আগে টাকা রাখতাম মাটির ব্যাংকে কিংবা ঘরের আলমারিতে। কোন সুদ আসত ঐ জামানো টাকায়। যখন ইচ্ছা ঐ টাকা খরচ করতে পারতাম । শুধু ভয় ছিল একটা চুরি হয় কিনা। তারপর ব্যাপক নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা টাকা রাখা শুরু করলাম ব্যাংকে।
সেই ব্যাংকে টাকা রাখা এক সময় নিরাপত্তার সাথে ভাবসাব যুক্ত হল। পকেটে একটা ডেবিট কার্ড না থাকলে যেন নাই হয়। ডেবিট কার্ডের পাশাপাশি কেডিট কার্ড তো আছেই ভাব বাড়ানোর জন্য।
আমাদের এই ভাব-সাব কে কেন্দ্র করে দেশে মহা চোরদের পয়দা করা প্রাইভেট ব্যাংকগুলা ডাকাতিতে নেমেছে। নানা কারণ দেখিয়ে নানা ভাবে টাকাতো কাটেই।
এখন শুরু হয়েছে কোন কারণ ছাড়া টাকা কাটা। মাস খানেক আগে আমার কাছ থেকে এই রকম ভাবে ১০০০ টাকা কেটে রেখেছিল। তারপর ঠেলা দিলাম টাকা ফেরত দিল । বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ শাখায় অভিযোগ দিলে ফলাফল ভাল পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হল আমরা অনেকেই ডেবিট কার্ডের ব্যালেন্স নিয়মিত চেক করি না কিংবা কত ছিল, কত আছে তার সকল তথ্য রাখি না।
আর মহা চোররা এই সুযোগটা কাজে লাগায়। অল্প অল্প করে টাকা কেটে নেয়। আর বিন্দু বিন্দু টাকা দিয়া তারা তাদের সিন্ধুক ভরে আরামে।
চোরদের সিন্ধুকে আপনার কত টাকা যায় তার প্রমাণ নিতে প্রতিবার লেনদেনের পর তা নিজের কাছে একটা কাগজে টুকে রাখেন। তারপর মাস তিনকের মধ্যে আশা রাখি বুঝতে পারবেন চোরের দলের সিন্ধুকে আপনার কতটা টাকা গেল।
আপনি প্রথমে যখন অভিযোগ জানাতে যাবেন তখন দেখবেন হারামিরা আপনাকে ব্যাপক নিয়ম কানুন বুঝাবে। আপনি সাহস হারাবেন না। কষে ধমক দিবেন। বেশির ভাগ সময় তারা সুন্দরী মেয়ে কিংবা কিছু পুলাপাইন রাখবে যারা ইংলিশে ফাল পারে। কোন সুযোগ দিবেন না।
কইবেন নো লুতুপুতু। টাকা চোর টাকা ফিরত দিবি আর পারলে যত জোরে গলা বড় করে চিৎকার করে কথা বলবেন তাহলে ভয় পাবে। দুপুর ১২ দিকে যাবেন অনেক গ্রাহক থাকে তখন। ঐ সময় গেলে চোরা ব্যাপক ভয় পাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।