেই, অনেক অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে। কিছু বলার লাগে না , নিজে থেকেই বেনসনের প্যাকেট বের করে দেয়। কোনো হোটেলে খেতে গেলেই আগে থেকেই বলবে আজকে আমিই তোদের খাওয়াবো। আরেক জন আগে ভাগেই ওয়েটার দিয়ে বিল পরিশোধ করে দেয়। কেন যেন ওরা আগের মতন নেই, ওরা নিজেরা অন্য বন্ধুদের কাছে ছোট হতে চায় না।
এই তো সেদিন আমার চেক বই শেষ হয়ে গিয়েছিলো। ব্যাংক এ গিয়ে সময় মতন টাকা উঠাতে পারিনি। ফোন দিলাম মাসুদ কে। মাসুদ বিনা প্রশ্নেই আমাকে ১লাখ ১০ হাজার টাকা ধার দিয়ে দিলো। কখন ফেরত দিবো তার ও প্রশ্ন করেনি।
যদি নাও ফেরত দেই তবুও কিছু বলবে না।
চট্রগ্রাম থেকে ফ্রেন্ড সার্কেল থেকে ছিটকে আসার পরে এই দুই বন্ধুই আমার অবশিস্ট ফ্রেন্ড যারা ঢাকার বাসিন্দা। কিন্তু আমাদের আড্ডাও আগের মতন জমে না। সকলেই যার যার কর্ম ক্ষেত্রে ভিষন ব্যাস্ত। হয়ত মাসে বা সপ্তাহে দেখা হয়।
ঘন্টাখানেক গল্পের পরে বিদায় নেই যার যার মতন। চট্রগ্রামে কালে ভদ্রে এক দুই বার যাই। কিন্তু একা একা যাই। ওদের সাথে আমার সময়ের সিডিউল মিলে না। একা একা বেড়াতে যাই।
একা একা ঘুরি। একা একা নেটে সময় পাস করি। অনেক ভালো লাগে যখন দেখি ভার্সিটির ইয়ং ছেলেরা তাদের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয় মজা করে। প্রায়ই মনে হয় আগে যখন ওদের ফোন দিতাম তখন গালী দিয়ে সম্বোধন করতাম “......বাচ্চা!! ঘরের ভিত্রে কি করতাছস?.....করতাছস?....পার্ক গেটের সামনে আয়”। হা হা হা
এখন মনে হয় ওদের ফোন দিয়ে বলি “ দোস্ত আই মিস ইউ” কিন্তু এই কথা বললেই ওরা বলবে কি সমস্যা তর? পাগল হয়ে গেলি নাকি? মাঝে মাঝে মনে হয় আড্ডায় আসলে ধাক্কা মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেই, পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেই, চেয়ার টেনে ফেলে দেই।
কিন্তু না !! তা যেন আর সম্ভব নয়। কেন জানি আমি চাইলেও তা করতে পারবো না , কি একটা অদৃশ্য বাধা আমাকে বেধে ফেলেছে। সময় মানুষকে শৃঙ্খলা বদ্ধ করে ফেলে। সেই বাদরামো এখন খুবই বেমানান।
হঠাত মোবাইলে ফোন এলো, আমার মা ফোন দিয়েছে,
-“ কিরে কই তুই? “
-এইতো বাইরে কাজে আছি
-দেরী কেনো?
- চলে আসছি, বেশী সময় লাগবে না।
-আচ্ছা ঠিক আছে, দেরী করিস না।
ফোন রেখে দিলাম।
ভাবতে ভাবতে আমার খাওয়া শেষ হয়ে গেলো। আমি টিস্যু পেপারে হাত মুছে ড্রিংস খেয়ে নিলাম। আমার পাশে আরো অনেক কপোত-কপোতি জমা হয়েছে।
ওরা খোশ গল্পে মত্ত। দোকান গুলোর আলোর ঝলকানিতে ওদের অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিলো । আমার কপালে আর সেই যুগে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়-এটাই জীবন। ছাত্র জীবন আর কর্ম জীবন এক নয়। ছাত্রাবস্থায় ছাত্র জীবনকে বিভীষিকা মনে হলেও, কর্ম জীবনে আসলে মনে হবে ছাত্রজীবন একটি মধুর জীবন ছিলো।
আমি নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি প্রতিটা মানুষই ছাত্র জীবনকে মিস করে। স্টুডেন্ট লাইফ হয়ত আর ফিরে আসবে না, কিন্তু এই নস্টালজিক স্মৃতি নিয়েই মানুষ তার বাকি জীবনটা পার করে দেয়। অবসরে ফিরে যায় তার কৈশোর আর তারুন্যের সেই দুরন্ত স্মৃতিতে। ভালোলাগা সেই সময় গুলো বার বার মনে করে পুলকিত হয়।
ধীরে ধীরে নেমে এলাম মার্কেট থেকে।
বেনসন ধরিয়ে সুখটান দিতে থাকলাম। অনেক রাত হয়েছে, একা একা আর কি করবো, বাসায় যাওয়া দরকার।
এই সিএঞ্জি যাবা ?
-কই যাইবেন?
-বনশ্রী
-১৮০টাকা।
-১৫০ যাবা?
-না।
-১৬০।
-উঠেন
৪৫ মিনিট জার্নী শেষে ব্রীজে এসে সিএঞ্জি ওয়ালাকে বললাম, এই খানে থামান-মনে মনে ভাবলাম, হেটে হেটে বাসায় যাই, কেন জানি আজকে অনেক হাটতে ইচ্ছা করছে। ভাড়া দিয়ে হাটা শুরুকরলাম। হাটতে অনেক ভালো লাগছে। পাশে রাম্পুরা খাল। ঠান্ডা বাতাস আসছে।
অনেক অনেক নিরিবিলি রাস্তাটা। শুধু ফুলহাতা শার্ট পরেছি। কিভাবে যে আরেকটি শীত কাল এসে গেল টেরই পেলাম না। শীত শীত ভাব লাগছে......হেটে হেটে ধীর পায়ে বাসার দিকে চললাম।
*** আমার এই লিখার একটি কপি সোনার বাংলা ব্লগে প্রকাশিত হলো।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।